- দে । শ
- ডিসেম্বর ১৪, ২০২৩
“মধ্যপ্রদেশের ধর্মস্থানে নিষিদ্ধ লাউডস্পিকার”, মসনদে বসেই ঘোষণ “সংঘ ঘনিষ্ঠ” মুখ্যমন্ত্রী মোহন যাদবের
মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী পদে বসেই বড় সিদ্ধান্ত নিলেন মোহন যাদব। “সংঘ ঘনিষ্ঠ” মুখ্যমন্ত্রীর প্রথম সিদ্ধান্ত, ধর্মীয় স্থান থেকে লাউডস্পিকার নিষিদ্ধ করতে হবে। বুধবারই মধ্যপ্রদেশের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নিয়েছেন মোহন যাদব। তার পরেই এই সিদ্ধান্ত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। উল্লেখ্য, মসজিদ ও অন্যান্য ধর্মস্থানে লাউডস্পিকার বাজানো নিয়ে একাধিকবার বিতর্ক হয়েছে সারা দেশে। এই বিষয়ে এলাহাবাদ হাই কোর্টের রায়ে বলা আছে, মসজিদে লাউডস্পিকার বাজানো কারও মৌলিক অধিকারের মধ্যে পড়ে না।
সরকারের তরফে বলা হয়েছে, নিয়ম বহির্ভূতভাবে ভাবে বা লাগামছাড়া ভাবে লাউডস্পিকার বাজালে সেটা নিষিদ্ধ করতেই হবে। তবে নিয়ম মেনে মাইক বাজানোয় কোনও নিষেধাজ্ঞা নেই। নির্দিষ্ট ডেসিবেলের মধ্যে নির্দিষ্ট সময়ে মাইক বাজানোর কথা বলা হয়েছে সরকারি নির্দেশে। লাউডস্পিকার বাজানো নিয়ে সুপ্রিম কোর্টের রায়ের কথাও স্মরণ করিয়ে দেওয়া হয়েছে মধ্যপ্রদেশ সরকারের তরফে।
তবে সংঘঘনিষ্ঠ নেতার এই সিদ্ধান্ত নিয়ে রাজনৈতিক মহলে তুমুল জল্পনা শুরু হয়েছে । গত বছর যোগী আদিত্যনাথের সরকার জানিয়েছিল, মন্দির, মসজিদে লাউডস্পিকারের শব্দ যেন বাইরে না আসে। মন্দির, মসজিদের প্রার্থনার শব্দ তার ভিতরেই সীমাবদ্ধ থাকা কাম্য। মুখ্যমন্ত্রী একথা বলার পরই রাজ্যে মন্দির, মসজিদ মিলিয়ে ১৭ হাজার ধর্মস্থানে লাউডস্পিকারের শব্দের মাত্রা কমিয়ে অনুমোদিত সীমার মধ্যে বেঁধে রাখা হয়। অভিজ্ঞ মহলের ধারণা, বিজেপি হাইকমান্ডের নির্দেশেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন মোহন যাদব।
মোহন যাদবকে একাধিক হেভিওয়েট নেতাকে বাতিল করে মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে বেছে নিয়েছে বিজেপির শীর্ষ নেতৃত্ব। তবে বিজেপি রাহুল গান্ধির জাতপাত নিয়ে প্রশ্ন তোলার ফলেই যে মোহন যাদবকে মুখ্যমন্ত্রী করে পিছিয়ে পড়া সম্প্রদায়কে বার্তা দিয়েছে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের রাজনৈতিক ভারসাম্য রাখতে, সেটা সহজেই অনুমেয়। আর তাই সুপরিকল্পিত ভাবে ওবিসি মুখ হিসাবে মোহন যাদবকে গেবলয়ের এই রাজ্যে মুখ্যমন্ত্রী করা হয়েছে। বিজেপি চাইছে, ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে বিজেপির জয় নিশ্চিত করতে কোনও ঝুঁকি নিতে চাইছে না। আর মোহন মুখ্যমন্ত্রীর আসনে বসেই সংঘের পথে গিয়েই তাঁর প্রথম প্রশাসনিক সিদ্ধান্ত ঘোষণা করলেন।
❤ Support Us