- এই মুহূর্তে
- জুন ৪, ২০২২
উপত্যকায় বাড়ছে টার্গেট কিলিং । পণ্ডিতদের কাশ্মীর ত্যাগের দায় এড়াচ্ছে মোদি সরকার

ক্রমেই ভয়াবহ হয়ে উঠছে জম্মু ও কাশ্মীরের পরিস্থিতি। গত ২৬ দিনে ১০ জনকে হত্যা করেছে সন্ত্রাসবাদীরা। অ-কাশ্মীরি বা হিন্দু নাগরিকদের ‘টার্গেট কিংলি’-এর পর আতঙ্কে রয়েছেন তাঁরা। প্রাণ বাঁচাতে উপত্যকা ছেড়ে চলে যাচ্ছেন অসংখ্য মানুষ। কাশ্মীরে ‘টার্গেট কিলিং’ নিয়ে ত্রস্ত কেন্দ্র সরকার। শুক্রবার দিল্লিতে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহর দফায় দফায় বৈঠকে একগুচ্ছ সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় ঠিকই, তবে সমস্যা কতটা মিটবে সেই প্রশ্ন থেকেই যায়। কাশ্মীরে একের পর এক খুনের ঘটনা নিয়ে কেন্দ্র সরকারের অস্বস্তি ও ব্যর্থতা ঢাকতেই ব্যস্ত কেন্দ্র। পরিস্থিতি সামাল দিতে স্থানীয় পুলিশ ব্যবহার, আরও বেশি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েনের পাশাপাশি, একটি এলাকা নির্বাচিত করে সেখানে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের রাখার ব্যবস্থার কথা ভাবা হচ্ছে । যদিও কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে নারাজ স্থানীয়রা । তাঁদের দাবি যেখানে নিরাপত্তাকর্মীরাও নিরাপদ নয়, তাহলে সাধারণ মানুষ কীভাবে নিরাপদে থাকবেন ?
কেন্দ্র তাঁদের নিরাপত্তা দিতে ব্যর্থ, এই অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যেই কাশ্মীরি পণ্ডিতরা উপত্যাকা ছেড়ে জম্মুতে ফিরতে চাইছেন। কিন্তু কেন্দ্র কোনওভাবেই সেটা চাইছে না। পণ্ডিতদের উপত্যকা ত্যাগের দায় নিতে চাইছে না মোদি সরকার। তার বিকল্প ব্যবস্থা হিসেবে উপত্যকায় ছড়িয়ে-ছিটিয়ে থাকা পণ্ডিতদের কাছাকাছি রাখার উপর জোর দেওয়া হবে বলে শাহর বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে । নব্বইয়ের দশকে কাশ্মীরি পণ্ডিতদের উপত্যকা থেকে বিতাড়নের সময় এমনই শরণার্থী শিবির হয়েছিল । তবে, এখন সরাসরি এই শব্দটি প্রশাসনের তরফে ব্যবহার করা হয়নি। কিন্তু এটা বোঝা গিয়েছে, যেভাবে চলতি বছরে সেখানে ২০টি এবং গত ২৬ দিনের মধ্যে দশ’টি টার্গেট কিলিংয়ের ঘটনা ঘটেছে তাতে কেন্দ্র সরকারের কপালে ভাঁজ চওড়া হচ্ছে ।
এদিকে, কাশ্মীরে একের পর এক হত্যাকাণ্ডে পাকিস্তানকে দায়ী করেছে কেন্দ্র। শাহর মন্ত্রকের দাবি, পাকিস্তান থেকে জঙ্গিরা ঢুকে সরাসরি হত্যা না করলেও, তাদের মদত এবং প্ররোচনাতেই স্থানীয় বাসিন্দাদের ব্যবহার করে হত্যালীলা চালানো হচ্ছে। এতে স্থানীয় প্রশাসনের গাফিলতিও দেখছে তারা।
শুক্রবার দুপুর একটা নাগাদ নর্থ ব্লকে শাহর মন্ত্রকে জম্মু-কাশ্মীরের উপরাজ্যপাল মনোজ সিনহার সঙ্গে প্রথম একান্ত বৈঠকে যা নিয়ে শাহ অত্যন্ত উষ্মাপ্রকাশ করেছেন বলেই জানা যায়। । তারপরেই আইবি এবং ‘আরএডব্লু’ প্রধানের সঙ্গে একান্ত বৈঠকে তাঁদেরকেও শাহ রীতিমত ধমক দিয়েছেন।
কাশ্মীরে গত বৃহস্পতিবার সন্ত্রাসীদের গুলিতে নিহত হন ব্যাঙ্ক ম্যানেজার । সেদিনই শাহ’র সপরিবারে সিনেমা দেখতে যাওয়া নিয়ে সমালোচনায় মুখর হয়েছেন বিরোধীরা।
❤ Support Us