Advertisement
  • ভা | ই | রা | ল
  • মে ২৮, ২০২২

সদ্যজাত মৃত সন্তানকে শুঁড়ে তুলে মাইলের পর মাইল হাঁটল মা হাতি, চোখে জল প্রত্যক্ষদর্শীদের

সদ্যজাত মৃত সন্তানকে শুঁড়ে তুলে মাইলের পর মাইল হাঁটল মা হাতি, চোখে জল প্রত্যক্ষদর্শীদের

নজিরবিহীন ঘটনার আবারও সাক্ষী হল ডুয়ার্স। মৃত হস্তীশাবককে শুঁড়ে তুলে মাইলের পর মাইল পথ হাঁটল মা হাতি। সন্তান স্নেহ, অনুভূতি যে শুধু মানুষেরই নয়, তা যেন প্রমাণিত হল আরও একবার। এই দৃশ্য দেখে চোখে জল ধরে রাখতে পারলেন না প্রত্যক্ষদর্শীরা। দু’দিন আগে একদল হাতি ঢুকে পড়েছিল বানারহাটের চুনাভাটি চা বাগানে। শুক্রবার সকালে হাতির দলটি চলে আসে আমবাড়ি চা বাগানে। বেলা বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে ছোট ছোট দলে ভাগ হয়ে রেড ব্যাংক চা বাগানের দিকে রওনা দেয় হাতিগুলি। বনদপ্তর জানিয়েছে, দলটিতে ছোট-বড় মিলিয়ে ৪০টি হাতি ছিল। চুনাভাটি চা বাগান থেকে কিছুটা দূরে একদিকে ডায়না আর একদিকে রেতির জঙ্গল। বনকর্মীদের অনুমান, এই দুই জঙ্গলের কোনও একটি থেকে হাতির দলটি লোকালয়ে চলে আসে।

আমবাড়ি চা বাগানের বাসিন্দারা লক্ষ্য করেন, দলের সব হাতি রেড ব্যাংক চা বাগানের দিকে রওনা দেয়। তবে একটি হাতি অনেক্ষণ দাঁড়িয়ে রয়েছে। দু’পাশে চা গাছ থাকায় হাতিটির গতিবিধি বুঝে উঠতে পারছিলেন না বাসিন্দারা। বেশ কিছুক্ষণ পর তাঁরা বুঝতে পারেন হাতিটির সঙ্গে একটি সদ্যোজাত বাচ্চাও রয়েছে। সেটি জীবিত নয়, মৃত দূর থেকে বোঝা সম্ভব হচ্ছিল না। শাবকটিকে নিয় ব্যস্ত মা হাতি। বারবার বাচ্চাটিকে আদর করছে সে। কিছুক্ষণ পর তাঁরা বুঝতে পারেন শাবকটির শরীরে প্রাণ নেই। মৃত সন্তানকে শুঁড়ে তুলে রেড ব্যাংক চা বাগানের পথ ধরেছে মা হাতিটি।

প্রায় ৮ কিলোমিটার পথ যেতে যেতে বাচ্চাটিকে কখনও মাটিতে রাখছে আবার কখনও আদর করছে মা। এভাবেই রেড ব্যাংক চা বাগানে গিয়ে দাঁড়ায় মা হাতিটি। সেখানেই ছড়িয়ে ছিটিয়ে অপেক্ষায় ছিল দলের বাকি সদস্যরা।

বাচ্চা-সহ মা হাতিটিকে ঘিরে দাঁড়ায় তারা। ততক্ষণে ঘটনাস্থলে এসে হাজির হন বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডের বনকর্মীরা। সকাল গড়িয়ে দুপুর, বিকেল মৃত সন্তানকে আগলে দাঁড়িয়ে থাকে মা হাতি। যা দেখে চোখের জল সামলে রাখতে পারেননি প্রত্যক্ষদর্শী এবং বনকর্মীরা। বিন্নাগুড়ি ওয়াইল্ড লাইফ স্কোয়াডের রেঞ্জ অফিসার শুভাশিস রায় জানান, যতক্ষণ না মা তার মৃত সন্তানকে রেখে চলে যায় ততক্ষণ অপেক্ষা করাই নিয়ম। তারপরই হস্তিশাবকের দেহ উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের ব্যবস্থা করা হবে। রিপোর্ট হাতে আসার পর সদ্যোজাত হস্তিশাবকের মৃত্যুর কারণ স্পষ্ট হবে।
উল্লেখ্য গত বছরও এমনই একটি ঘটনার সাক্ষী হয়েছিলেন বৈকন্ঠপুর বন বিভাগের কর্মীরা। গৌরিকোন এলাকায় মৃত শাবককে ঘিরে তিনদিন দাঁড়িয়ে ছিল দশটি হাতির একটি দল। তিনদিন পর হাতির দলটিকে সরিয়ে শাবকের দেহ সৎকারের ব্যবস্থা করেন বনকর্মীরা।


❤ Support Us
গুম গ | ল্প রোব-e-বর্ণ
ধারাবাহিক: একদিন প্রতিদিন । পর্ব ৫ পা | র্স | পে | ক্টি | ভ রোব-e-বর্ণ
পথ ভুবনের দিনলিপি । পর্ব এক ধা | রা | বা | হি | ক রোব-e-বর্ণ
error: Content is protected !!