Advertisement
  • এই মুহূর্তে মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
  • নভেম্বর ১৪, ২০২৩

নিজেদের আন্ডারডগ মেনেও ভারতকে হুঙ্কার কেন উইলিয়ামসনের । অতীত নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না রোহিত । বিশ্বকাপ জয়ই ফোকাস

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
নিজেদের আন্ডারডগ মেনেও ভারতকে হুঙ্কার কেন উইলিয়ামসনের । অতীত নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছেন না রোহিত । বিশ্বকাপ জয়ই ফোকাস

বুধবার মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়েতে বিশ্বকাপের প্রথম সেমিফাইনালে মুখোমুখি ভারত ও নিউজিল্যান্ড । আইসিসি–র প্রতিযোগিতায় নিউজিল্যান্ড বরাবরই ভারতের কাছে শক্ত গাঁট । ১৩ বার সাক্ষাৎকারে ৯ বারই জিতেছে কিউয়িরা । বুধবার ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে পরিসংখ্যান কি উন্নত করতে পারবে ভারত ?‌
বিশেষজ্ঞরা অবশ্য সেমিফাইনালে ভারতকেই ফেবারিট হিসেবে ধরছেন । নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসনের গলাতেও ভারতকে সমীহর সুর ।

পরপর দুটি বিশ্বকাপে ফাইনালে উঠেও শেষরক্ষা হয়নি নিউজিল্যান্ডের । দুবারই হারতে হয়েছিল । ২০১৫ বিশ্বকাপে অস্ট্রেলিয়ার কাছে, ২০১৯ বিশ্বকাপে হাড্ডাহাড্ডি লড়াইয়ে ইংল্যান্ডের কাছে । এবার ভাগ্য বদলাতে মরিয়া কিউয়িরা । ভারতের বিরুদ্ধে নিজেদের পিছিয়ে রেখেই মাঠে নামতে চান নিউজিল্যান্ড অধিনায়ক কেন উইলিয়ামসন। ভারতের বিরুদ্ধে মাঠে নামার আগে তিনি বলেন, ‘‌আমাদের ঘাড়ে আন্ডারডগ তকমা জুড়ে দেওয়া হয়েছে । আন্ডারডগ হিসেবে মাঠে নামতে আমাদের অসুবিধা নেই । এই মুহূর্তে ভারত দুর্দান্ত ক্রিকেট খেলছে । তবে আমরাও তৈরি । নিজেদের দিনে সেরা ক্রিকেট খেললে আমাদের সামনেও জেতার সুযোগ আসবে ।’‌ বিশ্বকাপের মাঝপথে চোটের জন্য ছিটকে গেছেন ভারতের নির্ভরযোগ্য অলরাউন্ডার হার্দিক পান্ডিয়া । তা সত্ত্বেও ভারত যেভাবে ভারসাম্য বজায় রেখেছে, তার জন্য প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন কেন উইলিয়ামসন । তিনি বলেন, ‘‌প্রতিটা দলেরই কিছু আলাদা ভারসাম্য রয়েছে, যেটার ওপর তারা নির্ভর করে । হার্দিকের চোটের পর ভারতের ভারসাম্য কিছুটা পরিবর্তিত হয়েছে । তবে সুন্দরভাবে সামঞ্জস্য বজায় রেখেছে । আমাদের দলও অতীতে কিছুটা ভিন্ন ভারসাম্য নিয়ে খেলেছে । দল হিসেবে পারফরমেন্স করেছে ।’‌ উইলিয়ামসন আরও বলেন, ‘‌ভারত বিশ্বকাপে এখনও পর্যন্ত বাকি দলগুলির তুলনায় অনেক ভাল খেলেছে । প্রতিপক্ষ হিসেবে আমরাও ভাল ক্রিকেট উপহার দিয়েছি ।’‌

ভারতের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে প্রথম একাদশে খুব বেশি পরিবর্তনের রাস্তায় হাঁটছে না নিউজিল্যান্ড শিবির । চোটের জন্য লিগের শেষ ম্যাচে শ্রীলঙ্কার বিরুদ্ধে খেলতে পারেননি জিমি নিশাম । তাঁর জায়গায় খেলেছিলেন মার্ক চ্যাপম্যান । সেমিফাইনালে প্রথম একাদশে ঢুকছেন নিশাম । বাকি দল অপরিবর্তিত থাকবে ।

মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়াম তাঁর ক্রিকেটের আঁতুরঘর । সেই মাঠেই বুধবার অধিনায়ক জীবনের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ ম্যাচ খেলতে নামছেন রোহিত শর্মা । নিউজিল্যান্ডের বিরুদ্ধে সেমিফাইনালে মাঠে নামার আগে দলের অভিজ্ঞতা প্রসঙ্গে রোহিত শর্মা বলেন, ‘এটাই দলের সৌন্দর্য । ১৯৮৩ সালে ‌ভারত যখন প্রথমবার বিশ্ব চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল, তখন বর্তমান দলের কোনও খেলোয়াড়ের জন্ম হয়নি । ২০১১ বিশ্বকাপে এই দলের অর্ধেক ক্রিকেটার খেলেনি । তাই অতীত নিয়ে মাথা ঘামাচ্ছি না । আমাদের ফোকাস বিশ্বকাপ জয়ের দিকে, অতীতে কী ঘটেছে তার দিকে নয় । রোহিতের কথায়, ‘‌প্রথম ম্যাচ থেকে শেষ ম্যাচ পর্যন্ত, যখনই আপনি বিশ্বকাপের মতো প্রতিযোগিতায় মাঠে নামবেন, চাপ থাকবে । কিন্তু আমরা যেভাবে চাপ সামলেছি তা সত্যিই প্রশংসনীয় । আমরা এটা চালিয়ে যেতে চাই । ভারতে সবসময় চাপ থাকবে । আমরা বাইরের সমালোচনা শোনার পরিবর্তে নিজেদের খেলায় মনোযোগ দিতে চাই।’‌

লিগ পর্বের ম্যাচে নিউজিল্যান্ডকে হারালেও সেমিফাইনালে কেন উইলিয়ামসনের দলকে যথেষ্ট গুরুত্ব দিচ্ছেন রোহিত শর্মা । তিনি বলেন, ‘‌এই বিশ্বকাপে সম্ভবত সবচেয়ে সুশৃঙ্খল দল । খুব বুদ্ধিমত্তার সাথে খেলে । প্রতিপক্ষের মানসিকতা বোঝে এবং আমরাও তাই । ২০১৫ থেকে ধারাবাহিকভাবে সেমিফাইনাল এবং ফাইনাল খেলছে । আমরা জানি ওদের শক্তি কী এবং তাদের খেলা কেমন ।’‌

দলের পরিবেশ সম্পর্কে রোহিত বলেন, ‘‌এটি একটি সচেতন প্রচেষ্টা । আমরা এটি তৈরি করতে চেয়েছিলাম এবং এক বা দুজন খেলোয়াড় দিয়ে এই পরিবেশ তৈরি হয়নি, সাপোর্ট স্টাফসহ সবাই এতে অবদান রেখেছে । এমনকি আমরা একটি গোপন ফ্যাশন শোও করেছি । যেটা সৌভাগ্যবশত কেউ জানে না । আমাদের পরিবেশটা শুরু থেকেই খুব ভাল । আমরা দলের পরিবেশ সহজ রাখার জন্য সবকিছু করেছি ।’‌


  • Tags:

Read by:

❤ Support Us
Advertisement
homepage block Mainul Hassan and Laxman Seth
Advertisement
homepage block Mainul Hassan and Laxman Seth
Advertisement
শিবভোলার দেশ শিবখোলা স | ফ | র | না | মা

শিবভোলার দেশ শিবখোলা

শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।

সৌরেনি আর তার সৌন্দর্যের সই টিংলিং চূড়া স | ফ | র | না | মা

সৌরেনি আর তার সৌন্দর্যের সই টিংলিং চূড়া

সৌরেনির উঁচু শিখর থেকে এক দিকে কার্শিয়াং আর উত্তরবঙ্গের সমতল দেখা যায়। অন্য প্রান্তে মাথা তুলে থাকে নেপালের শৈলমালা, বিশেষ করে অন্তুদারার পরিচিত চূড়া দেখা যায়।

মিরিক,পাইনের লিরিকাল সুমেন্দু সফরনামা
error: Content is protected !!