শিবভোলার দেশ শিবখোলা
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
জম্মু কাশ্মীর উপত্যকায় জি ২০ বৈঠকের আয়োজন নিয়ে সরব হলেন নোয়াম চমস্কি।মার্কিন ভাষাবিজ্ঞানী ও সমাজবিজ্ঞানীর মন্তব্য, ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পরেও উপত্যকায় শান্তি এখন দুরস্থ।কা্শ্মীরের ভারত ভূক্তির চুক্তিও লঙ্ঘিত হয়েছে । আয়োজকদের বিবেক নিয়েও প্রশ্ন তুললেন তিনি ।
তাঁর মতে উপত্যকায় প্রতিনিয়ত যখন হিংসা, হানাহানি চলছে তখন সেখানে এই জাতীয় বৈঠক হওয়ার কোনও যৌক্তিকতা নেই। সমাজবিজ্ঞানী যখন এই মন্তব্য করেছেন তার করার কয়েক ঘন্টা পরে, বুধবার বৈঠকে অংশগ্রহণকারী বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা শ্রীনগরের তাঁদের তিন দিনের সফর শেষ করে, শহরের কিছু দর্শনীয় স্থান পরিদর্শন করে।
তিন সদস্য দেশ-চিন, সৌদি আরব এবং তুরস্ক এবং অতিথি দেশ মিশর এই সম্মেলনে যোগ দেয়নি। বিতর্কের আবহেই সেমাবার শ্রীনগরে শুরু হয় বৈঠক। ভারতের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়, ২০১৯ এ বিশেষ মর্যাদা প্রত্যাহারের পর, এটি জম্মু কাশ্মীরে অনুষ্ঠিত আন্তর্জাতিক মেগা ইভেন্ট।৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর উপত্যকায় যে শান্তির বাতাবরণ ফিরে এসেছে, তাকে বিশ্ব জানাতেই জি২০ বৈঠকের আয়োজন করা হয় সেখানে।
আন্তর্জাতিক সম্মেলন শেষের ঠিক আগের রাতেই চমস্কির এই ভিডিওবার্তা প্রকাশ্যে আসে, যেখানে কাশ্মীরে বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেন, ওখানে জি২০-র মতো আন্তর্জাতিক সম্মেলনের আয়োজন করা অবাঞ্ছিত ঘটনা।
মার্কিন মণীষার অভিমত, কাশ্মীরের সাধারণ মানুষ নির্মম রাজনীতির শিকার, ওখানকার মানুষের সমস্যা, দীর্ঘ কষ্ট, ৩৭০ ধারা প্রত্যাহারের পর আরো জটিল রূপ নিয়েছে। ২০১৯ সালে, ভারত যে আইনি চুক্তির দ্বারা ১৯৪৭ সালে জম্মু ও কাশ্মীরকে ভারতের অন্তর্ভুক্ত করেছিল সেই চুক্তি সম্পূর্ণ নির্মূল করা হয়েছে। নোয়াম চমস্কির মতে কাশ্মীর বিশ্বের মধ্যে সবেথেকে বেশি সামরিক কর্তৃত্বাধীন অঞ্চল।যেখানে উপত্যকাবাসীদের বেঁচে থাকার মৌলিক অধিকার খর্ব হয় প্রতিনিয়ত।বিনাবিচারে কারাবাস, নিরুদ্দেশ হওয়ার ঘটনা ওখানে নৈমিত্তিক বিষয়।
নিউইয়র্ক ভিত্তিক কমিটি টু প্রটেক্ট জার্নালিস্ট বা সিপিজের তথ্য বলছে, ভারত সরকার কাশ্মীরে স্বাভাবিকত্বের যে দাবি বা ছবি তুলে ধরে নিজেদের স্বচ্ছ ভাবমূর্তি ফুটিয়ে তুলতে চাইছে, তার সঙ্গে বাস্তব চিত্রের অমিল অনেক। কাশ্মীরে সংবাদপত্রের স্বাধীনতা এখনও রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার চাপে রুদ্ধ।
সোমবার টুইটারে শেয়ার করা এক বিবৃতিতে বলা বলেছে, “সিপিজে ভারত সরকারকে গণমাধ্যমের ওপর তার নৃশংস দমন-পীড়ন বন্ধ করার এবং অবিলম্বে চারজন নির্বিচারে আটক কাশ্মীরি সাংবাদিকদের মুক্তি দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে। যে সাংবাদিকদের মুক্তি চাওয়া হয়েছে তাঁরা হলেন আসিফ সুলতান, ফাহাদ শাহ, সাজাদ গুল এবং ইরফান মেহরাজ।
জি২০ বৈঠকে অংশগ্রহণকারী দেশগুলো বিষয়টি নিয়ে কোনো মন্তব্য করেনি।তারা যোগ দিয়েছেন, শ্রীনগর ঘুরে দেখেছেন আর নির্দিষ্ট কর্মসূচি রূপায়ণ করতে সহমত হয়েছেন। ভারত চমস্কির মতামত নিয়ে এখনো কোনো প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেনি। ভারতীয় বিবেকও একইভাবে নীরব। রাষ্ট্রীয় ক্ষমতার জোরে জি২০ র বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে কিনা, তা বিতর্কের বিষয়। বিচ্ছিন্নতাবাদী জঙ্গিরা মুখে কুলুপ এঁটে রেখেছে, তাঁদের সশস্ত্র প্রতিবাদের কোনো সুযোগ ছিল না। সেনা এবং আধা সেনা দিয়ে মোড়া ভূস্বর্গে বিদেশি অতিথিদের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা গড়ে তুলতে ভারত কোনো রকম ফাঁক রাখেনি। ১৯৪৭ এর পর এই প্রথম শ্রীনগরে আন্তর্জাতিক স্তরের বৈঠক হয়েছে। কংগ্রেস জমানায় বিদেশি নেতা অথবা কূটনীতিকদের উপত্যকা সফর কখনো অবারিত ছিল না, পরেও ব্যতিক্রম ঘটেনি।৩৭০ প্রত্যাহারের পর কোনো কোনো দেশের প্রতিনিধিদের আমন্ত্রণ করে কাশ্মীরে নিয়ে আসা হয়েছে সরকারি উদ্দ্যোগে। এসব প্রতিনিধিরা ৩৭০ এর বিলুপ সংগত না অসংগত, এরকম কোনও প্রশ্ন তোলেননি। আন্তর্জাতিক স্তরে বিভক্ত কাশ্মীর যে ভারতের একথা অধিকাংশ দেশ স্বীকার করেছে, ব্যতিক্রম পাকিস্তান এবং চিন।
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
সৌরেনির উঁচু শিখর থেকে এক দিকে কার্শিয়াং আর উত্তরবঙ্গের সমতল দেখা যায়। অন্য প্রান্তে মাথা তুলে থাকে নেপালের শৈলমালা, বিশেষ করে অন্তুদারার পরিচিত চূড়া দেখা যায়।
মিরিক নামটি এসেছে লেপচা ভাষার “মির-ইওক” শব্দ থেকে, যার অর্থ আগুনে পুড়ে যাওয়া জায়গা।
15:34