- দে । শ
- মার্চ ২২, ২০২৩
সল্টলেকে দুটি বিলাসবহুল গাড়িতে কোটি কোটি টাকার হেরোইন । বাজেয়াপ্ত অন্তত ৩৩ হাজার প্যাকেট
ধৃত 'মাদক রানি' মেহতাব বিবির আদি বাড়ি কোথায় ?
চিত্র : সংবাদ সংস্থা
কলকাতায় মাদকের কারবার বাড়ছে। মাদক আসছে মূলত তিন পথে। মায়ানমার থেকে বাংলাদেশ হয়ে। দ্বিতীয়ত, মিজোরাম ও মণিপুর সংলগ্ন সীমান্ত দিয়ে প্রথমে অসমে ঢোকে। তারপর, পশ্চিমবঙ্গের নির্দিষ্ট রুট ছুঁয়ে ভারতের অন্যান্য প্রদেশে ছড়িয়ে পড়ছে। তৃতীয়ত, উত্তরবঙ্গে পাহাড়ি এলাকায় প্রবেশ করে রাজ্যের বিভিন্ন প্রান্ত, বিশেষ করে কলকাতার অপরাধ প্রবণ এলাকায় খুচরো মাদক ব্যবসায়ীদের হাতে পৌঁছে যায়। চোখ একটু খোলা রাখলেই দেখা যায়, মাদক সেবীরা টলতে টলতে ঘুরে বেড়াচ্ছে। জড়িয়ে পড়ছে হিংসায়। অভিজাত এলাকায় নেশাগ্রস্তদের দেখা মেলে না, কিন্তু এসব এলাকায় কেউ কেউ যে মাদক ব্যবসায় জড়িয়ে আছেন, তাঁর নিকটতম উদাহরণ– সল্টলেকের দুটি বিলাসবহুল গাড়ি থেকে কয়েক কোটি টাকার মাদক আটকের ঘটনা। পুলিশের বিশেষ বাহিনী (এসটিএফ) অভিযান চালিয়ে ৩৩ হাজারের বেশি হেরোইন প্যাকেটসহ দুটি গাড়ি আটক করেছে। দিন কয়েক আগেই বিধান নগর এলাকার নাওডাঙায় পুলিশ কয়েক কোটি টাকা মূল্যের মাদকসহ দুই পাচারকারী মোমিন খান ও মেহতাব বিবিকে আটক করে। ছাগলের খোঁয়াড়ের আড়ালে মেহতাব বিবি ও তাঁর স্বামী মাদকের ব্যবসা চালাত।
মঙ্গলবার গভীর রাতে আবার ওই এলাকায় পুলিশি অভিযান চালিয়ে দুটি দামী গাড়ি থেকে একটি বড়ো ব্যাগের ভেতরে রাখা অন্তত ৩০ হাজার হেরোইনের প্যাকেট বাজেয়াপ্ত করেছে। দুটি গাড়ির মালিকের খোঁজ চলছে। মেহতাব বিবি ও তাঁর স্বামীকে জেরা করে টাস্ক ফোর্স আরো বহু তথ্য জানার চেষ্টা করছে। মেহতাব বিবির আদি বাড়ি কোথায়– এ তথ্য এখনো অধরা। এছাড়াও, সার্ভে পার্ক এলাকায় তল্লাশি চালিয়ে নারকোটিক্সের আধিকারিকরা ১২৮ কেজি গাঁজা উদ্ধার করেছেন।
মাদক ব্যবসার সঙ্গে মহিলা যোগ সন্দেহ বাড়িয়ে তুলছে। সন্ত্রাসবাদীরা অনেক সময় মাদক পাচার করে অস্ত্র কেনার টাকা জোগাড় করে। ভারতের উত্তর-পূর্বে, আফগানিস্তানে , বাংলাদেশে কক্সবাজারে এলাকায় সন্ত্রাসীদের সঙ্গে মাদক ব্যবসার যোগাযোগ সন্দেহের বাইরে নয়। নাগাল্যাণ্ডে ও মিজোরাম সীমান্তের নিকটস্থ দক্ষিণ অসমের একাধিক ঘটনা প্রমাণ করে, মাদক পাচারের অন্যতম রুট হয়ে আছে সংশ্লিষ্ট এলাকাগুলি। কলকাতাকেও চোরাকারবারিরা নিরাপদ আশ্রয়স্থল ভেবে বসেছে। পুলিশ প্রশাসন সতর্ক। আতঙ্কিত উচ্ছৃঙ্খল সন্তানদের অভিভাবকরা।
❤ Support Us