Advertisement
  • খাস-কলম
  • মে ১৯, ২০২৩

সে দিনের স্মৃতিচিহ্ন

মনোতোষ চক্রবর্তী
সে দিনের স্মৃতিচিহ্ন

ফাইল চিত্র

খবর ছড়ায় আগুনের মতো হাওয়ায় হাওয়ায়, খবর ছড়ায় মুখে মুখে। শিলচর রেলষ্টেশনে পুলিশের গুলি চলেছে।আহত, নিহত বহু মানুষ। ভাষার দাবিতে শহিদ হয়েছে। দাবানলের চেয়েও দ্রুত খবর ছড়িয়েছে চারিদিকে— গ্রামে গঞ্জে চাবাগানের বস্তিতে।স্কুলবালক চতুর্থ শ্রেণীর ছাত্রের কানে এভাবেই পৌঁছালো ১৯৬১ সালের মর্মান্তিক ঘটনা।

  শহর থেকে দূরে চা-বাগান।দেশ স্বাধীন হবার পর ধীরে ধীরে রাস্তা তৈরি হয়েছে। সদ্য চালু হয়েছে বাস সার্ভিস।দিনে একবার সকালবেলা চা-বাগানের উপর দিয়ে লক্ষ্মীপুর থেকে সোনাই হয়ে বাস যায় শিলচরে। বিকেলে আবার ফিরে আসে। সোনাই আর লক্ষ্মীপুরের ঠিক মাঝখানে সমদূরত্বে এই চা-বাগান। সবুজে সবুজে- ভরা টিলা ও জঙ্গলময় এক ভূমি। গা-ঘেষে  মস্ত এক হাওর।কাপ্তানপুর।


অবিস্মরণীয়


  সেদিন ছিল শুক্রবার। হাটবার। তখনও শেষ বিকেলের সান্ধ্য হাট জমাট বাঁধেনি।জ্যৈষ্ঠের খটখটে রোদে-ভরা দুপুর শেষ হয় হয়। এমন সময় মুখে মুখে ছড়িয়ে পড়া খবরের রেশ এসে আছড়ে পড়লো চা-বাগানে। পাল্টে গেল পরিবেশ। চারিদিক থমথমে । বাস এলো বিকেল বিকেল।নেমে-আসা যাত্রীদের মুখেও একই সংবাদ। তাদের কেউই ঘটনার প্রত্যক্ষদর্শী নয়। বাবার মুখে আক্ষেপ; স্বাধীন দেশে রক্ত ঝরলো ! মাতৃভাষায় কথা বলা, লেখাপড়া করা আমাদের অধিকার।সে অধিকার রক্ষার জন্য জীবন দিতে হলো?


মহান উনিশ-৬৩


অতশত বুঝতাম না তখন। বড়োদের কথা থেকে বুঝলাম মাতৃভাষার ইজ্জত রক্ষায় শান্তিপূর্ণ আন্দোলন করতে গিয়ে প্রাণ গেছে কয়েকজনের। হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন অনেক আহত সত্যাগ্রহী। পুলিশের বেপরোয়া গুলিতে রক্তে-রাঙ্গা স্টেশনে থমকে আছে ট্রেন।

অমর উনিশে’র স্মৃতি বলতে এটুকুই। শৈশব থেকে কৈশোরমুখী বালকের মনে এটুকুই চিহ্ন, সেদিনের।আজ শুক্রবার শহীদের দিন, মাতৃভাষার দিন আর প্রতিবাদের দিন।


শহিদ স্মরণে শিলচরে জন জোয়ারের পথ চলা। আগরতলা, শিলং, কলকাতায় বর্ণাঢ্য অনুষ্ঠান। স্লোগান, হৃদয়ে রবীন্দ্রনাথ, চেতনায় উনিশ



  • Tags:
❤ Support Us
আশ্রয় গ | ল্প রোব-e-বর্ণ
পথ ভুবনের দিনলিপি। পর্ব ১২ পা | র্স | পে | ক্টি | ভ রোব-e-বর্ণ
হিরণবালা । পর্ব ১২ ধা | রা | বা | হি | ক রোব-e-বর্ণ
error: Content is protected !!