- প্রচ্ছদ রচনা
- ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২২
ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বিগ্ন মোদি! শীঘ্রই ক্যাবিনেট নিরাপত্তা কমিটির বৈঠকে বসছেন প্রধানমন্ত্রী
রাশিয়া- ইউক্রেন ইস্যুতে আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতে অবস্থান কী হওয়া উচিত, এছাড়াও ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়টিই প্রাধান্য পাবে এই বৈঠকে।

ইউক্রেনে রুশ বাহিনী আক্রমণ হেনেছে। গতকাল থেকেই চলছে যুদ্ধ। গতকালই ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভারতের প্রধানমন্ত্রীর কাছে আর্জি জানিয়েছিলেন, যুদ্ধ বন্ধ করতে পুতিনকে যেন পরামর্শ দেন মোদি। এদিকে আবার ভারতের বহু পুরনো মিত্র দেশ রাশিয়াও চায় ভারত রাশিয়াকে সমর্থন করুক। দিল্লি প্রথম থেকেই যুদ্ধের বিপক্ষে। রাষ্ট্রসঙ্ঘে ভারতের প্রতিনিধি সেকথাই জানিয়েছিল। তবুও যুদ্ধের দামামা যখন বেজেই গেছে তখন এই পরিস্থিতিতে কি করণীয় সেই ব্যাপারেই সিদ্ধান্ত নিতে আবার বৈঠকে বসতে চান প্রধানমন্ত্রী মোদি।
আগামিকাল দুপুর সাড়ে ১২ টা নাগাদ ক্যাবিনেট কমিটির বৈঠকে বসবেন প্রধানমন্ত্রী । ইউক্রেন পরিস্থিতি নিয়ে এই নিয়ে দ্বিতীয়বার বৈঠকে বসতে চলেছেন মোদি। সূত্রের খবর আগামিকালের বৈঠকে ভারতীয়দের দেশে ফিরিয়ে আনার বিষয়টিই সবথেকে বেশি প্রাধান্য পাবে। এখনও অবধি ইউক্রেনে প্রায় ২০ হাজারেরও বেশি ভারতীয় আটকে রয়েছেন। তাঁদেরকে ফিরেয়ে আনাই এখন সরকারের প্রধান দায়িত্ব। পাশাপাশি রাশিয়া- ইউক্রেন ইস্যুতে আন্তর্জাতিক স্তরে ভারতে কী অবস্থান হওয়া উচিৎ সেই বিষয়েও আগামিকালে বৈঠকে আলোচনা হবে বলেই খবর।
রাশিয়া-ইউক্রেন ইস্যুতে গতকালই গুরুত্বপূর্ণ বৈঠকে বসেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি । সেই বৈঠকে প্রতিরক্ষমন্ত্রী রাজনাথ সিং, অর্থমন্ত্রী নির্মলা সীতারামণ সহ শীর্ষ কেন্দ্রীয় সরকারি আধিকারিকরা উপস্থিত ছিলেন। বৈঠকের পর ইউক্রেনের দাবি মেনে নিয়ে গতকাল রাশিয়ান প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেছেন প্রধানমন্ত্রী। অন্যদিকে ইউক্রেন ইস্যুতে ভারতের সমর্থন চেয়েছে আমেরিকা, এদিকে ভারতের পুরানো বন্ধু রাশিয়াও ভারতে পাশে চাইছে । এই দুই দেশকেই কোনওভাবেই চটাটে রাজি নয় নয়া দিল্লি, সেই কারণে ভারতের তরফে মধ্যপন্থা অবলম্বন করে চলা সঠিক হবে বলে মনে করছিলেন অনেকে। এই পরিস্থিতিতে কী করা উচিৎ ভারতের? সেই নিয়েই আগামিকাল নিরাপত্তা বিষয়ক ক্যাবিনেট কমিটির সঙ্গে বৈঠকে বসতে চলেছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী।
উল্লেখ্য ইউক্রেনে রাশিয়ার হামলা নিয়ে গতকালই রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সঙ্গে কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী । সূত্রের খবর, নরেন্দ্র মোদিকে সাম্প্রতিক অবস্থা জানান পুতিন। মোদি পুতিনকে জানিয়েছিলেন, হিংসার বদলে কূটনৈতিক আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতি সামলানো যেতে পারে। অন্যদিকে জানা গিয়েছিল, রাশিয়া ও ন্যাটোর দেশগুলির মধ্যে বাস্তবসম্মত আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানেরও উল্লেখ করেছিলেন নমো।
❤ Support Us