- এই মুহূর্তে দে । শ
- নভেম্বর ৯, ২০২৪
কাটোয়ায় আবাস যোজনার তালিকায় একই নাম পাঁচবার।গরমিল নিয়ে বিজেপির নিশানায় শাসক দল। টেকনিক্যাল ভুল, বললেন পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ
আবাস যোজনা প্রকল্পের সমীক্ষায় মিলল ভূতূড়ে নাম। কাটোয়া-২নং ব্লকের জগদানন্দপুর পঞ্চায়েতের আবাসপ্লাস যোজনা প্রকল্পের তালিকায় আমডাঙা ও মুস্থুলি গ্রামে সুদেষ্ণা রায় নামে এক মহিলার উপভোক্তার তালিকার ৫ জায়গায় নাম রয়েছে। তবে প্রতিটি জায়গাতেই সুদেষ্ণার স্বামী ও বাবার নাম আলাদা। সমীক্ষক দল ঘুরে ওই দুই গ্রামে সুদেষ্ণা নামে কোন মহিলার খোঁজ পাননি। একই মহিলার নাম পাঁচ জায়গায় কী করে এল তাই নিয়ে শুরু হয়েছে চাপানউতোর। বিষয়টি সামনে আসায় ব্লক প্রশাসন ও স্থানীয় পঞ্চায়েতে একে অন্যের ঘাড়ে দায় ঠেলেছে। এটা ‘শাসক দলের দুর্নীতি ও পিঠ বাঁচাতে প্রশাসনকে শিখণ্ডী করছে’ বলে মন্তব্য জেলা বিজেপি নেত্রী সীমা ভট্টাচার্যর। ভূতুড়ে নাম তালিকাভুক্ত হওয়ায় ৫ জন প্রকৃত প্রাপক প্রকল্পের সুবিধা থেকে বঞ্চিত হলেন বলে দাবি গ্রামবাসীদের।
সংশ্লিষ্ট জগদানন্দপুর পঞ্চায়েত সূত্রের খবর, আবাসপ্লাস যোজনা প্রকল্পে কাটোয়া ২ নং ব্লকে এই মূহুর্তে মোট ৪৭৯ জনের নাম তালিকাভুক্ত। সেই তালিকা ধরে সমীক্ষা করতে গিয়ে ব্লক প্রশাসনের কর্মীরা দেখেন যে জগদানন্দপুর পঞ্চায়েতের আমডাঙা ও মুস্থুলি গ্রামে বিস্তর গরমিল। সুদেষ্ণা রায়ের নাম পাঁচ জায়গায় থাকার বিষয়টি প্রকাশ্যে আসে।
জগদানন্দপুর পঞ্চায়েতের প্রাক্তন প্রধান তথা কাটোয়া-২নং পঞ্চায়েত সমিতির বর্তমান পূর্ত কর্মাধ্যক্ষ গৌতম ঘোষাল বলেন, ‘আমি প্রধান থাকাকালীন প্রকৃত গরিব মানুষের নাম দিয়েছিলাম। কিন্তু, ব্লক অফিসের কোন কর্মীর টেকনিক্যাল ভুলের জন্যই সুদেষ্ণা রায়ের নামটা এতবার তালিকায় এসেছে বলে মনে হচ্ছে। সঠিক তদন্ত হোক। কেউ ইচ্ছাকৃত করলে শাস্তি হোক।’
এব্যাপারে পূর্ব বর্ধমান জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা কাটোয়ার বিধায়ক রবীন্দ্রনাথ চট্টোপাধ্যায় বলেন, ‘কোথাও কোন ভুল হয়ে থাকলে তা সংশোধন করার জন্যইতো সরকার নতুন করে সমীক্ষা চালাচ্ছে। কোন ত্রুটি থাকলে প্রশাসন তা সংশোধন করে দিচ্ছে।’ কাটোয়া-২ ব্লকের বিডিও আসিফ আনসারি বলেন, ‘ওই বিষয়টি শুনেছি। তদন্ত হচ্ছে।’
❤ Support Us