Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • নভেম্বর ১৭, ২০২৩

মিজোরামে মায়ানমারের শরণার্থী অনুপ্রবেশ, উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লি

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
মিজোরামে মায়ানমারের শরণার্থী অনুপ্রবেশ, উদ্বিগ্ন নয়াদিল্লি

ক্রমশ অগ্নিগর্ভ হয়ে উঠছে মায়ানমারের পরিস্থিতি। ভয়ঙ্কর আকার ধারণ করছে গৃহযুদ্ধ। বিদ্রোহীদের সঙ্গে জুন্টার সেনার সংঘর্ষ প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। আর এই গৃহযুদ্ধের জন্য হাজার হাজার শরণার্থী মিজোরাম সীমান্ত দিয়ে ভারতে প্রবেশ করছে। সীমান্ত পেরিয়ে শরণার্থীরা এদেশে প্রবেশ করায় গভীরভাবে উদ্বিগ্ন ভারত। গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে হিংসা বন্ধ করতে তৎপর কেন্দ্রীয় সরকার।

অক্টোবর মাস থেকে মায়ানমার সেনাবাহিনীকে তিনটি জাতিগত সশস্ত্র বাহিনীর আক্রমণের সম্মুখীন হতে হয়েছে।  কয়েক দিন ধরে ভারত সীমান্তের কাছে সেনাবাহিনীর সঙ্গে বিদ্রোহীদের তীব্র লড়াই হয়েছে। বিদ্রোহীরা বেশ কয়েকটা শহর এবং সেনা ঘাঁটি দখল করেছে। মিজোরামের চাম্পেই জেলার খুব কাছেই অবস্থিত মায়ানমারের রিখাওয়াদার। এই রিখাওয়াদারে দুটি সেনা ঘাঁটি রয়েছে। শুক্রবার বিদ্রোহী গোষ্ঠী এই সেনা ঘাঁটি দুটি দখল করে নিয়েছে। আতঙ্কে গ্রামবাসীদের সঙ্গে মিশে সেনারা গোপনে ভারতে ঢুকে পড়েছে। মিজোরাম–মায়ানমার সীমান্তে তল্লাশি সময় এই শরণার্থী সেনাদের হদিশ পেয়েছে ভারতীয় সেনা ও অসম রাইফেলস।

মিজোরাম পুলিশ জানিয়েছে সোমবার বিকেলে ৩৯ জন সেনাকে মায়ানমারে ফেরত পাঠানো হয়েছে। তবে রবিবার আরও ৫ জন মায়ানমার সেনা মিজোরামে ঢুকে পড়েছে। এদেরকেও শনাক্ত করে দেশে পাঠানো হবে বলে ভারতীয় সেনাবাহিনীর পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে। তবে অসহায় শরণার্থীদের এখনই মায়ানমারে ফেরত পাঠানো হবে না। মায়ানমারের গৃহযুদ্ধের জন্য ইতিমধ্যেই ভারতে প্রায় পাঁচ হাজার শরণার্থী ভারতে প্রবেশ করেছে। এর মধ্যে বেশ কিছু সেনাও রয়েছে। অনেক শরণার্থী ভারতের মিজোরাম সীমান্তে অপেক্ষা করছে এদেশে ঢোকার জন্য।

বৃহস্পতিবার ভারতীয় বিদেশ মন্ত্রকের পক্ষ থেকে স্বীকার করা হয়েছে যে, মায়ানমারে গৃহযুদ্ধের জন্য সীমান্ত পেরিয়ে বেসামরিক লোকরা এদেশে প্রবেশ করেছে। বিদেশ মন্ত্রকের মুখপাত্র অরিন্দম বাগচি বলেন, ‘‌ভারত–মায়ানমার সীমান্তে মিজোরামের জোখাওথার এলাকার উল্টোদিকে রিখাওয়াদার এলাকায় মায়ানমার সেনার সঙ্গে বিদ্রোহী গোষ্ঠীর তুমুল সংঘর্ষের জন্য মায়ানমারের সাধারণ নাগরিকরা ভারতের দিকে চলে এসেছে। দেশের সীমান্তের কাছে এই ধরনের ঘটনায় আমরা গভীরভাবে উদ্বিগ্ন। মায়ানমারের বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে আমাদের অবস্থান খুবই স্পষ্ট। হিংসা বন্ধ করতে চাই এবং গঠনমূলক আলোচনার মাধ্যমে পরিস্থিতির সমাধান চাই।’‌


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!