Advertisement
  • দে । শ
  • ডিসেম্বর ৯, ২০২৩

বিদ্রোহীদের চাপে দিশেহারা মায়ানমারের জুন্টা সরকার, এবার কী ‘শান্তি’ ফিরবে ?

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
বিদ্রোহীদের চাপে দিশেহারা মায়ানমারের জুন্টা সরকার, এবার কী ‘শান্তি’ ফিরবে ?

মায়ানমারের সামরিক জুন্টা সরকার সশস্ত্র গোষ্ঠীগুলির জোটবদ্ধ আক্রমণের মুখে কার্যত দিশেহারা অবস্থায় পড়েছে। দেশের প্রায় অর্ধের অংশ ইতিমধ্যেই জুন্টার হাতের থেকে বেরিয়ে গিয়েছে। কী করে শাসন টিকিয়ে রাখা যাবে, এখন তা নিয়ে চিন্তার অন্ত নেই এই সামরিক শাসকদের। ক্রমপরিবর্তিত পরিস্থিতিতে তাই কঠোর মনোভাব ছেড়ে এবার আবেদন-নিবেদন এবং আলোচনার মাধ্যমে পথে ফেরার উল্টোসুর শোনা যাচ্ছে সামরিক শীর্ষকর্তাদের গলায়।

২০২১ সালে আউং সান সু চি-র সরকারের পতনের পর থেকেই মায়ানমারের পরিস্থিতি উত্তাল হয়। কিন্তু ২০২৩ সালের অক্টোবর মাসের শেষ দিকে মায়ানমারের তিনটি বড় বিদ্রোহী গোষ্ঠী মিলে তৈরি “থ্রি ব্রাদারহুড অ্যালায়েন্স” বা টিবিএ-এর “অপারেশন ১০২৭” নামক যৌথ অভিযানে এখন টলমল দেশের সামরিক জুন্টা সরকারের গদি।

২০২১ সালের ফেব্রুয়ারিতে সেনা অভ্যুত্থান ঘটিয়ে আউং সান সু চি-র ‘ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমোক্র্যাসি’ বা এনএলডি-র সরকারকে উৎখাত করে দেশের ক্ষমতা দখল করে সামরিকবাহিনী। তার পর থেকে মায়ানমারে চলছে একচ্ছত্র সামরিক শাসন। ইতিহাসের পাতায় ঠাঁই পেয়েছে গণতন্ত্র এবং মানুষের অধিকারের মতো শব্দগুলি। সেই পরিস্থিতির পরিবর্তন কি সূচিত হতে চলেছে টিবিএ হানার মধ্যে দিয়ে?

লিগ সরকারের পতনের পরেই দেশের বিভিন্ন প্রান্তে গণতন্ত্র পুনঃপ্রতিষ্ঠার দাবিতে পথে নামেন বহু মানুষ। তাঁদের নির্বিচারে কারাবন্দি করে রেখেছে জুন্টা সরকার। সমীক্ষা বলছে, জুন্টা সরকারের আমলে মায়ানমারে চার হাজারেরও বেশি গণতন্ত্রকামী আন্দোলনকারী এবং নাগরিক সেনার হাতে নিহত হন, কারারুদ্ধ হন কুড়ি হাজারেরও বেশি।

এসবের পর থেকেই দেশে একচ্ছত্র আধিপত্য কায়েম করে সামরিক জুন্টা সরকার।

২০২১ সালে মায়ানমারে অভ্যুত্থানের ঘটনাটি আনুষ্ঠানিক ভাবে ঘটেছে ঠিকই, কিন্তু অভিজ্ঞ মহলের মতে, ২০১০ সাল থেকেই সে দেশে গণতন্ত্রে সামরিক হস্তক্ষেপ ক্রমশ বাড়তে থাকে। তারই সর্বোচ্চ প্রকাশ লিগ সরকারকে ফেলে দিয়ে দেশে একচ্ছত্র সামরিক শাসন জারি।

সু চি-র এনএলডি এবং তাঁর নির্বাসিত জোটসঙ্গীরা ন্যাশনাল ইউনিটি গভর্নমেন্ট বা এনইউজি তৈরি করেছে। যাকে সামরিক জুন্টা সরকারের সমান্তরাল প্রশাসন বলা হচ্ছিল। তাৎপর্যপূর্ণ ব্যাপার হল, এনইউজিকে স্বীকৃতি দিয়েছে ইউরোপীয় ইউনিয়ন। যাঁরা জুন্টা সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক নিন্দাপ্রস্তাব পাশ করিয়েছে। ফলে পশ্চিমি শক্তিগুলি সু চি-র পাশেই দাঁড়িয়েছে বরাবর। এ ক্ষেত্রে জুন্টার হাতের পুতুল হয়ে উঠেছিল চিন।

মায়ানমারে নিযুক্ত চিনা রাষ্ট্রদূত চেন হাইয়ের সঙ্গে বৈঠক করেন জুন্টা সরকারের বিদেশমন্ত্রী থান শোয়ে-সহ কয়েক জন সামরিক শীর্ষকর্তা। মায়ানমারের সরকারি টিভি চ্যানেল “গ্লোবাল নিউজ লাইট অব মায়ানমার”-এ প্রচারিত খবরে বলা হয়েছে, “বৈঠকে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক, দু’দেশের জন্য লাভজনক যৌথ প্রকল্প বাস্তবায়ন, সীমান্তে শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং আইনের শাসন বজায় রাখার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে।”


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!