Advertisement
  • দে । শ
  • মে ১৬, ২০২৩

উপাচার্য বেছে নেওয়ার সার্চ কমিটিতে থাকছেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও প্রতিনিধি, ইউজিসি-র নির্দেশ মেনেই কাজ বললেন ব্রাত্য

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
উপাচার্য বেছে নেওয়ার সার্চ কমিটিতে থাকছেন না বিশ্ববিদ্যালয়ের কোনও প্রতিনিধি, ইউজিসি-র নির্দেশ মেনেই কাজ বললেন ব্রাত্য

বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য বেছে নেওয়ার ক্ষেত্রে যে সার্চ কমিটি গঠন করা হয়েছে তাতে সংশ্লিষ্ট বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেটের কোনও প্রতিনিধিকে এবার থেকে রাখা হচ্ছে না। সূত্রের খবর, রাজ্যপাল সিভি আনন্দ বোসের সই সম্বলিত ৩১টি রাজ্য বিশ্ববিদ্যালয়ে উপাচার্য নিয়োগের ক্ষেত্রে এই বিধির উল্লেখ রয়েছে। নতুন বিধি অনুসারে সার্চ কমিটিতে সদস্যের সংখ্যা তিন থেকে বাড়িয়ে পাঁচজন করা হচ্ছে। এছাড়া উপাচার্য নিয়োগে সার্চ কমিটিতে ফেরানো হয়েছে ইউজিসি-র প্রতিনিধিকে।

জানা গিয়েছে, এছাড়াও সার্চ কমিটিতে থাকছেন আচার্য তথা রাজ্যপালের প্রতিনিধি, উচ্চশিক্ষা সংসদ, মুখ্যমন্ত্রীর প্রতিনিধি এবং রাজ্য সরকারের প্রতিনিধিরা। তবে কমিটির চেয়ারম্যান হিসেবে থাকছে আচার্যের প্রতিনিধি।

সার্চ কমিটিতে প্রতিনিধির সংখ্যাবৃদ্ধি নিয়ে টুইট করেছেন রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু। তিনি বলেছেন, এই পরিবর্তন করা হয়েছে ইউজিসি-র নির্দেশ অনুসারেই। অন্যদিকে, রাজভবন ও উচ্চশিক্ষা দফতরের কর্তাদের অভিমত, ২০২৮ সালের ইউজিসি বিধি অনুসারে, কমিটিতে বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রতিনিধি রাখার ব্যাপারে কোনও বাধ্যবাধকতা নেই।

এদিকে নতুন এই বিধি নিয়ে প্রতিবাদে সামিল কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়, যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়, রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক সমিতিগুলি। প্রতিবাদ জানিয়েছে শিক্ষকদের সংগঠন আবুটা।

এবিষয়ে রাজ্যের শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু যে টুইট করেছেন তাতে আরও বলা হয়েছে, যা করা হয়েছে তা সুপ্রিম কোর্টের রায় এবং ইউজিসি-র নির্দেশ মেনেই করা হয়েছে। সেই অনুযায়ী ইউজিসি-র চেয়ারম্যানের একজন প্রতিনিধিকে যুক্ত করা হয়েছে। পশ্চিমবঙ্গ উচ্চশিক্ষা সংসদের প্রতিনিধি নিয়ে যে প্রশ্ন তোলা হচ্ছে, তা অযৌক্তিক। এছাড়া আগে যেখানে বিশ্ববিদ্যালয়ের সেনেটের সদস্য থাকতেন, সেই জায়গায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একজন প্রতিনিধিকে রাখা হচ্ছে। উচ্চশিক্ষা দফতর ও নির্বাচিত সরকারের একজন প্রতিনিধি থাকাও এক্ষেত্রে জরুরি।

শিক্ষামন্ত্রী ব্রাত্য বসু রাজ্য সরকারের বেশি সংখ্যক প্রতিনিধি থাকা প্রসঙ্গে এও বলেন, রাজ্যপালের সঙ্গে রাজ্য সরকারের আলোচনার পরেই এই অধ্যাদেশ জারি করা হয়েছে।

ইতিমধ্যে রাজভবনে্ গিয়ে জাতীয়তাবাদী অধ্যাপক ও গবেষক সঙ্ঘ সার্চ কমিটিতে রাজ্যের তিনজন প্রতিনিধি থাকা নিয়ে আপত্তি তোলেন। এব্যাপারে রাজ্যপাল তাঁদের ইউজিসি-র আইনি বাধ্যবাধকতার কথা জানান।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!