- এই মুহূর্তে দে । শ
- মে ২২, ২০২৩
জমির অধিকার, রাজনৈতিক সম অধিকারের দাবিতে জোড়ালো হচ্ছে কুকি গোষ্ঠির লড়াই।শান্তি আলোচনা গতিহারা
মণিপুরের ১০ জন কুকি-জোমি বিধায়ক কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের দাবি উত্থাপন করেছে

মণিপুরে কুকি-জোমি উপজাতি এবং প্রভাবশালী মেইতি সম্প্রদায়ের মধ্যে সহিংস সংঘর্ষ শুরু হওয়ার আগে, ২৪টি কুকি-জোমি বিদ্রোহী গোষ্ঠীর মধ্যে শান্তি আলোচনা, সহিংস কার্যকলাপ স্থগিত করে, একটি সমাধানের দিকে এগিয়ে গিয়েছিল। কিন্তু মণিপুর রাজ্যের বর্তমান সংঘর্ষ পরিস্থিতি এই আলোচনাকে গতিহারা করেছে।
মণিপুরের ১০ জন কুকি-জোমি বিধায়ক কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহের কাছে একটি স্মারকলিপি জমা দিয়ে আনুষ্ঠানিকভাবে তাদের দাবি উত্থাপন করেছে। এখন পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে সংঘর্ষ স্থগিত রাখার কথা ঘোষণা করা গোষ্ঠীগুলি আবার কেন্দ্রের সাথে আলোচনা শুরু করতে চাইছে বর্তমান পরিস্থিতিতে তাদের অবস্থানের নিরিখে।
কেন্দ্রীয় সরকারের মতে, এটা ধরে নেওয়া যায় যে সাম্প্রতিক সহিংসতার ঘটনায় কুকিরা তাদের অবস্থান কঠোর থাকবে, কারণ তারা এখন মেইতি-আধিপত্যাধীন সরকারের অধীনে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছে।
মণিপুরের বাস্তব পরিস্থিতি বলছে, হিংসায় কুকিরা যে হারে বলি হয়েছেন তার চাইতে মেইতিদের প্রাণহানির ঘটনা অনেক কম।এই ঘটনাই কুকিদের নিরাপত্তাহীনতাকে আরও বাড়িয়ে তুলেছে।
এই পরিস্থিতিতে মণিপুর প্রশাসনের দাবি “কুকিদের সাথে চুক্তিতে প্রশাসন পৌঁছাতে আশাবাদী। তাদের বক্তব্য, আন্দোলনকারী কুকি নেতারা কেউ তাদের দাবিতে এখনও পর্যন্ত ‘পৃথক প্রশাসন’, ‘আলাদা রাজ্য’ নিয়ে কোনও শব্দ উচ্চারণ করেনি। তাই আমরা নিশ্চিত যে মণিপুরে শান্তি প্রতিষ্ঠিত হলে এবং কুকিরা আরও নিরাপদ বোধ করতে শুরু করলে, তারা সমাধানটিসূত্রটি গ্রহণ করবে। এর জন্য এখন কিছুটা সময় হয়তো তারা নিতে পারে, তবে সমস্যার সমাধান হবেই।”
শান্তি আলোচনা মণিপুরের উপজাতিদের ‘টেরিটোরিয়াল কাউন্সিল’ প্রদানের মডিউলের উপর স্থির হয়েছিল। কুকি দলগুলি কুকি-জোমি এবং নাগা উপজাতিদের অধ্যুষিত ১০টি পার্বত্য জেলাকে দুটি আঞ্চলিক পরিষদে বিভক্ত করতে বলেছিল, একটি নাগাদের জন্য এবং অন্যটি কুকি-জোমি গোষ্ঠীগুলির জন্য। বীরেন সিং-এর নেতৃত্বাধীন সরকার প্রস্তাব করেছিল যে ১০টি আঞ্চলিক পরিষদ থাকবে, প্রতিটি জেলার জন্য একটি। কেন্দ্র ২-২-১ এর বিভাজনের প্রস্তাব দেয়, এই প্রস্তাবে জোমি বিদ্রোহী গোষ্ঠীগুলির সমর্থন ছিল।
মণিপুরের একজন কেএনও নেতা দাবি, “আমরা কিন্তু যা চাইছি হচ্ছে না। আমাদের পক্ষে মেইতিদের সাথে আর বেঁচে থাকা সম্ভব নয়, তাই আমরা একটি পৃথক প্রশাসন চাই।”
এই পরিস্থিতিতে শেষ পর্যন্ত মণিপুর শান্ত হলে দীর্ঘকালীন এই সমস্যা, যার মূলে অনিশ্চয়তা ও অবিশ্বাস রয়েছে তার নিরসন হয় কি না সেটাই দেখার।
❤ Support Us