Advertisement
  • দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
  • এপ্রিল ১১, ২০২৩

ওয়াশিংটনে সীতারমনের বিবৃতি, সংখ্যার ক্রম বৃদ্ধিই ভারতীয় মুসলিমদের ভালো থাকার ইঙ্গিত।বিরোধীদের ভ্রান্ত তথ্যে বিভ্রান্ত পশ্চিম

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
ওয়াশিংটনে সীতারমনের বিবৃতি, সংখ্যার ক্রম বৃদ্ধিই ভারতীয় মুসলিমদের ভালো থাকার ইঙ্গিত।বিরোধীদের ভ্রান্ত তথ্যে বিভ্রান্ত পশ্চিম

পশ্চিমের একপেশে ভ্রান্ত রিপোর্ট নয়, বরং সরেজমিনে পরিস্থিতি খতিয়ে দেখুখ বিদেশি বিনিয়োগকারীরা।মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের থিঙ্ক ট্যাঙ্ক পিটারসন ইনস্টিটিউট ফর ইন্টারন্যাশনাল ইকোনমিক্স বা পিআইআইই-এর প্রেসিডেন্ট আদম এস পোসেনের তোলা এক প্রশ্নের জবাবে একথা বলেন কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী সীতারামন। পাশাপাশি তিনি আরও বলেছেন, পরিস্থিতির নিরপেক্ষ বিচার না করেই ভারতে মুসলিম সম্প্রদায়ের দুরাবস্থা নিয়ে নেতিবাচক তথ্য ছড়াচ্ছেন অনেকে। তাই ভারতে যাঁরা বিনিয়োগে আগ্রহী, তাঁরা যেন সেখানে গিয়ে নিজের চোখে পরিস্থিতির বিচার করেন।

এপ্রসঙ্গে মন্তব্য করতে গিয়ে কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রী দেশের বিরোধী দলগুলির সমালোচনা করে বলেন, দেশের আর্থ সামাজিক পরিস্থিতি ঘিরে ক্রমাগত নেতিবাচক, ভ্রান্ত তথ্য ছড়িয়ে বহির্বিশ্বে ভারতের ভাবমূর্তি নষ্ট করছেন তাঁরা।  পিআইআইই-এর প্রেসিডেন্ট আদম এস পোসেন এর প্রশ্নের জবাবে  কেন্দ্রীয় অর্থমন্ত্রীর সাফাই দেশে মুসলিমদের আর্থ সামাজিক পরিস্থিতি খারাপ হলে, আর্থ-সামাজিকভাবে তারা কোণঠাসা হলে কীভাবে তাদের জনসংখ্যার বৃদ্ধি। এবিষয়ে তাঁর পাল্টা প্রশ্ন ১৯৪৭ সালে ভারতে মুসলমানদের যে জনসংখ্যা ছিল, তার তুলনায় কি সেটা বাড়েনি ?

প্রতিবেশী পাকিস্তানের প্রসঙ্গ টেনে এনে সীতারামন বলেছেন, সেদেশে সমস্ত সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষই অবহেলিত। এমনকি অবহেলিত মূলস্রোতের অন্তর্গত নয় এমন মানুষজনও। এঁদের মধ্যে রয়েছেন মুজাহির, শিয়া এবং অন্য গোষ্ঠীগুলিও। অথচ পাকিস্তান একটি ইসলামিক দেশ। তিনি আরও বলেন, পাকিস্তানে ক্রমাগত অন্য ধর্মাবিলম্বী মানুষের সংখ্যা ক্রমশ কমছে, তাদের আর্থ সামাজিক পরিস্থিতিও খুবই খারাপ।

ওয়াশিংটনে অনুষ্ঠিত এই সাক্ষাতকারে, পিআইআইই-এর প্রেসিডেন্টের প্রশ্নের জবাবে কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নির্মলা বলেছেন,২০১৪ সালের পর কি ভারতে মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষের সংখ্যা কমছে? কোনও একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের মানুষের মৃত্যুর সংখ্যা কি ভারতে অসঙ্গতিপূর্ণভাবে বাড়ছে?

সীতারামনের বক্তব্য কার্যত একথাই প্রতিপন্ন করছে, ভারতে মুসলমান সম্প্রদায়ের সংখ্যা বৃদ্ধি, তার আর্থ-সামাজিক ভাবে ভালো থাকার গুরুত্বপূর্ণ ইঙ্গিত।তাদের ওপর নিপীড়নের খবর ভ্রান্ত। সীতারামন আরও জানিয়েছেন, সারা বিশ্বে, মুসলিমদের জনসংখ্যার নিরিখে ভারত দ্বিতীয় স্থানাধিকারী। এই সংখ্যাটা ক্রমবর্ধমান। পাকিস্তানের চেয়ে ভারতে মুসলমান সম্প্রদায়ের মানুষ ভালো আছেন।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!