প্রয়াত রামোজী রাও, শেষ শ্রদ্ধাজ্ঞাপনে মোদি থেকে মমতা

চলে গেলেন ইটিভি নেটওয়ার্ক ও রামোজি ফিল্ম সিটির প্রধান চেরুকুরি রামোজী রাও। মিডিয়া জগত তাঁকে চেনে রামোজি রাও নামে। বয়স হয়েছিল ৮৭। দীর্ঘদিন উচ্চ রক্তচাপ ও শ্বাসকষ্ট নিয়ে ভুগছিলেন তিনি। অবস্থার অবনতি হলে ৫জুন হায়দ্রাবাদের একটি হাসপাতালে তাঁকে ভর্তি করানো হয়। আজ শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করলেন এই মিডিয়া ব্যারন।

The passing away of Shri Ramoji Rao Garu is extremely saddening. He was a visionary who revolutionized Indian media. His rich contributions have left an indelible mark on journalism and the world of films. Through his noteworthy efforts, he set new standards for innovation and… pic.twitter.com/siC7aSHUxK

— Narendra Modi (@narendramodi) June 8, 2024

তবে ইটিভির প্রাণপুরুষ সবচেয়ে বেশি পরিচিত বিশ্বের সর্ববৃহৎ ফিল্ম সিটি ‘রামোজি ফিল্ম সিটি’-র মালিক রূপে। তিনি ‘ঊষাকিরণ মুভিজ’ নামে একটি প্রযোজনা সংস্থার মালিক। বিভিন্ন ভাষার ছবি প্রযোজনা করেন তিনি। জাতীয় পুরস্কারও জিতেছেন । তেলুগু সংবাদমাধ্যমে তাঁর উল্লেখযোগ্য অবদানের কথা স্বীকার করেছেন সবাই। তাঁর মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন দেশের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি থেকে শুরু করে পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এক্স হ্যান্ডলে মোদি লিখেছেন, ‘রামোজি রাওয়ের মৃত্যু অত্যন্ত দুঃখজনক। তিনি ছিলেন এক দূরদর্শী ব্যক্তিত্ব, যিনি ভারতীয় গণমাধ্যমে বিপ্লব ঘটিয়েছিলেন। সাংবাদিকতা এবং চলচ্চিত্র জগতে তাঁর অবদান অনস্বীকার্য। রামোজি রাও ভারতের উন্নয়ন নিয়ে চিন্তাশীল ছিলেন। আমি ভাগ্যবান যে তাঁর সঙ্গে যোগাযোগ করার এবং তার প্রজ্ঞা থেকে উপকৃত হওয়ার বেশ কয়েকটি সুযোগ পেয়েছি। এই কঠিন সময়ে ওঁর পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং অগণিত ভক্তের প্রতি সমবেদনা রইল। ওম শান্তি।’

Saddened to know about the demise of media leader Ramoji Rao. Founder head of the Eenadu group, ETV network and a large film city, he was a torchbearer of specifically Telugu and generally the entire regional cultural-communication world.

I knew him well, and have personal…

— Mamata Banerjee (@MamataOfficial) June 8, 2024

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় লিখেছেন,’ রামোজি রাওয়ের মৃত্যুতে শোকাহত। এনাডু গোষ্ঠী, ইটিভি নেটওয়ার্ক এবং একটি বৃহৎ ফিল্ম সিটির প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন তিনি। রামোজি রাওয়ের তেলুগু এবং সমস্ত আঞ্চলিক সাংস্কৃতিক সম্পর্কের নিশান বয়ে নিয়ে গিয়েছেন। আমি তাঁকে ভাল করে চিনতাম এবং তাঁকে নিয়ে আমার ব্যক্তিগত স্মৃতি রয়েছে। একবার উনি আমাকে ওঁর স্টুডিয়োতে আমন্ত্রণ জানিয়েছিলেন, যেখানে আমি এবং অন্য এক রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী তাঁর সঙ্গে দেখা করি। আমার আজও সেই দিনের কথা মনে আছে। আমি ওঁর পরিবার, বন্ধুবান্ধব এবং অনুগামীদের প্রতি আমার আন্তরিক সমবেদনা জানাই।’ নব্বই দশকের কলকাতা দূরদর্শনে সম্প্রচারিত সন্দীপ রায় পরিচালিত ‘ফেলুদা সিরিজ’-এর প্রযোজক ছিলেন তিনি।