- দে । শ
- সেপ্টেম্বর ২০, ২০২৩
বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিক থেকে অধ্যাপক এমনকী, উপাচার্যদের বেতন প্রক্রিয়ায় বিরাট পরিবর্তন আনতে চলছে নবান্ন

রাজ্যের সমস্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের আধিকারিক থেকে অধ্যাপক এমনকী, উপাচার্যদের বেতন প্রক্রিয়ায় বিরাট পরিবর্তন আনতে চলছে নবান্ন। এই বিষয় নিয়ে বুধবার নবান্নে বৈঠক করলেন রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিব পি বি গোপালিকা। এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন ১১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিনান্স অফিসার। সেই বৈঠকেই নতুন বেতন প্রক্রিয়া নিয়ে প্রস্তাব দেয় রাজ্য। তবে এই বিষয়টি চূড়ান্ত হওয়া এখনও বাকি আছে।
এদিনের বৈঠকে ঠিক হয়েছে, এবার থেকে বিশ্ববিদ্যালয়ের সমস্ত অফিস স্টাফ থেকে অধ্যাপক কিংবা উপাচার্যদের বেতন যাবে রাজ্য সরকারের ট্রেজারি বা কোষাগার থেকে। আগে বিশ্ববিদ্যালয়গুলির অফিসার, অধ্যাপক, উপাচার্যদের এই বেতন যেত বিশ্ববিদ্যালয়ের নিজস্ব অ্যাকাউন্ট থেকে। রাজ্যের কোষাগার থেকে সেই টাকা আসত বিশ্ববিদ্যালয়ের তহবিলে। পাশাপাশি জেনারেল প্রভিডেন্ট ফান্ডও কেন্দ্রীভূত করার ভাবনাচিন্তা করা হচ্ছে। এদিনের বৈঠকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ফিনান্স অফিসারদের সঙ্গে এবিষয় একপ্রস্থ আলোচনা হয়েছে বলে নবান্ন সূত্রে জানা গেছে।
এই বৈঠক যখন ডাকা হয়েছিল তখনই অধ্যাপক সংগঠনের সদস্যরা বিষয়টি নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন। তাঁদের দাবি, বিশ্ববিদ্যালয়ের বেতন প্রক্রিয়াটি বিকাশ ভবনের কেন্দ্রীভূত করার পরিকল্পনা করা হচ্ছে। অর্থাৎ বিকাশ ভবন থেকে কারও বেতন যদি আটকে দেওয়া হয় তাহলে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষের আর কিছু করার থাকবে না। একই আশঙ্কা প্রকাশ করেছে রাজনৈতিক মহলও।
এই মুহূর্তে উপাচার্য নিয়োগ নিয়ে রাজ্য-রাজ্যপাল সংঘাত তুঙ্গে। এই সংঘাতের মধ্যেই মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় হুঁশিয়ারি দিয়েছিলেন, “কোনও বিশ্ববিদ্যালয় নির্দেশ রাজ্যপালের নির্দেশ মেনে চললে আর্থিক বাধা তৈরি করব। দেখি, কোন উপাচার্যকে বেতন কে দেয়? উনি শুধু নিয়োগপত্র দিতে পারেন, বেতন দিই আমরাই।” এরপরই বেতন প্রক্রিয়ায় আচমকা বদলের সিদ্ধান্ত ঘিরে কলেজ-বিশ্ববিদ্যালয়ে এখন জল্পনা তুঙ্গে।
❤ Support Us