শিবভোলার দেশ শিবখোলা
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
৫৮ -তেই জীবনের ইনিংস শেষ করলেন চারটি জাতীয় পুরস্কারের মালিক শিল্প পরিচালক নীতিন চন্দ্রকান্ত দেশাই। ‘হাম দিল দে চুকে সনম'(১৯৯৯), ‘লগান’(২০০১), ‘দেবদাস’(২০০২), ‘যোধা আকবর’(২০০৮), প্রেম রতন ধন পায়ো(২০১৫)-র মত এমন অসংখ্য ছবিতে সেট অলঙ্করণের পুরোভাগে ছিলেন তিনি। ২০ বছরের কর্মজীবনে কাজ করেছেন আশুতোষ গোয়ারিকর , বিধু বিনোদ চোপড়া, রাজকুমার হিরানি ও সঞ্জয় লীলা বনশালি মতো প্রখ্যাত পরিচালকদের সঙ্গে। এত বড়ো কীর্তিমান ব্যক্তি বুধবার সকালেই আচমকাই মহারাষ্ট্রের রায়গড়ে নিজের স্টুডিওতে মারা যান। পুলিশ এসে তাঁর মৃতদেহ উদ্ধার করে। তাঁর আচমকা চলে যাওয়ার কারণ এখনো স্পষ্ট নয়। তবে তাঁর অকাল প্রয়াণে শোকসন্তপ্ত বলিউড।
উপরে উল্লিখিত ছবিগুলো ছাড়াও শিল্প পরিচালক হিসেবে ‘পারিন্দা’, ‘১৯৪২: একটি প্রেমের গল্প’, ‘আ গালে লগ জা’, ‘দ্রোহ কাল’, ‘ওহ ডার্লিং! ইয়ে হ্যায় ইন্ডিয়া’, ‘ডন’, ‘সালাম বোম্বে!’, ‘মুন্নাভাই এমবিবিএস’-এর মতো বহু ছবিতে কাজ করেছেন তিনি।অভিনেতা হিসেবেও নিজের স্বকীয়তার ছাপ রেখেছিলেন নীতিন । ‘হাম সব এক হ্যায়’, ‘দাউদ: দৌড়ে মজা’, ‘হ্যালো জয় হিন্দ’, ‘বালগন্দর্ব’-র মতো ছবিতে অভিনয় করেছিলেন তিনি। ‘হ্যালো জয় হিন্দ’ ছবিতে পরিচালক হিসেবেও কাজ করেছিলেন তিনি। পরিচালনা করেছেন ‘অজিন্তা’-র মতো ছবি। প্রযোজক হিসেবে ‘রাজা শিবছত্রপতি’ ও ‘ট্রাকভর স্বপ্না’- র সঙ্গে যুক্ত ছিলেন।
প্রখ্যাত শিল্প পরিচালকের মৃত্যুতে শোকবার্তা জানিয়েছেন সঞ্জয় দত্ত, কঙ্গনা রানাউত, বিবেক অগ্নিহোত্রী, পরিণীতি চোপড়া, রীতেশ দেশমুখ-সহ বহু বলি তারকারা। অক্ষয় কুমার বিকেলে টুইট বার্তায় জানিয়েছেন, নীতিন দেশাইয়ের মৃত্যুর খবর শুনে কষ্ট পেয়েছি। প্রোডাকশন ডিজাইনে একজন দৃঢ়চেতা মানুষ এবং আমাদের সিনেমার দুনিয়ায় সকলের কাছের একজন ছিলেন। উনি আমার বহু ছবিতে কাজ করেছেন… এটা একটা বিশাল ক্ষতি। পাশাপাশি তিনি বলেছেন, শোকের এই আবহে ওএমজি-২ এর ট্রেলার প্রকাশিত হবে না। আগামীকাল (বৃহস্পতিবার) সকাল ১১টায় লঞ্চ করা হবে।
পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, মুম্বাইয়ের স্টুডিও থেকে তাকে উদ্ধার করার সময় তাকে ঝুলন্ত অবস্থায় পাওয়া যায়। এমতাবস্থায় আত্মহত্যার সম্ভাবনাই বেশি বলে মনে করছেন তাঁরা। তবে, ময়না তদন্ত না হলে এ নিয়ে সুনির্দিষ্ট সিদ্ধান্তে আসা সম্ভব নয়। আপাতত তাঁরা এ নিয়ে প্রাথমিক অনুসন্ধান শুরু করেছেন।
প্রয়াত শিল্পীর ঘনিষ্ঠ মহল সূত্রে জানা গিয়েছে যেখানে তাঁর মৃতদেহ পাওয়া গিয়েছে সেই এনডি: আর্ট ওয়ার্ল্ড প্রাইভেট লিমিটে-এর মালিক ছিলেন তিনি নিজেই। বলিউডের একাধিক ছবির অসাধারণ সব সেট ডিজাইন এখানে হয়েছে। ২০১৫ সালে মুম্বই থেকে কিছু দূরে ৫২ একর জায়গা নিয়ে এই স্টুডিও খোলেন তিনি। এরপরে, ২০১৬ থেকে ২০১৮ সালের মধ্যে এক অর্থলগ্নি সংস্থা থেকে প্রায় ১৮৫ কোটি টাকা ধার নিয়েছিলেন নীতিন। আর তার ঠিক দু’বছরের মাথাতেই ২০২০ সালের জানুয়ারি মাস থেকে শুরু হয় সেই বিপুল পরিমাণ অঙ্কের ঋণ পরিশোধ করার সমস্যা। পরে, ২০২১ সালে স্টুডিওতে আগুন লেগে গেলে মারাত্মক ক্ষয়ক্ষতির শিকার হন প্রখ্যাত এই ব্যক্তিত্ব। তাঁর সহকর্মীদের সূত্রে জানা গিয়েছে, ধার দেনায় পুরোপুরি ডুবে গিয়েছিলেন তিনি। কীভাবে এই বিপুল দেনা শোধ করবেন সে চিন্তা তাকে সবসময়ই তাড়া করে বেড়াত। আদালত সূত্রে খবর, নীতিনের দেনার পরিমাণ শেষ পর্যন্ত দাঁড়িয়েছিল ২৫২.৪৮ কোটি টাকা।
শিবখোলা পৌঁছলে শিলিগুড়ির অত কাছের কোন জায়গা বলে মনে হয় না।যেন অন্তবিহীন দূরত্ব পেরিয়ে একান্ত রেহাই পাবার পরিসর মিলে গেছে।
সৌরেনির উঁচু শিখর থেকে এক দিকে কার্শিয়াং আর উত্তরবঙ্গের সমতল দেখা যায়। অন্য প্রান্তে মাথা তুলে থাকে নেপালের শৈলমালা, বিশেষ করে অন্তুদারার পরিচিত চূড়া দেখা যায়।
মিরিক নামটি এসেছে লেপচা ভাষার “মির-ইওক” শব্দ থেকে, যার অর্থ আগুনে পুড়ে যাওয়া জায়গা।
15:34