- দে । শ
- জুন ১৫, ২০২৩
মণিপুরে একমাত্র মহিলা মন্ত্রীর বাসভবনে অগ্নিসংযোগ। নেপথ্যে কারা ? উত্তর খুঁজছে পুলিশ

বহু প্রচেষ্টা সত্ত্বেও মণিপুরে থামছে না হিংসা। এবার অশান্তির আগুন ছড়িয়ে পড়ল রাজ্যের একমাত্র মহিলা মন্ত্রীর বাসভবনে। নাম নেমচা কিগপেন। কাংপোকপি কেন্দ্রের বিধায়ক। সে সময় তিনি বা তাঁর পরিবারের কেউ বাড়ি ছিলেন না। তাই তাঁরা কোনো অপ্রীতিকর ঘটনার মুখোমুখি হননি। তবে, গোষ্ঠী সংঘর্ষ যে শুধু সাধারণ মানুষ নয়, নেতা-মন্ত্রীরাও যে আর সুরক্ষিত নন তা আবার প্রমাণিত হল। এ অগ্নিকাণ্ডের নেপথ্যে কারা রয়েছে তা জানতে ইতিমধ্যে তল্লাশি শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।
মণিপুরে পরিস্থিতি এখন এমন যে, রাজনৈতিক নেতা নেত্রীরাও সংঘর্ষের হাত থেকে রেহাই পাচ্ছেন না। নেমচেনের আগে রাজ্যের আর এক মন্ত্রী গোবিন্দাস কনথৌজামের আবাসস্থলেও তাণ্ডব চালিয়েছিল একদল দুষ্কৃতী। সে ঘটনায় তদন্ত এখনও শেষ হয়নি। তাঁর আগেই রাজ্যের বস্ত্রবয়ন ও শিল্পমন্ত্রীর বাড়িতে ঘটানো হল অগ্নিসংযোগ। প্রশাসনের শীর্ষ স্থানীয় আধিকারিকরা দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে সমগ্র পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেছেন। তাঁদের আশ্বাস, অগ্নিকাণ্ডের ঘটনায় জড়িতদের যত তাড়াতাড়ি সম্ভব খুঁজে বার করা হবে। তদন্তকারীদের অনুমান, নেমচা যেহেতু রাজ্যের কুকি সম্প্রদায়ের অন্তভূর্ক্ত তাই মেইতেইরা এঘটনায় হাত থাকতে পারে। তবে, এ নিয়ে অনুসন্ধান শেষ না হলে কোনো মন্তব্য করতে নারাজ তাঁরা।
মণিপুরে মাসাধিককালব্যাপী গোষ্ঠী হিংসায় এখনও পর্যন্ত বহু মানুষ মারা গিয়েছেন। আহত অনেকে। ঘর ছেড়েছেন আরো বেশি। অশান্তি রুখতে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে একাধিক উদ্যোগ নেওয়া হয়েছিল । স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজ্য সফরে এসেছিলেন। আলোচনা করেছেন রাজ্যের নেতা মন্ত্রী ও নাগরিক সমাজের প্রতিনিধিদের সঙ্গে। গঠিত হয়য় শান্তি কমিটি ও তিন সদস্যের বিচার বিভাগীয় কমিশন। সম্প্রতি, আসামের মুখ্যমন্ত্রী হিমন্ত বিশ্বশর্মাও অশান্তি ঠেকাতে বিবদমান দুই গোষ্ঠীর নেতাদের সঙ্গে কথাবার্তা শুরু করেছেন।তাতেও আয়ত্তে আনা যাচ্ছে না রাজ্যের পরিস্থিতি। অনেকেই রাজ্য ভাগের দাবি তুলছেন। কেন্দ্রীয় সরকার তা মানতে নারাজ। তাই এ টানাপোড়েনের আপাতত কোনো অন্তিম পরিণতি দেখা যাচ্ছে না। ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছেন নিরীহ সাধারণ মানুষ। প্রশ্ন উঠছে দায় কার?
❤ Support Us