- এই মুহূর্তে দে । শ
- জানুয়ারি ২৮, ২০২৪
এনডিএ জোটে গিয়েই রাজভবনে নীতীশ, নবমবারের জন্য মুখ্যমন্ত্রীর শপথ
বিহারে এনডিএ-র নেতা ঘোষণা করা হল নীতীশ কুমারকে। নীতীশকে শুভেচ্ছা জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। বিজেপি বিধায়করা পৌঁছে গিয়েছেন নীতীশের বাড়িতে। ইস্তফা দিয়ে রাজভবন থেকে ফেরার ২ ঘণ্টার মধ্যেই আবার নীতীশ কুমার রাজভবনে যান এনডিএ পরিচালিত বিহার সরকার গঠনের জন্য। রবিবারই বিকেলেই বিহারের নবম মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন নীতীশ। অবশ্যই এবার এনডিএ-র হাত ধরে মুখ্যমন্ত্রী হবেন নীতীশ। রাজনীতিতে কেউ বন্ধু বা শত্রু নয় সেটাই বারবার প্রমাণ করে চলেছেন জেডিইউ নেতা নীতীশ কুমার।
এদিকে নীতীশের ঘর বদল নিয়ে এআইসিসি সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গে বলেছেন, “চেষ্টা করেছিলাম ইন্ডিয়া জোটে নীতীশ কুমারকে ধরে রাখতে। তবে তিনি যে চলে যাবেন সেটা জানাই ছিল।”
কংগ্রেস মুখপাত্র জয়রাম রমেশ বলেছেন, “নীতীশ বিশ্বাসঘাতকতা করেছেন। গিরগিটির মতো রাজনীতিতে রং বদল করছেন নীতীশ। যাঁরা তাঁকে তাতাচ্ছে তাঁদের পরিণতি ভালো হবে না। ডিগবাজি কি ভাবে খেতে হয় সেটা এদের কাছ থেকে শিখতে হবে। আসলে রাহুলের ভারত জোড়ো ন্যায় যাত্রাকে ওরা ভয় পেয়েছে।”
ইন্ডিয়া ছেড়ে নীতীশের এনডিএতে ফেরা রাজার রং বদল বললেও অত্যুক্তি হয় না। দেড় বছর আগে নীতীশ আরজেডি, কংগ্রেসের সঙ্গে মহাগঠবন্ধন করে সরকার গড়েন। তখন তিনি ছিলেন বিজেপি বিরোধী। দেড় বছরেই ভোল বদল হল নীতীশের। তিনি আবার এনডিএ-র হাত ধরে পুরনো বন্ধু ও ইন্ডিয়া জোটের হাত ছেড়ে দিলেন।
গোষ্ঠী বদল করে নীতীশের বক্তব্য মহাগঠবন্ধন ঠিক চলছিল না। ঠিক চলছিল না ইন্ডিয়া জোট। ইন্ডিয়া জোটে কারও সঙ্গে কারও বনিবনা হচ্ছিল না। সেই কারণেই তিনি মহাগঠবন্ধন এবং ইন্ডিয়া জোট ছেড়েছেন।
বিকেলেই বিহারে এনডিএ সরকারের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে শপথ নেবেন নীতীশ কুমার।
উল্লেখ্য, ২০১৭ সালে বিজেপির সঙ্গে হাত মিলিয়ে সরকার গঠন করেছিলেন নীতীশ। এরপর ২০২২-এর অগস্টে বিজেপি-বিরোধী শিবিরে ফেরেন তিনি। সম্প্রতি বিজেপি-বিরোধী ইন্ডিয়া জোটেও বড় ভূমিকা নিতে দেখা গিয়েছিল তাঁকে। আর লোকসভা ভোটের মুখেই আবার ডিগবাজি খেলেন নীতীশ।
জেডিইউ নেতা কেসি ত্যাগী বলেছেন, কংগ্রেস ষড়যন্ত্র করে মমতাকে দিয়ে ইন্ডিয়া জোটের প্রধানমন্ত্রীর মুখ হিসাবে খড়গের নাম প্রস্তাব করিয়েছে। জেডিইউ নেতা কেসি ত্যাগী বলেছেন, “কংগ্রেস ভারত জোটের নেতৃত্ব চুরি করতে চেয়েছিল। ১৯ ডিসেম্বর যে বৈঠক হয়েছিল, সেখানে একটি ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে ইন্ডিয়া জোটের নেতৃত্ব পাওয়ার জন্য, মল্লিকার্জুন খার্গের নাম প্রস্তাব করা হয়েছিল প্রধানমন্ত্রীর মুখ হিসাবে। এর আগে মুম্বাইতে অনুষ্ঠিত বৈঠকে সর্বসম্মতিক্রমে সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছিল যে কোনও প্রধানমন্ত্রীর মুখ ছাড়াই ভারত জোট কাজ করবে। কংগ্রেস ষড়যন্ত্রের মাধ্যমে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে দিয়ে প্রধানমন্ত্রীর মুখ হিসাবে খাড়গের নাম প্রস্তাব করায়। অন্যান্য সমস্ত দল কংগ্রেসের বিরুদ্ধে লড়াই করে তাদের নিজস্ব পরিচয় তৈরি করেছে। কংগ্রেস আসন ভাগাভাগি নিয়ে দরকষাকষি করতে থাকে, আমরা বলেছিলাম যে আসন ভাগাভাগি অবিলম্বে হওয়া দরকার। ইন্ডিয়া জোটের বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার পরিকল্পনার অভাব ছিল।”
❤ Support Us