- এই মুহূর্তে দে । শ
- জুন ৬, ২০২৪
‘দু নৌকায় পা নয়’, কেন এই মন্তব্য ‘থালাইভি’ কঙ্গনার ?

তবে কি জল্পনাই সত্য হতে চলল ? নির্বাচনী লড়াইয়ে নামার আগে জানিয়েছিলেন, ভোটে জিতলে রাজনীতি ছাড়বেন।চরম নাটকীয়তার এই নির্বাচনী ফলাফলে চমকে দিয়ে তিনি এখন হিমাচলের মান্ডির নতুন নির্বাচিত সাংসদ। তিনি আর কেউ নন হিমাচলের ভূমিকন্যা কঙ্গনা রানাওয়াত।
রাজনীতিতে তারকা সমাবেশ নতুন নয়। তবে বহুক্ষেত্রে দেখা যায় , নিজেদের পেশাগত জীবনের ঝক্কি সামলে সাধারণের দাবির কথা সরকারের কানে পৌঁছে দেওয়ার অবকাশ তাঁদের বিশেষ থাকে না। কিন্তু বলিউডের ‘থালাইভি’ কঙ্গনা বরাবরই ঠোঁটকাটা। তাঁর বক্তব্য নিয়ে একাধিক বিতর্ক হলেও, তাঁকে দমাতে পারেনি কেউই। হিমাচলের মান্ডিতে তিনি জিতবেন, সে নিয়ে তাঁর দলের অন্দরেও সংশয় ছিল। নির্বাচনের কদিন মুম্বইয়ে পা রাখেননি তিনি। মাটি কামড়ে পড়ে ছিলেন লড়াইয়ের ময়দানে, আর ফলও পেলেন হাতে হাতে। তিনি জিতেছেন।
মুম্বইয়ের এক সংবাদমাধ্যমকে স্পষ্টতই জানিয়েছেন, দু নৌকায় পা দিয়ে চলা সম্ভব নয়। অভিনয় আর রাজনীতিকে এক আসনে রাখতে চান না তিনি। ‘আমি অভিনয় করেছি, সফল ভাবেই। ছবি পরিচালনাও করেছি। রাজনীতির মঞ্চে মানুষ যদি আমাকে পছন্দ করেন তবে এই কাজটিও মন দিয়েই করতে চাই। আদর্শের দিক থেকে আমার মনে হয়, একটা সময়ে একটা কাজই মন দিয়ে করা উচিত।’ তাঁর এহেন বক্তব্যে গুঞ্জন উঠছে তাহলে কি সত্যিই বলিউড ত্যাগ করতে চললেন ‘মান্ডি কুইন’?
‘মান্ডি কুইন’, হ্যাঁ, হিমাচলের মান্ডির আমজনতার কাছে এখন তিনি এই নামেই পরিচিত। ভোটে জিতে প্রথমেই বলেছিলেন, ‘এই দিনটা আমার জন্য বিশেষ দিন। প্রার্থী হিসেবে এটা আমার প্রথম নির্বাচন ছিল। যেহেতু রাজনীতিতে প্রথম, সেহেতু নানা অনিশ্চয়তা ছিল। এটা আমার প্রথম জয়ও। আমি ধন্যবাদ জানাতে চাই আমার দলীয়কর্মীদের। নেতা জয়রাম ঠাকুরজিকে। যিনি প্রথম থেকে আমার পাশে ছিলেন। আমাদের সব বিধায়কদেরও ধন্যবাদ। তবে মাথা নত করে ধন্যবাদ জানাই মাণ্ডির সমস্ত মানুষকে। মাণ্ডিকন্যা, মাণ্ডির বোন কঙ্গনাকে এত ভালোবাসা দিয়েছে। মাণ্ডির সেনা হিসেবে মাণ্ডিকে রক্ষা করব। বিকাশ করব।’ তবে কি যে জগত তাঁকে নাম যশ ঐশ্বর্য দিল, তাঁকে বিদায় জানাবেন তিনি?সংশয়ে তিনি বলেন, ‘আমি হিমাচলের মেয়ে। হিমাচল প্রদেশের উন্নতিই এখন আমার প্রধান ধর্ম। তাই মাণ্ডিকে ছেড়ে মুম্বই ফিরছি না।’
কিন্তু লড়াই মোটেও সহজ ছিলনা তাঁর। পর্দার জয়ললিতার সিনেমার প্রথম জীবনও খুব সুখকর ছিলনা। অভিনয় জীবনের শুরুর বেশীরভাগ সিনেমাতে তাঁর চরিত্র ছিল নেশাগ্রস্ত, অবহেলিত প্রেমিকা-স্বরূপ। উত্থান ঘটাল বিকাশ বহেল পরিচালিত ‘কুইন।’ তারপর বলিউড এক অন্য ‘কঙ্গনা’-কে দেখল। বিশেষ করে নায়িকা প্রধান সিনেমার সংজ্ঞাই বদলে দিলেন তিনি। রাজনীতির অঙ্গনে আনকোরা কঙ্গনাকে লড়তে হয়েছে মান্ডির ‘রাজাসাহেব’ বিক্রমাদিত্য সিং-এর বিরুদ্ধে। মান্ডির প্রয়াত রাজা বীরভদ্র সিংয়ের পুত্র তিনি।তাঁর বাবা একাধিকবার রাজ্যের ‘মুখ্যমন্ত্রী’ হয়েছেন। প্রতিপক্ষ তাই কিছুটা হলেও এগিয়ে শুরু করেছিলেন। তবে বাজিমাত করলেন ‘পর্দার জয়ললিতা’। তাঁর কথায়, ‘অনেক চলচ্চিত্র নির্মাতা আমাকে বলেছেন রাজনীতিতে না যেতে। আপনাকে অবশ্যই জনগণের প্রত্যাশা পূরণ করতে হবে। এতদিন আমি অনেক সুবিধা পেয়েছি কাজের সূত্রে। এখন যদি আমি মানুষের সঙ্গে সংযোগ করার সুযোগ পাই তবে অবশ্যই আমি তা গ্রহণ করব।আমি মনে করি সবার আগে কাছের মানুষের প্রত্যাশার প্রতি সুবিচার করা উচিত।’
কঙ্গনাকে শেষ দেখা গিয়েছিল “তেজস”-ছবিতে। তাঁকে পরবর্তীতে দেখা যাবে “ইমার্জেন্সি”-ছবিতে, যেখানে তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর ভূমিকায় অভিনয় করেছেন।
❤ Support Us