- এই মুহূর্তে দে । শ
- জুন ১৯, ২০২৩
মণিপুরে অব্যাহত হিংসা। ফের লাগু কার্ফু, বাড়ল ইণ্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবা বন্ধের মেয়াদ

মণিপুরে ধারাবাহিক হিংসায় আহত হলেন এক ভারতীয় সেনা জওয়ান। টহলদারির সময় এক দল দুর্বৃত্তদের গুলিতে জখম হন তিনি। গুরুতর অবস্থায় তাঁকে লেইমাখং-এর সেনা হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। চিকিৎসকরা জানিয়েছেন আপাতত তাঁর শারীরিক পরিস্থিতি স্থিতিশীল।
সেনা সূত্রে জানা যাচ্ছে, রবিবার, কান্দো সাবাল থেকে একদল সশস্ত্র দুষ্কৃতী ইম্ফল পশ্চিম জেলার চিংমাং গ্রামে প্রবেশ করে। সেখানে গ্রামবাসীদের বাড়িতে লুঠতরাজ ও অগ্নিসংযোগের ঘটনা ঘটায় তাঁরা। অসহায় সাধারন মানুষ এমন আচমকা আক্রমনে হকচকিয়ে যান। তাঁরা দিগ্বিদিক জ্ঞানশূন্য হয়ে সাহায্যের আশায় ছুটতে থাকেন। সংবাদ সংস্থার খবর, সেসময় পাহারা দিচ্ছিলেন নিরাপত্তা বাহিনীর কয়েকজন জওয়ান। দুর্বৃত্তদের কাজে বাধা দিতে এলে তাঁদের সঙ্গে সেনার সরাসরি সংঘর্ষ বাঁধে। এতে আহত হন এক সেনা জওয়ান । জনবসতি হওয়ায় পাল্টা আঘাত হানেনি সেনা । বরং আহত সৈন্যকে নিয়ে গভীর রাতে দ্রুত লেইমাকং হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। চিকিৎসকরা পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে জানিয়েছেন, তিনি বিপদের বাইরে।
মণিপুরে হিংসা থামাতে একাধিক উদ্যোগ ইতিমধ্যেই নেওয়া হয়েছে। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী একাধিকাবার রাজ্য সফরে এসেছেন, বলছেন, হিংসা না থামালে কড়া ব্যবস্থা করা হপবে। প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন বিচার বিভাগীয় তদন্ত কমিশন গঠন করবার। কিন্তু তাতেও থামছে না সংঘাত। মারা যাচ্ছেব একের এক নির্দোষ মানুষ। গত সপ্তাহ থেকে শুরু হয়েছে মন্ত্রী ও অন্যান্য রাজনৈতিক নেতাদের বাসভবনে হামলা। যে ঘটনার সঙ্গে কারা জড়িত তা নিয়ে এখনও তদন্ত চলছে। রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে জান্নো হয়েছে, পরিস্থিতি স্বাভাবিক না হলে রাজ্যে ইন্টারনেট ও মোবাইল পরিষেবা চালু করা সম্ভব নয়। ২০ তারিখ পর্যন্ত বন্ধ রাখার কথা স্থির করা হয়েছে। কারফিউ সাময়িকভাবে শিথিল করা হলেও রবিবারের ঘটনার পর আবার তা জোরদার করা হয়েছে। তাই অসুবিধায় পড়ছেন সাধারণ মানুষ।
❤ Support Us