- এই মুহূর্তে দে । শ
- ডিসেম্বর ২৯, ২০২৩
জেডিইউ-র শীর্ষে নীতীশ কুমার, পদত্যাগ লালন সিংয়ের । দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবে নীতীশপন্থীদের স্লোগান

শুক্রবার দুপুরে দিল্লিতে দলের জাতীয় কার্যনির্বাহী বৈঠকে নীতিশ কুমারকে সর্বসম্মতিক্রমে বিহারের ক্ষমতাসীন জনতা দল উনিটেড-এর সভাপতি পদে পুনর্নির্বাচিত করা হয়েছে। সহকারী লালন সিং পদত্যাগ করার কয়েক মিনিট পরেই বিহারের মুখ্যমন্ত্রীকে পুনরায় এই পদে নিযুক্ত করা হয়, নীতীশ কুমারকে তার মতো করে ফিরে আসার আহ্বান জানিয়ে সপ্তাহ জুড়ে জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটল, কিন্তু লালন সিংয়ের “বিদায়” পদ্ধতি নিয়ে বিজেপি নীতিশ কুমারকে তিরস্কার করেছে। এদিকে নীতিশ কুমার ফের দলের সভাপতি নির্বাচিত হওয়ার পর দিল্লির কনস্টিটিউশন ক্লাবের বাইরে সমবেত হয়ে তাঁর অনুগামীরা “দেশ কা প্রধানমন্ত্রী ক্যাসা হো? নীতীশ কুমারের জয়সা হো”, স্লোগানে মুখর করে তোলে।
#WATCH | Slogans of ‘Desh ka Pradhan Mantri kaisa ho? Nitish Kumar jaisa ho’ raised outside the Constitution Club in Delhi.
JD(U) national executive meeting is underway currently in Delhi. pic.twitter.com/nXZYDMdKI5
— ANI (@ANI) December 29, 2023
বৈঠকের পরপরই সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে গিয়ে লালন সিং দলের মধ্যে ফাটল ধরার বিষয়টিকে উড়িয়ে দেন। তাঁকে প্রশ্ন করা হয়, আপনি কি এই সিদ্ধান্তের ফলে রাগ করে আছেন? উত্তরে লালন সিং বলেন, “রাগ? রাগ আবার কী ? আমি কেন রাগ করব? এই রাগ শব্দটি তো আমি এই প্রথম শুনছি।”
তবে বিহার বিধানসভার বিরোধী দলের নেতা বিজেপির বিজয় কুমার সিনহা লালন সিংয়ের পদত্যাগের পর বলেছেন, “একজন আত্মসম্মান সম্পন্ন ব্যক্তি এই ধরনের বিদায় কখনই মেনে নেবেন না। যখন দল ও নেতৃত্বের তাঁর উপর আস্থা থাকবে না, তখন পদে থাকার কোনও মানে নেই। তাঁর আগেই পদত্যাগ করা উচিত ছিল।”
সূত্র মারফত জানা গিয়েছে, লালন সিংকে অপসারণ করার কারণ তিনি বিহারে জেডিইউ জোটের অংশীদার লালু প্রাসাদ যাদবের পার্টি রাষ্ট্রীয় জনতা দল এর সাথে একটু বেশি ঘনিষ্ঠ হয়ে উঠেছেন, বিহারের রাজনীতিতে গুঞ্জন হচ্ছে লালন সিং-এর সঙ্গে ঘনিষ্ঠতা হয়েছে আরজেডি নেতা, লালু প্রাসাদের পুত্র ও বিহারের উপ মুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদবের সঙ্গে, যাঁকে বিহারের মুখ্যমন্ত্রীর পদ দখল করার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে। কেন্দ্রীয় মন্ত্রী গিরিরাজ সিং দাবি করেছেন যে লালু যাদব তাঁকে বলেছেন, “জেডিইউ শীঘ্রই আরজেডি-র সাথে একীভূত হয়ে যাবে।”
তবে এই গুঞ্জন তেজস্বী যাদব নিজেই খারিজ করে দিয়েছেন, তাঁর বক্তব্য, বিরোধী বিজেপি রাজ্যে জেডিইউ-আরজেডি জোটকে অস্থিতিশীল করার জন্য “গল্প ফাঁদছে”। এই বিষয়ে তেজস্বী যাদবের প্রতিক্রিয়া বিজেপির সুশীল মোদির পরে এসেছেন, যিনি নীতিশ কুমার জোট ছেড়ে না দেওয়া পর্যন্ত উপ-মুখ্যমন্ত্রী ছিলেন , তিনি দাবি করেছিলেন যে জেডিইউ আরজেডি এবং কংগ্রেসকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে বিজেপির সাথে পুনরায় মিত্র হওয়ার বিষয়ে গুজব ছড়াচ্ছে।
যদিও লালন সিং নীতীশ কুমারকে আনুষ্ঠানিক ভাবে বলেছিলেন যে তিনি আগামী বছরের নির্বাচনের আগে তাঁর নির্বাচনী এলাকায় নজর দেওয়ার জন্য আরও বেশি সময় চান। লালন সিং বিহারের মুঙ্গের থেকে দু’ইবার লোকসভা সাংসদ নির্বাচিত হয়েছেন। এই প্রসঙ্গে বিহারের মন্ত্রী বিজয় কুমার চৌধুরী বলেছেন, “লালন সিং বলেছেন তিনি নির্বাচন নিয়ে ব্যস্ত থাকবেন, তাই দলের সভাপতির পদ মুখ্যমন্ত্রীর হাতে তুলে দিতে চান এবং নীতীশ কুমার তা মেনেও নিয়েছেন।”
২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের হাতে গোনা কয়েক মাস আগে জেডিইউ-র শীর্ষ নেতৃত্বের এই পরিবর্তন তাৎপর্যপূর্ণ, এই ঘটনা নীতীশ কুমারকে প্রধানমন্ত্রিত্বের দৌড়ে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জল্পনা আরও বাড়িয়ে দিল। আর এই ঘটনা এমন সময় হল যার ঠিক আগেই জেডিইউ-র প্রধানকে বিরোধী ব্লক ইন্ডিয়া-র সম্ভাব্য প্রধানমন্ত্রী প্রার্থী হিসাবে তুলে ধরা হয়েছিল।
❤ Support Us