Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • এপ্রিল ২৮, ২০২৩

উত্তাল মণিপুর ! মুখ্যমন্ত্রীর সভায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ। জারি ১৪৪ ধারা, বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা

গোটা ঘটনার নেপথ্যে স্থানীয় আদিবাসী ও জনজাতি সংগঠন, দাবি পুলিশের

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
উত্তাল মণিপুর ! মুখ্যমন্ত্রীর সভায় ভাঙচুর, অগ্নিসংযোগ। জারি ১৪৪ ধারা, বন্ধ ইন্টারনেট পরিষেবা

স্থানীয় জনজাতিদের বিক্ষোভে গতকাল রাত থেকে উত্তাল মণিপুর। মুখ্যমন্ত্রীর পৌঁছানোর আগেই পুড়িয়ে দেওয়া হয় এক অনুষ্ঠানের সভামঞ্চ। লণ্ডভণ্ড করে দেওয়া হয়েছে অনুষ্ঠান স্থল। সারা রাত ধরে বার বার সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়েছে পুলিশ ও বিক্ষুব্ধ জনতা। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রনে সকাল থেকে রাজ্যের বেশ কিছু এলাকায় ১৪৪ ধারা জারি করা হয়েছে। বন্ধ রাখা হয়েছে ইন্টারনেট ও মোবাইল  পরিষেবা।

শুক্রবার ইম্ফল ৬৩ কিমি দূরে চূড়াচাঁদপুর জেলায় একটি একটি শরীরচর্চা কেন্দ্রের উদ্বোধনে আসার কথা ছিল মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিং-এর। সে উপলক্ষে বর্ণাঢ্য সভার  আয়োজন করা হয়েছিল। কিন্তু তার আসার আগের রাতেই অনুষ্ঠান স্থলের রীতিমতো দফারফা । একদল দুর্বৃত্ত সভাস্থলে ভাঙচুর চালায়, আগুন লাগিয়ে দেয়।  পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে এলে তাঁদের সঙ্গেও দুষ্কৃতীদের সংঘর্ষ ঘটে। পুরো ঘটনার ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ছড়িয়ে পড়েছে।   এ তাণ্ডব নৃত্য চলবার পর ঘোষিত কর্মসুচি পালিত হবে কিনা তা এখনও স্পষ্ট করে জানায়নি প্রশাসন। তবে, এলাকার বিভিন্ন অংশে নিরাপত্তা বাড়ানো হয়েছে। শুরু হয়েছে পুলিশের টহলদারি।

গোটা ঘটনায়  দায়ী করা হচ্ছে   স্থানীয় জনজাতি ও আদিবাসী মঞ্চের দিকে।  স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে  রাজ্যের  একাধিক নীতি নিয়ে বিক্ষুব্ধ তাঁরা। দীর্ঘদিন ধরে অসহযোগ আন্দোলন চালিয়ে যাচ্ছেন।   আসলে  স্থানীয় বনাঞ্চলগুলিতে সমীক্ষা চলছে। তাঁদের আশংকা, বনভূমি ধ্বংস করে   দেওয়া হতে পারে । তার থেকেও বেশি গুরুত্বপূর্ণ হল, গত কয়েক মাসের মধ্যে প্রশাসনিক মদতে  তিনটি গির্জা ভেঙে দেওয়া হয়েছে ।  যা খৃষ্ট ধর্মাবলম্বী আদিবাসীদের ধর্মীয় অনুভূতিতে সরাসরি আঘাত।  প্রশাসনের পক্ষ  থেকে বলা হয়েছে,  বেআইনি নির্মাণের কারণে এমন পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছিল। নিরাপত্তার অভাব বোধ করছিলেন  আদিবাসীরা। কিন্তু তাঁদের  অহিংস পথে চলা আন্দোলন হঠাৎ হিংসাত্মক হয়ে উঠল কেন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠছে।


  • Tags:
❤ Support Us
Advertisement
error: Content is protected !!