- Uncategorized এই মুহূর্তে দে । শ
- জুন ২৩, ২০২৩
অসমের ২২ জেলা জলমগ্ন, বানভাসী প্রায় পাঁচ লক্ষ। বন্যার নিয়মিত সন্ত্রাস রুখতে সরকারি পদক্ষেপ কোথায়?
অসমের বন্যা পরিস্থিতির উন্নতির কোনো লক্ষণ নেই। গত ২৪ একটানা বৃষ্টিতে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাণ আরো বেড়েছে। রাজ্য বিপর্যয় মোকাবিলা দপ্তর সূত্রে জানানো হয়েছে, ২২ জেলার অবস্থা গুরুতর। জলমগ্ন একাধিক এলাকা। প্রায় ৫ লক্ষ মানুষ এখন সরাসরি জলযন্ত্রণার শিকার। প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে তাদেরকে নিরাপদে অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়ার চেষ্টা চলছে। ইতিমধ্যে জলে ডুবে তামুলপুরে একজনের মৃত্যুর খবর মিলেছে। অসহায়তার মধ্যে আশ্রয় শিবিরে দিন কাটাতে বাধ্য হচ্ছেন লাখ লাখ বিপন্ন মানুষ।
বিপর্যয় দফতরের রিপোর্টে উল্লেখ করা হয়েছে, রাজ্যের সবচেয়ে ক্ষতিগ্রস্ত জেলা হল বাজালি। সেখানে ২ লক্ষ ৬০ হাজার মানুষ চরম দুর্ভোগের মধ্যে রয়েছেন। তারপরেই রয়েছে নলবাড়ি। সেখানে বিপন্নতার শিকার ৭৭ হাজার ৭০২। বরপেটায় ৬৫ হাজার ২২১, লখিমপুরে ২৫ হাজার ৬১৩, বক্সায় ১৪ হাজার ২৩, তামুলপুরে ১৯ হাজার ২০৮, দারাঙে ১৩ হাজার ৭০৪, কোকরাঝাড়ে ৬ হাজার ৫৩৮ জন রীতিমতো জলবন্দি। অন্তত ১৪০৯১.৯০ হেক্টর জমি জলের নীচে। বিশেষজ্ঞরা জানাচ্ছেন এ পরিস্থিতি থেকে এতে সহজে রেহাই মিলবে না।কারণ ব্রহ্মপুত্রসহ রাজ্যের অধিকাংশ নদীতেই জলস্তুর বিপদসীমাকে পার করে ফেলেছে। তাই জোরহাট জেলার অধিকাংশ জায়গায় নদীবাঁধ, রাস্তা, সেতু বিপর্যস্ত। তবে, কামাখ্যায় এখনো কোনো বড় বিপর্যয়ের খবর পাওয়া যায়নি।
বন্যা কবলিত জেলাগুলিতে ৮৩টি ত্রাণ শিবির করা হয়েছে। সেসব জায়গায় আশ্রয় নিয়েছেন প্রায় ১৪ হাজার বাসিন্দা। সেখানের ৭৯টি ত্রাণ বিতরণ কেন্দ্র খোলা হয়েছে। প্রয়োজন হলে আরও ত্রাণ শিবির এবং ত্রাণ বিতরণ করা হবে সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। প্রশাসনিক সূত্রে বলা হয়েছে, বঙ্গাইগাঁও এবং ডিমা হাসাও এলাকার বহু জায়গায় ধস নেমেছে। যোরহাট, কামরূপ মেট্রোপলিটন, কোকরাঝাড় সহ বিভিন্ন এলাকা জলমগ্ন হয়েছে। আবহাওয়া দপ্তরের পূর্বাভাস, আগামী দুদিন অসমে আরও বৃষ্টি হতে পারে । তাতে সেখানের পরিস্থিতি আরও খারাপ হতে পারে বলে আশঙ্কা। ইতিমধ্যে প্লাবনে প্রায় সাড়ে তিন লাখ গবাদি পশু দুর্ভোগে পড়েছে বলে জানানো হয়েছে।
অসমের বন্যা কোনো নতুন ঘটনা নয়। প্রত্যেক বছরই ব্রহ্মপুত্র বা অন্য কোনো নদীর জলে প্লাবিত হয় বিহুর দেশ। ব্রিটিশ শাসন পরবর্তী সময়ে একাধিকবার প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে প্লাবন রুখতে কার্যকরী ব্যবস্থা গ্রহণ করার । কিন্তু তা হয়নি। সরকারি গাফিলতিকে এজন্য অনেকে দায়ী মনে করেন। তবে অসম যে ভৌগোলিক অঞ্চলে অবস্থিত তাতে এমন কোনো ব্যবস্থা নিলে সেখানকার প্রাকৃতিক ভারসাম্য নষ্ট হতে পারে এমন সম্ভাবনাকেও উড়িয়ে দেওয়া যায় না। তাই কোন ধরনের পদক্ষেপ রাজ্যে বন্যা রুখতে ব্যবহার করা হবে তা নিয়ে আগাম আলোচনা দরকার। নাহলে এমন বিপর্যয় আগামী দিনে আবারও আসতে পারে,।
❤ Support Us








