Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • মে ১৪, ২০২৪

বসিরহাট মহকুমা আদালতে আত্মসমর্পন বিজেপি নেত্রী পিয়ালি দাসের। নাকচ জামিন, জেল হেফাজতের নির্দেশ আদালতের

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
বসিরহাট মহকুমা আদালতে আত্মসমর্পন বিজেপি নেত্রী পিয়ালি দাসের। নাকচ জামিন, জেল হেফাজতের নির্দেশ আদালতের

আদালতে আত্ম সমর্পন করলেন সন্দেশখালির  বিজেপি নেত্রী মাম্পি ওরফে পিয়ালি দাস।  আজ, মঙ্গলবার জামিনের আবেদন জানিয়ে বসিরহাট আদালতে আত্ম সমর্পন করেন তিনি। জামিনের আবেদন নাকচ করে বিচারক মাম্পির ৮ দিন জেল হেফাজতের নির্দেশ দিয়েছেন। ২২ মে আবার তাকে আদালতে পেশ করা হবে। পিয়ালির বিরুদ্ধে অভিযোগ ছিল, তিনি গ্রামের প্রতিবাদী মহিলাদের থানায় ডেকে নিয়ে গিয়ে তাঁদের জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিদের সামনে সাদা কাগজে সই করিয়ে নেন। পরে সেই সাদা কাগজে মহিলাদের ওপর ধর্ষণ ও শ্লীলতাহানির অভিযোগ লিখিয়ে নেওয়া হয়। সন্দেশখালির গ্রামের মহিলাদের অভিযোগ রান্নার কাজ করে টাকা মেলেনি, এই অভিযোগ জানাতে গিয়ে  সাদা কাগজে সই করিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ লেখানো হয়েছে ।  সাজানো অভিযোগ তুলে নিতে অভিযোগ তুলে নিতে চেয়ে  সন্দেশখালির মহিলারা প্রশাসনের  দ্বারস্থ হয়েছেন আগেই ।

সন্দেশখালি মাঝের পাড়ার বাসিন্দা মিতা মাইতি অভিযোগ,  পিয়ালি দাস জাতীয় মহিলা কমিশনের লোকজন এসেছেন বলে আমার শাশুড়িকে ‌ফোন করে থানায় ডেকে নিয়ে যায়।  আমার শাশুড়ি লেখা পড়া জানেন না। তাঁর কাছে অভিযোগ জানতে চাইলে তিনি বলেন, আমরা রান্না করে টাকা পাই নি। তিনি বলেন, মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিদের সামনে আমার শাশুড়ির অভিযোগ ছিল রান্না করে টাকা পাইনি। তিনি থানায় গিয়ে সেই কথাই বলেছিলেন। মহিলা  বলেন, আমার শাশুড়ির কাছে একটা সাদা কাগজে সই করিয়ে নেওয়া হয়। পরে জানতে পারি আমাদের দিয়ে কয়েকজনের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয়েছে । এই ঘটনায় বিজেপির স্থানীয় নেত্রী পিয়ালি দাস ওরফে মাম্পির নামে ষড়যন্ত্রের অভিযোগ ওঠে। মাম্পির কাছে অভিযোগ তুলে নেওয়ার কথা বলতে গেলে সে তাঁদের কথায় কান দেয়নি। মিতা মাইতি সহ কয়েকজন  কার্যত একঘরে হয়ে পড়েন গ্রামে।  মহিলা বলেন, আমরা খেটে খাই। গরিব মানুষ। আমরা আমাদের সঙ্গে যেটা হয়নি সেই অভিযোগ করিয়ে পিয়ালি আমাদের সঙ্গে প্রতারণা করেছে।  ‌এই সব মামলা থেকে নিস্কৃতি চান এলাকার মহিলারা। মিতা মাইতির শাশুড়ি নিয়তি মাইতি   সন্দেশখালি থানায় আরও একটি অভিযোগ দায়ের করেছেন। মহিলার শাশুড়ি নিয়তি মাইতি মাম্পির বিরুদ্ধে আরও একটি লিখিত অভিযোগ করেন যে,  মাম্পি দাস তাঁদের গালিগালিজ করেছে।  এমনকী  প্রাণনাশের ও মিথ্যা মামলায় ফাঁসানোর হুমকি দিয়েছে।  এই ঘটনার পরে সন্দেশখালির থানার পুলিশ  মাম্পি দাসের বিরুদ্ধে এফআইআর করে। তাকে থানা হাজিরা দিতে বলে মাম্পির বাড়িতে নোটিশ ঝুলিয়ে দেয় পুলিশ।  তার বিরুদ্ধে সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করে  মাম্পির দাবি, তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করা হয়েছে। গত ১৯ ফেব্রুয়ারি তাঁর কাছে ফোন আসে থানায় জাতীয় মহিলা কমিশনের প্রতিনিধিরা এসেছেন। তাঁদের স্থানীয় মানুষের ভাষা বুঝতে অসুবিধা হচ্ছে বলে আমাকে  ফোন করে থানায় ডাকা হয়। সেই ফোনের কল রেকর্ড আছে। যা ঘটেছে পুলিশের সামনেই ঘটেছে। থানার ঘরে সিসি টিভি ফুটেজ রয়েছে।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!