- এই মুহূর্তে দে । শ
- নভেম্বর ১৮, ২০২৩
হাত না ধরলে, বঙ্গে ফুটত না ঘাসফুল । প্রতিদানে প্রাপ্তি শুধুই অসম্মান, বললেন সেলিম । প্রতিক্রিয়া অধীরের
হঠাৎ সিপিআই (এম) রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিমের নিশানায় কংগ্রেস। প্রবীণ এই সিপিআই (এম) নেতা মহম্মদ সেলিম শুক্রবার তৃণমূল কংগ্রেসকে (টিএমসি) কটাক্ষ করে বলেছেন, যখন পশ্চিমবঙ্গে শাসক দলের বিরুদ্ধে আন্দোলন হয়, তখন টিএমসি এমপি নেতা অভিষেক ব্যানার্জি, কংগ্রেস নেতা, রাহুলের সাথে দেখা করতে যান। সেলিমের দাবি কংগ্রেসের সমর্থন ছাড়া টিএমসি রাজ্যে ক্ষমতায় আসতে পারত না।
সেলিমের এই মন্তব্যে কড়া প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন তৃণমূল সাংসদ শান্তনু সেন। তিনি বলেছেন, “টিএমসি নিজেরাই ক্ষমতায় এসেছে। টিএমসি ২০২১ সালের বিধানসভা নির্বাচনে সিপিআই (এম) এবং কংগ্রেসকে শূন্যে নামিয়ে দিয়েছে। এখানে বিজেপির এজেন্ট হিসেবে কাজ করে তারা শূন্য হয়ে গেছে।”
সিপিআই (এম ) নেতা মহম্মদ সেলিম তাঁর দলের যুব শাখা ডিওআইএফআই-র “ইনসাফ যাত্রা” চলাকালীন একটি সমাবেশে ভাষণ দেওয়ার সময় এই মন্তব্য করেন। সেলিম বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় রাহুল গান্ধির বাড়িতে গিয়েছিলেন, তিনি একটি বিশেষ বিমানে উড়ে গিয়েছিলেন। যখন আমরা বলি “চোরদের ধর এবং জেলে পাঠাও, সেই চোর তখন কংগ্রেসের পায়ে পড়ে এবং বলে, “দাদা, আমাকে বাঁচাও।”
সেলিম বলেন, কিন্তু কংগ্রেস দলকে এটাও বুঝতে হবে যে তারা ২০১১ সালে তৃণমূলকে সমর্থন না করলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাইটার্স বিল্ডিংয়ে পৌঁছতেন না। কিন্তু ক্ষমতায় আসার ছয় মাসের মধ্যে কংগ্রেসের মন্ত্রীদের, কংগ্রেসকে সরকার থেকে লাথি মারার চেষ্টা করেছিলেন। কেউ দেখে শেখে, কেউ ঠেকে শেখে। বঙ্গ কংগ্রেস এটা বুঝতে পেরেছে।”
সেলিমের মন্তব্যের প্রতিক্রিয়ায় পশ্চিমবঙ্গ প্রদেশ কংগ্রেস প্রধান অধীর রঞ্জন চৌধুরী বলেছেন, “যারা বড় কথা বলছেন তাদের বলুন আমাদের বলার আগে আগে জ্ঞান অর্জন করতে। আমরা কি বলতে চাচ্ছি তা আমরা বুঝি। কি করা যেতে পারে? রাহুল গান্ধির বাড়িতে কেউ গেলে রাহুল গান্ধি কি বলবেন আমার বাড়িতে ঢুকবেন না? আমরা এটা করতে পারি না।”
সিপিআই(এম) এবং কংগ্রেসের রাজ্য নেতৃত্ব উভয়ই দাবি করছেন তারা “ইন্ডিয়া” জোটের অংশ, তারা আগামী বছর আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে টিএমসির সাথে বাংলায় কোনও “সামঞ্জস্য” করবে না। একজন সিনিয়র সিপিআই(এম) নেতা বলেছেন, “দল শীঘ্রই পশ্চিমবঙ্গে কংগ্রেসের সাথে জোটের আলোচনা শুরু করবে। তার আগে, সেলিম তৃণমূলের বিষয়ে আমাদের অবস্থান স্পষ্ট করেছেন এবং কংগ্রেসকেও সতর্ক করেছেন।”
এই আবহে বিজেপি নেতা শমীক ভট্টাচার্য বলেছেন, “প্রতিটি পদক্ষেপে এখানকার বাম নেতারা বোঝেন যে পশ্চিমবঙ্গে যারা বাম সমর্থক ছিলেন এবং আছেন, তারা দিল্লিতে সীতারাম ইয়েচুরির সাথে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চা খাওয়া মেনে নিতে পারবেন না। তাই মুখ বাঁচাতে এ ধরনের বক্তব্য রেখে ক্যাডারদের বিভ্রান্ত করার চেষ্টা করা হচ্ছে।”
❤ Support Us