- বি। দে । শ স | হ | জ | পা | ঠ
- মার্চ ২৮, ২০২৪
দীর্ঘতম সূর্যগ্রহণ ৮ এপ্রিল।ওইদিনই চাঁদের ছায়ায় রকেট পাঠাবে নাসা
আট এপ্রিল বছরের প্ৰথম পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ । ওই চাঁদের ছায়া পুরোপুরি ঢেকে দেবে সূর্যকে । সাড়ে সাত মিনিট ধরে স্থায়ী হবে গ্রহণ । গত ৫ দশকের মধ্যে এত দীর্ঘস্থায়ী সূর্যগ্রহণ হয়নি । সেই বিরলতম ঘটনার সময়ই চাঁদের দীর্ঘতম ব্যাসার্ধের ছায়ার উদ্দ্যেশে তিনটি রকেট উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা নিয়েছে মার্কিন মহাকাশ গবেষণা কেন্দ্র নাসা ।
পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে আয়নোস্ফিয়ার একটি গুরুত্বপূর্ণ স্তর । যা রেডিও এবং স্যাটেলাইট যোগাযোগে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে । সূর্যগ্রহণের সময়, পৃথিবীর বায়ুমণ্ডলে সূর্যালোকের আকস্মিক হ্রাসের ফলে কী পরিবর্তন হয়, আধুনিক যোগাযোগ ব্যবস্থায় তা কতটা প্রভাব ফেলবে, সেই সব বিষয় আশয় অধ্যয়ন করার লক্ষ্যেই নাসার এই প্রকল্প এপিইপি (Atmospheric Perturbations around the Eclipse Path) । এই মিশনের নেতৃত্বে রয়েছেন এমব্রী-রিডল অ্যারোনটিক্যাল ইউনিভার্সিটির ভারতীয় বংশোদ্ভূত অধ্যাপক অরোহ বরজাতিয়া ৷
৮ এপ্রিল, বিরলতম মহাজাগতিক ঘটনার দিনই, ভার্জিনিয়ায় নাসার ওয়ালপস থেকে ওই তিনটি রকেট উৎক্ষেপণ করা হবে । সূর্যগ্রহণের সময় চাঁদের ছায়া পৃথিবীর যে অংশে পড়বে, সেখানকার বায়ুমন্ডলের পরিবর্তনই ক্ষতিয়ে দেখবে ওই তিন অত্যাধুনিক প্রযুক্তির রকেট । ২০২৩ এর অক্টোবরেও সূর্যগ্রহণের সময় মেক্সিকোর হোয়াইট স্যান্ডস টেস্ট সেন্টার থেকে একইভাবে কয়েকটি রকেট উৎক্ষেপন করা হয়েছিল । সেই অভিজ্ঞতার নিরিখেই বেশকিছু পরিবর্তন করা হয়েছে এবারের মিশনে । সূর্যগ্রহণের চূড়ান্ত মুহূর্তে, গ্রহণ চলাকালীন এবং গ্রহণ শেষের পর, প্রতি ৪৫ মিনিট অন্তর একটি করে রকেট উৎক্ষেপন করা হবে বলে জানানো হয়েছে নাসার তরফে ।
মেক্সিকোর প্রশান্ত মহাসাগরীয় উপকূল থেকে ২০২৪ সালের প্রথম পূর্ণগ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে । চাঁদের ছায়া উত্তর-পূর্ব দিকে সরে যাওয়ায় মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের টেক্সাসে স্থানীয় সময় দুপুর ১:২৭ মিনিটে পূর্ণগ্রাস দেখা যাবে । এছাড়াও আটলান্টিক, কানাডা, মধ্য আমেরিকা, দক্ষিণ আমেরিকার উত্তরাঞ্চল, ইংল্যান্ডের উত্তর পশ্চিম অঞ্চল এবং আয়ারল্যান্ড থেকে দেখা যাবে দীর্ঘস্থায়ী সূর্যগ্রহণ ।
পৃথিবীকে প্রদক্ষিণ করার সময়ে চাঁদ যখন পৃথিবী আর সূর্যের মাঝখানে এসে পড়ে, তখনই সূর্যগ্রহণ হয় । চাঁদের ছায়া যেখানে যেখানে পড়ে, সেখান থেকে গ্রহণ দেখা যায় । ১৮ মাস পর পর একটি করে পূর্ণগ্রাস হয় সূর্যের । সেইসময়, দৃশ্যমান হয়ে ওঠে সূর্যের বায়ুমণ্ডল ।
সূর্যের কখনও আংশিক গ্রাস হয়, কখনও পূর্ণগ্রাস, আবার কখনও বলয়গ্রাস বা ‘রিং অফ ফায়ার’। আর যদি তিনটেই পরপর ঘটতে থাকে তাহলে তাকে বলে হাইব্রিড বা শংকর সূর্যগ্রহণ । এ বছর এপ্রিলে বিরলতম পূর্ণগ্রাস গ্রহণ হতে চলেছে যা দীর্ঘ সময় ধরে চলবে । একে বিরল মহাজাগতিক ঘটনা বলে অভিহিত করছেন জ্যোতির্বিজ্ঞানীরা ।
❤ Support Us