আরো কিছু সন্দেশ। সিবিআইকে রিপোর্ট এনএসজির। কতটা সত্য ষড়যন্ত্রের তত্ব?

সন্দেশখালির পরেও রেহাই নেই। তৎপর , অতি তৎপর সিবিআই, এন এস জি ও অন্যান্য কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। দাপুটে শাহজাহানের নিকটাত্মীয় আবু তালেব মোল্লার বাড়ি থেকে বাজেয়াপ্ত করা ব্যাগে মারাত্মক আগ্নেয়াস্ত্র মিলেছিল। খবর পেয়ে ছুটে যায় এনএসজি। ব্যপক তদন্ত চালিয়ে ব্যাগে খুঁজে পায় বহু অস্ত্র। বুধবার এন এস জি এই ব্যাপারে সিবিআইকে রিপোর্ট পেশ করল। এন এস জির আধিকারিকরা সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন , বাজেয়াপ্ত ব্যাগে দুটি বিদেশি অস্ত্র মিলেছে। কার্তুজ আর বিস্ফোরক পাওয়া গেছে। এই সংক্রান্ত মামলায়  তলব করা হয়েছে ১০ সন্দেহভাজন ব্যক্তিকে। অভিযোগ তাঁদের , তাঁদের কেউই নির্দোষ নন, নানা কাণ্ডে জড়িত।অভিযোগের সত্য মিথ্যার তথ্য খতিয়ে দেখেনি ‘আরম্ভ’। কেন্দ্রিয় তদন্তকারী সংস্থার এমন কোনও সুত্রের খোঁজ মেলেনি, যারা তদন্তের সঙ্গে সঙ্গে সংবাদমাধ্যমে ফাঁস করে দিয়েছেন। অনুমান, জল্পনা সংবাদের নির্ভরযোগ্য মাধ্যম হতে পারে না। বোঝা যাচ্ছে, সন্দেহযুক্ত প্রভাবশালীদের আচরণ ও  গ্রেপ্তারকে কেন্দ্র করে ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তৃত হচ্ছে। ভোটের মুহূর্তে ফায়দা তুলতে চাইছে কোনো কোনো দৃশ্য আর অদৃশ্য সংগঠন।

বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় কিছুদিন আগে বলেছিলেন, সন্দেশখালিতে ষড়যন্ত্রের জাল বিস্তৃত। শাহজাহানের আত্মগোপন, তাঁর অনুগামীদের ধরা- ছোঁওয়ার বাইরে চলে যাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে ঝাঁপিয়ে পড়ে বিভিন্ন বিরোধী দল। রাজ্য পুলিশ সক্রিয় হয়ে ওঠে। ধরা পড়ে গেলেন শাহজাহান। তখন তিনি জেলে।আদালতে নিয়ে যাওয়ার পথে তিনি বলেছিলেন, সি বি আই তদন্ত হোক। সত্য বেরিয়ে আসবে।এর আগেই বারাসতের জনসমাবেশে ‘সন্দেশ বার্তা’ চাউর করে দিলেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। বললেন, মা বোনেদের ওপর অত্যাচার হয়েছে। সম্ভবত পর দিন অত্যাচারিতদের মুখ রেখা পাত্রের সঙ্গে সরাসরি দিল্লি থেকে কথা বললেন মোদী। দল তাঁকে নির্বাচনেও প্রার্থী করল। এসব ঘটনা প্রবাহ কিসের লক্ষণ?  পূর্বপরিকল্পিত ষড়যন্ত্রের লক্ষণ নয়ত?