- ন | ন্দ | ন | চ | ত্ব | র
- মার্চ ২৪, ২০২২
বীরভূমের অভিনব মেলা শুরু, এই মেলার অন্যতম আকর্ষণ ক্রেতাও খুদে-বিক্রেতাও খুদে!

মেলায় বড়রা যত না আনন্দ করে তার চেয়ে ছোটোদের মজা হয় দ্বিগুণ। পাপড়, জিলিপি, ঘুগনি, চড়কি-দোলনা, বেলুন, বাঁশি, মন মাতানো খেলনার ছড়াছড়ি। পাশাপাশি পুতুল নাচ, ম্যাজিক শো ইত্যাদি তো বাড়তি পাওনা।ছোটোদের কথা মাথায় রেখেই বীরভূমে এমন এক অভিনয় মেলার আয়োজন করা হয় যেখানে খুদেরাই হলেন বিক্রেতা এবং খুদেদের নিয়েই এই মেলার আয়োজন। বোলপুরের এই মেলায় খুদেরা বাড়ি থেকে নানান ধরনের খাবার তৈরি করে নিয়ে এসে বিক্রি করে।
যদিও মেলার শুরুটা হয়েছিল আজ থেকে ৩৯ বছর আগে। শান্তিনিকেতন ঘেষা সুভাষপল্লী মাঠে এই মেলার আয়োজন হয়। আবার কত বছর পর্যন্ত এই মেলার যে চেহারা ছিল সেই চেহারার আমূল পরিবর্তন হয়েছে এই বছর। কারণ যে জায়গায় এই মেলার আয়োজন করা হয়ে থাকে সেই জায়গা আগে ছিল পঞ্চায়েত এলাকাভুক্ত। সাধারণ মানুষের অন্যতম আকর্ষণের এই মেলায় অংশগ্রহণকারীদের বাড়ি থেকে আলো নিয়ে আসতে হতো। অনেক সময় লণ্ঠনের আলো জ্বেলেও হয়েছে এই মেলা। কিন্তু এই বছর এই এলাকা বোলপুর পৌরসভার দু’নম্বর ওয়ার্ডের অন্তর্ভুক্ত হওয়ায় স্থানীয় কাউন্সিলরের উদ্যোগে ঢালাওভাবে সাজানো হয়েছে এই মেলাকে। বৈদ্যুতিক আলো ছাড়াও খুদেদের দোকান করার জন্য নির্দিষ্ট জায়গা করে দেওয়া হয়েছে এবং মেলা প্রাঙ্গণ ঘিরে রাখা হয়েছে।
এবারের এই মেলায় ১০০ জনের বেশি খুদে অংশগ্রহণ করেছে । এলাকার কাউন্সিলের চন্দন মন্ডল বলেছেন, আগেও এই মেলার আলাদা আকর্ষণ থাকলেও সেই ভাবে সাজিয়ে গুছিয়ে হতো না। এই বছর থেকে আমি এখানকার কাউন্সিলর হওয়ার পর মেলাটিকে সাজিয়ে-গুছিয়ে করার উদ্যোগ নিই। কারণ এই মেলায় অঙ্গাঙ্গীভাবে জড়িয়ে রয়েছে খুদেদের বেচাকেনা এবং আনন্দ। এই মেলার বিশেষত্ব হলো, এখানকার যেসকল খাবারের দোকান বসানো হয়ে থাকে সেগুলির বিক্রেতা প্রত্যেকেই খুদে। কেউ ঘুঘনি নিয়ে, কেউ আবার কাটলেট, আলুর দম, চাট, পাপড় ভাজা, মিষ্টির নানা পিপারেশন ইত্যাদি নিয়ে এই মেলায় বিক্রির জন্য বসে। অর্থ উপার্জন এখানে বড় বিষয় নয়, কেবলমাত্র ছোটদের আনন্দের জন্যই এমন উদ্যোগ নেওয়া হয়।
❤ Support Us