Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • আগস্ট ২, ২০২৪

‌মণিপুরে স্থিতাবস্থা ফেরাতে জিরিবামে শান্তি বৈঠক

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
‌মণিপুরে স্থিতাবস্থা ফেরাতে জিরিবামে শান্তি বৈঠক

প্রায় দু’‌মাস ধরে হিংসাত্মক কার্যকলাপ চালানোর পর আসামের সীমান্তবর্তী মণিপুর রাজ্যের জেলায় স্বাভাবিক জীবন ফিরিয়ে আনতে অবশেষে সম্মত হয়েছে মেইতেই সম্প্রদায় এবং হামার উপজাতি। দুই সম্প্রদায়ের প্রতিনিধিরা বৃহস্পতিবার মণিপুরের জিরিবামে এক শান্তি বৈঠকে মিলিত হয়। সেই বৈঠকেই এই সিদ্ধান্ত দেওয়া হয়েছে। সিআরপিএফ–এর গ্রুপ সেন্টারে এই বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। বৈঠক শেষে জেলা প্রশাসক, সেন্ট্রাল রিজার্ভ পুলিশ ফোর্স ও আসাম রাইফেলসের প্রতিনিধিরা স্বাক্ষরিত একটি বিবৃতিতে শান্তি ফিরিয়ে নিয়ে আসার কথা বলেছেন।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে, স্বাভাবিক পরিস্থিতি ফিরিয়ে আনতে এবং অগ্নিসংযোগ ও গুলিবর্ষণের ঘটনা প্রতিরোধে উভয় পক্ষই পূর্ণ প্রচেষ্টা চালাবে। দুই পক্ষই জিরিবামে নিরাপত্তা বাহিনীকে সহযোগিতা করতে এবং মানুষের নিয়ন্ত্রিত ও সমন্বিত চলাচল নিশ্চিত করতে সম্মত হয়েছে। এই শান্তি বৈঠকে জিরিবামে বসবাসকারী পাইত, থাডউ এবং মিজো উপজাতির প্রতিনিধিরাও অংশ নেন।

মণিপুরের রাজধানী ইম্ফল থেকে ২৫০ কিমি দূরে জিরিবাম। ২০২৩ সালের মে মাসে মেইতি ও কুকিদের মধ্যে জাতিগত হিংসা শুরু হয়। পরে তা থেমে যায়। প্রায় এক বছরেরও বেশি সময় ধরে হিংসা দেখা যায়নি। গত জুন মাসে আবার সংঘর্ষ শুরু হয়। উভয় সম্প্রদায়ের এক হাজারেরও বেশি লোক ত্রাণ শিবিরে আশ্রয় নিতে বাধ্য হয়। হামার সুশীল সমাজের গোষ্ঠীগুলি অভিযোগ করেছিল যে, মেইতি বিদ্রোহীরা জিরিবামে তাদের গ্রামে আক্রমণ করছে।

এদিকে, বিষ্ণুপুর–চুরাচাঁদপুরের পার্বত্য জেলাগুলির আইনশৃঙ্খলা দেখার জন্য সিআরপিএফকে আসাম রাইফেলসের দুটি ব্যাটালিয়ন মোতায়েন করার পরিকল্পনা নিয়েছে কেন্দ্র। এই পদক্ষেপের বিরুদ্ধে সরব কুকি–জো সম্প্রদায়। গোয়েন্দা রিপোর্টে জানা গেছে, যখন সিআরপিএফ আসাম রাইফেলসকে মোতায়েন করতে আসবে, তখন কুকি-জো গোষ্ঠীগুলি প্রতিবাদ করার পরিকল্পনা করছে। আসাম রাইফেলস, উত্তর–পূর্বের সেন্টিনেল নামে পরিচিত। ভারত–মায়ানমার সীমান্তে বিদ্রোহ দমন অভিযানে এবং এই অঞ্চলে শান্তি বজায় রাখতে সহায়তা করার জন্য নিয়োজিত একটি সীমান্তরক্ষা বাহিনী। উত্তর–পূর্বে বিদ্রোহ দমন অভিযানে এর অবদান উল্লেখযোগ্য।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!