- এই মুহূর্তে দে । শ
- নভেম্বর ২৪, ২০২৩
বিধানসভার হাজিরা খাতায় করতে হবে সই, মমতার নয়া নির্দেশ নিয়ে কী বললেন ফিরহাদ
বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে সব বিধায়কের হাজিরা বাধ্যতামূলক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সদ্য শেষ হওয়া নেতাজি ইনডোরের মেগা বৈঠকে মুখ্যমন্ত্রী এই নির্দেশ দিয়ে বলেছিলেন, আমাদের চারজন বিধায়ক জেলে। ওরা চাইছে সংখ্যার রাজনীতি করতে। তাই বিধানসভায় সব বিষয়েই ওরা ভোটাভুটি চাইছে। তাই সব বিধায়কের বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে সঠিক সময় হাজির হতে হবে। এমনকি বিধানসভায় হাজির হয়ে হাজিরা খাতায় সই করার নির্দেশও দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। শুক্রবার বিধানসভার শীতকালীন অধিবেশনে উপস্থিত হয়ে তৃণমূল বিধায়করা পরিষদীয় মন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়ের ঘরে রাখা সেই হাজিরা খাতায় সই করলেন। তবে মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে বিধানসভার হাজিরা খাতায় সই করে এই নিয়মকে তিনি মানতে পারেন না বলে জানিয়ে রাজ্যের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী ফিরহাদ হাকিম বললেন, “আমরা কি স্কুলে পড়ি নাকি? এই বিষয়ে আমি সহমত নই।” ফিরহাদ এই মন্তব্য করলেন সাংবাদিকদের সামনেই। প্রসঙ্গত , শুধু বিধানসভায় হাজিরার সময়ই নয়, কোন বিধায়ক কখন বিধানসভা থেকে বেরিয়ে যাচ্ছেন সেই সময়ও তাঁকে সই করে লিখে দিতে হচ্ছে। এই ব্যবস্থার পুরোটাই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে শীতকালীন বিধানসভা অধিবেশনে চালু হয়েছে শুধু তৃণমূল বিধায়কদের জন্য।
মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে দ্বিমত পোষণ করে ফিরহাদ হাকিমকে নিয়ে গুঞ্জন শুরু হয়ে গেছে। কেউ কেউ বলছেন ফিরহাদ কি নিজেকে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঊর্ধ্বে ভাবেন? প্রসঙ্গত ফিরহাদ শুক্রবার সাংবাদিকদের সামনে বিধানসভার দলীয় হাজিরা খাতায় সই করার সময় বলেছেন,”নিজেদের দায়িত্ব রয়েছে। আমরাতো স্কুলের বাচ্চা নোই যে হাজিরা খাতায় সই করতে হবে।”
দলের মধ্যে এই মুহূর্তে ফিরহাদ হাকিম খুব ভালো অবস্থায় নেই। এর আগে তাঁর হাত থেকে কেড়ে নেওয়া হয়েছে পরিবহণ দফতর। চলতি বছরের শুরুর দিকে তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকে খোদ তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ফিরহাদ হাকিমকে ধমক দিয়ে বলেছিলেন, “ববি তুই বেশি কথা বলছিস। কর্পোরেশন নিয়ে বলবি। তার বাইরে কোনও বিষয়ে তোকে কথা বলতে হবে না। বলার আগে আমায় জিজ্ঞেস করে নিবি।” তারপর বেশ কিছু দিন নীরব ছিলেন ফিরহাদ হাকিম। মুখ্যমন্ত্রীর ধমক খেয়ে টক-টু-মেয়র অনুষ্ঠানে ফিরহাদ হাকিমকে অন্য প্রসঙ্গে প্রশ্ন করলে তিনি আবেগঘন কণ্ঠে বলে উঠেছিলেন, “কণ্ঠ আমার রুদ্ধ আজিকে, বাঁশি সঙ্গীতহারা…!”
পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে যখন প্রথম নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছিল তখনও এই ফিরহাদ হাকিম বলেছিলেন, “পার্থদার একার দোষ কোথায়? তিনি কেবিনেট সদস্য। কোনও দোষ হয়ে থাকলে সেটা সবার।” মহুয়া মৈত্র ইস্যুতে দল যখন কোনও অবস্থান স্পষ্ট করছিল না তখনও ফিরহাদ বলেছিলেন, “মহুয়া মৈত্র বেশি ভোকাল, তাই তাঁর বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র হচ্ছে।” এখন দেখার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে গিয়ে বক্তব্য রাখার পর দল তাঁর বিরুদ্ধে কি ব্যবস্থা নেয়।
❤ Support Us