Advertisement
  • এই মুহূর্তে মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
  • অক্টোবর ১৯, ২০২৪

দাপট বজায় রেখেই ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে জয় তুলে নিল মোহনবাগান

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
দাপট বজায় রেখেই ডার্বিতে ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে জয় তুলে নিল মোহনবাগান

 আগের ম্যাচেই মহমেডানকে হারিয়ে আত্মবিশ্বাস অনেকটাই বাড়িয়ে নিয়েছিল মোহনবাগান। শনিবার ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধেও ডার্বিতে দাপট বজায় রেখেই জয় তুলে নিল। সবুজমেরুনের জয় ২–০ ব্যবধানে। আইএসএলে মোহনবাগানের বিরুদ্ধে জয় অধরাই থেকে গেল ইস্টবেঙ্গলের। শুধু তাই নয়, চলতি আইএসএলে এখনও জয়ের মুখ দেখল না।  টানা ৫ ম্যাচে হারতে হল লালহলুদ ব্রিগেডকে। অন্যদিকে, ৫ ম্যাচে ১০ পয়েন্ট নিয়ে নিগ টেবিলে দ্বিতীয় স্থানে উঠে এল মোহনবাগান।
আত্মবিশ্বাসের তলানিতে থাকা ইস্টবেঙ্গলের বিরুদ্ধে ফেবারিট হিসেবেই মাঠে নেমেছিল মোহনবাগান। এদিন আক্রমণভাগে জিমি ম্যাকলারেন ও গ্রেগ স্টুয়ার্টকে রেখে শুরু করেছিলেন মোহনবাগান সুপার জায়ান্ট কোচ হোসে মোলিনা। ম্যাচের শুরু থেকেই দাপট ছিল সবুজমেরুনের। একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে আসছিলেন মনবীর, ম্যাকলারেন, লিস্টনরা। ১৮ মিনিটে এগিয়ে যাওয়ার দারুণ সুযোগ এসেছিল মোহনবাগানের সামনে। গ্রেগ স্টুয়ার্টের সেন্টারে বাঁপায়ে জোরালো ফ্লিক দুর্দান্ত ভাবে বাঁচান ইস্টবেঙ্গল গোলকিপার প্রভসুখন গিল। পরের মিনিটেই কর্নার থেকে বল পেয়ে সেন্টার করেছিলেন শুভাশিস বসু। হেডে বল জালে পাঠিয়েছিলেন মনবীর সিং। অফসাইডের জন্য সেই গোল বাতিল হয়ে যায়।
২৫ মিনিটে আবার অপ্রতিরোধ্য হয়ে ওঠেন প্রভসুখন গিল। কর্নার থেকে ভেসে আসা বলে হেড করেছিলেন মনবীর। দুর্দান্ত সেভ করেন লালহলুদ গোলকিপার। পরের মিনিটেই প্রতিআক্রমণে উঠে এসে দারুণ শট নিয়েছিলেন মেহেদি তালাল। তাঁর সেই শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। ৪০ মিনিটে আবার সুযোগ এসে গিয়েছিল মোহনবাগানের সামনে। লিস্টন কোলাসোর শট আবার প্রতিহত করেন প্রভসুখন।
অবশেষে ৪১ মিনিটে প্রতিরোধের বাঁধ ভেঙে যায় প্রভসুখনের। ডানদিক থেকে নীচু সেন্টার করেছিলেন মনবীর সিং। ডানপায়ের দুরন্ত প্লেসিংয়ে বল জালে পাঠান জিমি ম্যাকলারেন। আগে তিনটি দুরন্ত সেভ করলেও প্রথম পোস্টে দাঁড়িয়েও ম্যাকলারেনের শট ঝাঁপিয়েও আটকাতে পারেননি। প্রথমার্ধে চূড়ান্ত দাপট দেখিয়ে ১–০ ব্যবধানে এগিয়ে থেকে মাঠ ছাড়ে মোহনবাগান। আরও বেশি ব্যবধানে এগিয়ে থাকলেও কিছু বলার ছিল না।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই ডেভিডের পরিবর্তে পিভি বিষ্ণুকে মাঠে নিয়ে এসেছিলেন অস্কার ব্রুজো। পরের দিমিত্রিয়স দিয়ামানতোকোস, মহম্মদ রাকিব, লালচুংনুঙ্গাদের নামান। তাতেও খেলায় ফিরতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল। তবে প্রথমার্ধের মতো দ্বিতীয়ার্ধের খেলায় ততটা গতি ছিল না। কিছুটা ঢিমিতালেই শুরু হয়েছিল। তার মধ্যেই মোহনবাগানের দাপট বেশি ছিল। ৬০ মিনিটে ব্যবধান বাড়ানোর সুযোগও এসেছিল। দ্রুত প্রতিআক্রমণে উঠে এসে এসে গোল লক্ষ্য করে শট নিয়েছিলেন লিস্টন কোলাসো। দ্বিতীয় প্রচেষ্টায় বল ধরে নেন প্রভসুখন। ৬৫ মিনিটে আবার সুযোগ এসে গিয়েছিল লিস্টন কোলাসোর সামনে। মনবীরের সেন্টারে সঠিকভাবে পা ছোঁয়াতে পারেননি।
৭৪ মিনিটে গ্রেগ স্টুয়ার্টের একটা দুরন্ত শট অল্পের জন্য লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। মিনিট পাঁচেক পর আবার সুযোগ এসেছিল মোহনবাগানের সামনে। স্টুয়ার্টের দুরন্ত ফ্রিকিকে পা ছোঁয়াতে পারেননি আরবার্তো রডরিগেজ। অবশেষে ৮৮ মিনিটে পেনাল্টি থেকে ব্যবধান বাড়ায় মোহনবাগান। পরিবর্ত হিসেবে মাঠে নামা দিমিত্রি পেত্রাতোসকে বক্সের মধ্যে ফাউল করেন প্রভসুখন গিল। রেফারি পেনাল্টির নির্দেশ দেন। পেনাল্টি থেকে গোল করেন পেত্রাতোস। এরপর আর ম্যাচে ফেরা সম্ভব ছিল না মোহনবাগানের।

  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!