Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • মে ১০, ২০২৪

মেরু প্রদেশের গবেষণার কাহিনী এবার স্কুলস্তরে, প্রস্তাব এনসিআরটিকে

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
মেরু প্রদেশের গবেষণার কাহিনী এবার স্কুলস্তরে, প্রস্তাব এনসিআরটিকে

উত্তর মেরু এবং দক্ষিণ মেরু নিয়ে ভারতের গবেষণামূলক অগ্রগতির কাহিনী এবার স্থান পেতে চলেছে স্কুলের পাঠ্যপুস্তকে। কেন্দ্রীয় ভূ বিজ্ঞান মন্ত্রক কেন্দ্রের স্কুল পাঠ্যের  সিলেবাস নির্ধারক সংস্থা এনসিআরটিকে এমন অনুরোধ করেছেন।

কেন্দ্রীয় ভূ বিজ্ঞান মন্ত্রকের সচিব এম রবিচন্দ্রন জানিয়েছেন ন্যাশনাল কাউন্সিল ফর এডুকেশনাল রিসার্চ এন্ড ট্রেনিং অর্থাৎ এনসিআরটি একটি এই সংক্রান্ত একটি কমিটি গঠন করেছে স্কুলস্তরে এই ধরনের গবেষণার গুরুত্বকে শিক্ষার্থীদের মধ্যে জাগরিত করতে। তাই এই সব গবেষণাকে পাঠ্যপুস্তকের অন্তর্ভুক্ত করতে চায় এনসিআরটি।

তিনি জানিয়েছেন, ‘ আমরা ইতিমধ্যেই একটি চিঠি পাঠিয়েছি। তাঁরা এই সংক্রান্ত একটি কমিটি গঠন করেছেন যারা দক্ষিণ মেরু, উত্তর মেরু, হিমালয় অভিযান প্রভৃতি এমন বেশ কয়েকটি অধ্যায় এমনকি জলবায়ু পরিবর্তন প্রভৃতিকে অন্তর্ভুক্ত করতে চায়। তাঁরা এই বিষয় নিয়ে এগোচ্ছেন।’
দক্ষিণ মেরু অভিযান এর আগে  এনসিআরটি পাঠ্যপুস্তকে থাকলেও দীর্ঘদিন তা আপডেট করা হয়নি। নতুন গবেষণা লব্ধ তথ্য তাতে অন্তর্ভুক্ত করা হয়নি। একই কথা প্রযোজ্য উত্তর মেরু এবং হিমালয় অভিযানের ক্ষেত্রেও।আগামী ২০২৬ শিক্ষাবর্ষে সমস্ত শ্রেণীর  পাঠ্যপুস্তকে অন্তর্ভুক্ত হবে বলে মনে করা হচ্ছে।

বিশ্বজুড়ে অতিমারির পরে এনসিআরটি জলবায়ু পরিবর্তন, বর্ষাকাল, গ্রিনহাউস গ্যাস প্রভৃতি বিষয়কে পাঠ্যপুস্তক থেকে সরিয়ে দিলে তা নিয়ে বিতর্ক তৈরি হয়। যদিও তা নিয়ে কাউন্সিলের সাফাই ছিল যে, অতিমারির জন্য স্কুলগুলি বন্ধ ছিল, ফলে শিক্ষার্থীদের ওপর সিলেবাসের চাপ কমানো এবং নতুন নতুন বিষয়বস্তুকে পাঠ্যপুস্তকের অন্তর্ভুক্ত করার জন্য এমন পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তাঁরা।

দক্ষিণ মেরুতে ভারতের প্রথম গবেষণাগার ছিল ‘দক্ষিণ গঙ্গোত্রী’,যা স্থাপিত হয় ১৯৮৩ সালে। যদিও পরে বরফে ডুবে যাওয়ার জন্য এটি পরবর্তীকালে পরিত্যক্ত হয়ে যায় । ভারতের এই মুহূর্তে সক্রিয় গবেষণাগার দুটি। একটি মৈত্রী, অন্যটি ভারতী।

ন্যাশনাল সেন্টার ফর পোলার এন্ড ওসান রিসার্চ-এর ডিরেক্টর থাম্নবান মেলথ বলেছেন, বিগত কয়েক বছরে বহু ভারতীয় ছাত্র দক্ষিণ মেরু গবেষণায় সংযুক্ত হয়েছে।  এবার যদি স্কুলস্তরে পাঠ্যপুস্তকে এই বিষয়গুলি অন্তর্ভুক্ত হয়, তাহলে যে গবেষণার ক্ষেত্র অনেক প্রসারিত হবে। মেরু প্রদেশে হাই স্কুলের শিক্ষার্থীদের পাঠানো সম্ভব কিনা এই নিয়ে জানতে চাওয়া হলে মেলথ বলেন, রসদজনিত সমস্যার কারণে সে সম্ভাবনা এই মুহূর্তে কঠিন। একজন ব্যক্তির দক্ষিণ মেরুতে যাওয়ার খরচ এক কোটি টাকা। তাছাড়া স্কুল শিক্ষার্থীদের ক্ষেত্রে অন্যান্য সমস্যাও আছে।
প্রসঙ্গত, এর  আগে কানাডিয়ান শিক্ষাবিদ ও পরিবেশবিদ জিওফ গ্রিন বিশ্বব্যাপী হাই স্কুল শিক্ষার্থীদের নিয়ে এরকম একটি কর্মসূচী করেছিলেন। সহযোগিতায় ছিলেন অন্যান্য পরিবেশবিদ, শিক্ষাবিদেরাও। সব বয়সের মানুষের জীবনে পরিবেশের গুরুত্ব কতটা অপরিসীম তা বোঝানোর জন্য এমন পদক্ষেপ নিয়েছিলেন তিনি।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!