Advertisement
  • দে । শ
  • জুলাই ১৯, ২০২৪

উত্তর ২৪ পরগনায় বনমহোৎসবে শপথ বাদবন রক্ষা, জীব বৈচিত্র সংরক্ষণ

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
উত্তর ২৪ পরগনায় বনমহোৎসবে শপথ বাদবন রক্ষা, জীব বৈচিত্র সংরক্ষণ

মহা সমারোহে বনমহোৎসব পালিত হল ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদের উদ্যোগে। অরণ্য সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে বনপ্তরের উদ্যোগ শামিল জেলা প্রশাসনের কর্তারা। রাজ্য সরকারের ঐকান্তিক প্রচেষ্টায় রক্ষিত হচ্ছে প্রাকৃতিক সম্পদের এই অতুলনীয় ভাণ্ডার। অরণ্য রক্ষা ও বনসৃজনের মধ্যে দিয়ে বৃদ্ধি করা হচ্ছে সবুজের আচ্ছাদন। ‘সবুজশ্রী’-র মত বিভিন্ন পরিবেশবান্ধব কর্মসূচির সফল বাস্তবায়নের মধ্যে দিয়ে ত্বরান্বিত হচ্ছে রাজ্যবাসীর আর্থসামাজিক বিকাশ।পরিকল্পিত সবুজায়ন ও জীব বৈচিত্রের সংরক্ষণই প্রাকৃতিক বিপর্যয়কে প্রতিরোধ করে। এই লক্ষ্যে রাজ্যের তটভূমিতে রোপণ করা হয়েছে ২০ কোটি ম্যানগ্রোভ চারা। এই জৈব আচ্ছাদন আগামীদিনে ঘুর্ণিঝড়ের ভয়ঙ্কর রোষ থেকে বাংলাকে রক্ষা করবে।

জলবায়ু পরিবর্তনকে সামাল দিতে রূপায়িত হতে চলেছে ৮০০ কোটি টাকার বন্যপ্রাণ সংরক্ষণ প্রকল্প। এরই সঙ্গে, বন্যজন্তুর আঘাতে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারদের সুরাহা দিতে, প্রাণহানির ২৪ ঘন্টার মধ্যে মৃতের পরিবারকে ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সহায়তা দেওয়া হচ্ছে। নিহত ব্যক্তির পরিবারের এক জনকে বনদপ্তরে নিয়োগের ব্যবস্থা করা হয়েছে। বক্সা ব্যাঘ্র প্রকল্পের গাঁঙ্গুটিয়া ও ভুটিয়াবস্তির পরিবারদের ১৫ লক্ষ টাকা ক্ষতিপূরণ দিয়ে বাইরের ‘বনছায়া’ গ্রামে পুনর্বাসনের ব্যবস্থা করা হয়েছে। দক্ষিণবঙ্গে জঙ্গলমহল ও অন্য জেলাগুলিতে হাতিদের লোকালয়ে চলে আসার প্রবণতাকে কমাতে নেওয়া হয়েছে নানা উদ্যোগ। ঐতিহ্যময় অরণ্যকে রক্ষা করতে, বন্যপ্রাণকে বাঁচিয়ে রাখতে আর অরণ্য ও মানুষের শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানকে আরও নিবিড় করে তুলতে আমাদের এই সকল উদ্যোগ নিশ্চয় সফল হবে। এদিন উত্তর ২৪ পরগনা জেলা প্রশাসন ও জেলা পরিষদের বন ও ভূমি স্থায়ী সমিতির উদ্যেগে শোভাযাত্রা, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি,গাছ বিতরণ ও ট্যাবলো নজরকাড়ে পথচলিত মানুষের। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন থেকে জেলা পরিষদের সভাধিপতি শ্রী নারায়ন গোস্বামী, কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ কে। বিধানসভার মুখ্য সচেতক নির্মল ঘোষ , অতিরিক্ত জেলাশাসক ডঃ আরাক্ষা ভাস্কর, জেলা পরিষদের সহ–‌সভাধিপতি বীনা মন্ডল, উচ্চ মাধ্যমিক শিক্ষা সংসদের সচিব ডঃ প্রিয়দর্শিনী মল্লিক, মধ্যমগ্ৰাম পুরসভার চেয়ারম্যান নিমাই ঘোষ, মুখ্য বনাধিকারী অভিজিৎ কর প্রমুখ। বিভিন্ন স্কুলের শিক্ষক শিক্ষিকা, ছাত্র ছাত্র–‌ছাত্রীরাও শামিল হন। জেলা পরিষদের বন ও ভূমি স্থায়ী সমিতির কর্মাধ্যক্ষ একেএম ফারহাদ বলেন, আমরা সুন্দরবনের বাদাবন অঞ্চলে জীব বৈচিত্র রক্ষা করার কাজ চলছে। একই সঙ্গে জেলায় ইকো আরবান ভিলেজ, ইকো টুররিজিন পার্ক, ভেষজ উদ্ভিদ বিভূতিভূষণ অভয়ারণ্য সহ যে সমস্ত ঐতিহ্যমন্ডিত প্রাকৃতিক সৌন্দর্য গুলি আছে তাকে আরো বেশি সৌন্দর্যায়ন করা হবে।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!