- এই মুহূর্তে স | হ | জ | পা | ঠ
- মে ৩০, ২০২৪
রাহু গ্রাসে গ্রহ-নক্ষত্র ! নাসার নয়া অন্বেষণে চাঞ্চল্য

নাসার অন্বেষণে নয়া ব্ল্যাক হোলের হদিশ, যা তীক্ষ্ণ বস্তুকণার রশ্মি নিক্ষেপে সক্ষম । মার্কিন মহাকাশ গবেষণা সংস্থার গবেষকদের সাম্প্রতিক এই অনুসন্ধান নিয়েই শুরু হয়েছে আলোড়ন । মহাজাগতিক বিষয় আশয় নিয়ে হলিউডের এক জনপ্রিয় নির্মাণ স্টার ওয়ার্স । সেই চলচ্চিত্রেই গ্রহধ্বংসী একধরনের রশ্মির উল্লেখ ছিল । নয়া ব্ল্যাক হোলের হদিশ নিয়ে কল্পবিজ্ঞানের সেই স্মৃতিকেই উসকে দিয়েছেন বিজ্ঞানীরা । তাদের অভিমত, এই ব্ল্যাক হোলগুলি, রাহুর মতো আশেপাশের গ্রহকে গ্রাস করতে পারে।
নাসার পক্ষ থেকে এক বিবৃতিতে জানানো হয়েছে যে, চন্দ্র এক্স-রে অবজারভেটরি এবং ইউএস ন্যাশনাল সায়েন্স ফাউন্ডেশনের ন্যাশনাল রেডিও অ্যাস্ট্রোনমিকাল অবজারভেটারি মহাকাশে গরম গ্যাস দ্বারা পরিবেষ্টিত এক শক্তিশালী ব্ল্যাক হোল শনাক্ত করেছে। ন্যাশনাল রেডিও অ্যাস্ট্রোনমিকাল অবজারভেটারি দ্বারা পরিচালিত ভিএলভিএ-র রেডিওর পাঠানো তথ্য পর্যালোচনা করে ব্ল্যাক হোল থেকে কয়েক আলোকবর্ষ দূরে নিক্ষিপ্ত বস্তুকণার রশ্মি সম্বন্ধে জানা গিয়েছে ।
ইতালির বোলোগণা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফ্রান্সিস্কো উবারতোসি এই গবেষণার নেতৃত্ব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন, ‘প্রায় এক তৃতীয়াংশ বস্তুকণার রশ্মি এখন আগের চেয়ে সম্পূর্ণ ভিন্ন দিক নির্দেশ করছে, এই ‘ডেথ স্টার’ ব্ল্যাক হোলগুলি স্টার ওয়ারসের কাল্পনিক মহাকাশ স্টেশনের মতো চারিদিকে ঘুরছে এবং নতুন লক্ষ্যের দিকে নির্দেশ করছে। এই আবিষ্কারের পরে বিজ্ঞানীদের ধারণা, যে ব্ল্যাক হোল থেকে আসা বিমগুলি তাদের ছায়াপথে কতগুলি নক্ষত্র তৈরি হবে তা নির্ধারণের গুরুত্ব পূর্ণ ভূমিকা পালন করে। যদি বস্তুকণার রশ্মি গুলি প্রতিনয়ত তাদের দিক নির্দেশ পরিবর্তন করে, তাহলে তারা ছায়াপথে নতুন নক্ষত্র গঠনের ক্ষমতা কমিয়ে দিতে পারে। নয়া ব্ল্যাক হোল থেকে আসা রশ্মিগুলি নক্ষত্র এবং তার সঙ্গে সংশ্লিষ্ট গ্রহগুলির ক্ষতি করছে কিনা তা এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি। সেন্টার ফর অ্যাসট্রোফিজিক্সের সহ লেখক গ্যারি সেলেনবার্গার উল্লেখ করেছেন যে, এই ব্ল্যাক হোলগুলি সম্ভবত ১০ কোটি বছরেরও পুরনো।
❤ Support Us