Advertisement
  • এই মুহূর্তে দে । শ
  • জুন ২৩, ২০২৩

মোদির উদ্দেশে ওবামা, মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের অধিকার খণ্ডিত হতে থাকলে ভারত ভেঙে যাবে

ভারতের গণতন্ত্র নিয়ে কূটনৈতিক স্তরে আলোচনা দরকার-- ওবামার মন্তব্যে কীসের ইঙ্গিত ? নিন্দা নির্বাচিত স্বৈরতন্ত্রের

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
মোদির উদ্দেশে ওবামা, মুসলিম ও অন্যান্য সংখ্যালঘুদের অধিকার খণ্ডিত হতে থাকলে ভারত ভেঙে যাবে

মার্কিন মুলুকে গিয়ে প্রত্যেক ভারতীয় নাগরিকের আত্মমর্যাদার সঙ্গে বেঁচে থাকার কথা বলেছিলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। ২৪ ঘন্টা পেরোতে না পেরতেই সম্পূর্ণ বিপরীত সুর শোনা গেল সে দেশের পূর্বতন রাষ্ট্রপতির কণ্ঠে। একটি নিউজ চ্যানেলের সাক্ষাৎকারে তিনি বললেন, মুসলমান ও জনজাতিদের মানবাধিকার যদি রক্ষা না করা হয়, তাহলে ভারতের টুকরো টুকরো হয়ে যাওয়া অবশ্যম্ভাবী। বিশেষজ্ঞদের ধারণা, সাম্প্রতিককালে দেশের উত্তর-পূর্ব অংশে গোষ্ঠী সংঘর্ষে একাধিক প্রাণহানির ঘটনার প্রসঙ্গেই সম্ভবত এ মন্তব্য করেছেন তিনি।

তিন দিনের মার্কিন সফরে গিয়েছেন ভারতের প্রধানমন্ত্রী। কথা বলেছেন সে দেশের রাষ্ট্রপতি জো বাইডেনের সঙ্গে । গণতন্ত্র রক্ষায় দুজনেই দুজনকে যখন দরাজ সার্টিফিকেট দিচ্ছেন সে সময়ই প্রাক্তন রাষ্ট্রপতির মন্তব্যে তৈরি হয়েছে বিতর্ক। ভারত নিয়ে নিজের উদ্বেগ প্রকাশ করে তিনি বলেছেন, ভারতীয় গণতন্ত্রের বর্তমানের যা অবস্থা তা নিয়ে কূটনৈতিক স্তরে কথাবার্তা হওয়া জরুরি। আমেরিকার কাছে গণতন্ত্রের থেকে বড় কিছু নেই। কোনও ব্যক্তি তার থেকে বড় নন। তাই বর্তমান ইউ এস প্রেসিডেন্টেত কাছে তাঁর আবেদন, গণতান্ত্রিক অধিকারের জন্য যা বিপজ্জনক তাই নিয়ে তিনি যেন সরব হয়ে ওঠেন।

প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে নিজের একাধিকবার সাক্ষাতের কথা বলেছেন ওবামা। তিনি জানিয়েছেন, এমুহুর্তে তার নরেন্দ্র মোদির কথা হলে তিনি তাকে ভারতের মুসলিম ও অন্যান্য প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অধিকার নিয়ে ভাবনা চিন্তা করতে বলতেন। তাঁর মতে, ভারতের ঐক্য ও অখণ্ডতা রক্ষা করতে গেলে তাঁদের অধিকার রক্ষা বিষয়ে উদ্যোগী হওয়াটা বিশেষ প্রয়োজন।

রাজনৈতিক মহলের ধারণা, ওবামা সুকৌশলে মণিপুরের কথা বলতে চেয়েছেন। উত্তর-পূর্বের এই রাজ্যের দাঙ্গা প্রশ্নে অবশ্য প্রধানমন্ত্রীর  চুপ থাকা  দেশের মধ্যে তীব্র সমালোচনা করছেন বিরোধীরা।  ইতিমধ্যে ৭৫ জন ডেমোক্র্যাট নেতা চিঠি দিয়ে অনুরোধ করেছেন  রাষ্ট্রপতি  বাইডেন যেন   ভারতে   নাগরিকের  কণ্ঠরোধ ও মানবাধিকার লঙ্ঘন নিয়ে  নরেন্দ্র মোদির সঙ্গে কথা বলেন। তাই  দেশের গণতন্ত্রের হাল-হকিকত নিয়ে  এখন আন্তর্জাতিক ক্ষেত্রেও প্রশ্নের মুখে পড়তে পারেন  তিনি।  তবে,  এখানেও নীরবতা অবলম্বন করবেন কিনা তা অবশ্য নিশ্চিত নয়।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!