- এই মুহূর্তে দে । শ
- নভেম্বর ২৭, ২০২৪
আবাস যোজনার টাকায় বাড়ি বানিয়ে ‘হোম স্টে’। নোটিশ পুরসভার, বিপাকে রেশন ডিলার

প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার টাকায় এক তলা বাড়িতে ৩ তলা করে সেখানে ‘হোম স্টে’ চালু করে বিপাকে রেশন ডিলার। পুরসভাকে অন্ধকারে রেখে আবাস যোজনার টাকায় বাড়ি ৩ তলা করে সেখানে ‘হোম স্টে’ বানিয়ে ফেলেছেন রেশন ডিলার। জানতে পেরে আপত্তি জানিয়ে নোটিশ পাঠিয়েছে উত্তর ২৪ পরগানার টাকি পুরসভা। টাকি পৌরসভার ৩ নম্বর ওয়ার্ডের বাসিন্দা মানস দাসের নামে ২০১৯–২০ সালের প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনার বাড়ি বরাদ্দ হয়। বাড়ির গেটের পাশে এখনও বোর্ডে লেখা আছে ‘প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা শহরী, উপভোক্তা মানস দাস, ৩ লক্ষ ৬৮ হাজার টাকা বরাদ্দ হয়েছে।’ বাড়িটি তৈরি হয়েছে টাকি পৌরসভার ৪ নম্বর ওয়ার্ডে পর্যটন এলাকার মধ্যে। পুরনো একতলা বাড়ির দোতলায় অনুমোদন নিয়ে আবাস যোজনার টাকায় সেটি তৈরি হয়। তারপর বাড়িটিকে ৩ তলা করা হয়। সেই বাড়ির দোতলায় একটি সাইনবোর্ড ঝোলানো হয় ‘ইচ্ছে ডানা হোমস্টে’। জানতে পেরে টাকি পুরসভার পক্ষ থেকে নোটিস পাঠানো হয়েছে উপভোক্তাকে। সেখানে আবাস যোজনার বাড়িতে হোমস্টে করা অবৈধ বলে জানিয়ে দেওয়া হয়। রাতারাতি খুলে নেওয়া হয় ‘ইচ্ছে ডানা হোমস্টে’ ব্যানার। এদিকে প্রতিবেশীরা অনেকেই জানেন না যে এই বাড়িটা সরকারি আবাস যোজনার টাকায় তৈরি। তবে মানস দাস বলেন, ২০১৯–২০ সালে যখন এই আবাস যোজনার ঘরের আবেদন তিনি করেন তখন তিনি বেকার ছিলেন। পরে রেশন ডিলার বাবা যতীন্দ্রনাথ দাসের মৃত্যুর পর রেশন দোকানের ডিলার হন। এখন আর্থিক সচ্ছলতা আসায় তিনি বাড়িটি তিন তলা করছেন। ৩ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর তথা উপ পুর প্রধান ফারুক গাজি বলেন , যেহেতু পুরনো একতলা বাড়িতে আবাসের বাড়ি সম্পূর্ণ হচ্ছিল না তাই পুরসভা উপভোক্তাকে দোতলার অনুমোদন দিয়েছিল, পরে উনি ওটা ৩ তলা করেছেন। এবং সেখানে হোম স্টে চালু করেছেন। হোটেল বা হোম স্টের কোন অনুমোদন পুরসভা থেকে দেয়া হয়নি। এব্যাপারে ৩ মাস আগেই পুরসভার পক্ষ থেকে নোটিশ দেওয়া হয়েছে। পুরপ্রধান সোমনাথ মুখার্জি বলেন, ‘আমরা যখন প্রধানমন্ত্রী আবাস যোজনা বাড়ি মানস দাসের নামে বরাদ্দ করেছি তখন তিনি বেকার ছিলেন। রেশন ডিলার ছিলেন ওনার বাবা, বাবার মৃত্যুর পর তিনি রেশন ডিলার হয়েছেন কিনা তাও আমার জানা নেই।’
❤ Support Us