- দে । শ
- জুন ৩০, ২০২৩
ধ্বংসাবশেষ উদ্ধারের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে নতুন অভিযানের বিজ্ঞপ্তি, প্রশ্নের মুখে ওশিয়ানগেট

মাত্র কয়েকদিন হল টাইটানিক ধ্বংসাবশেষ দেখতে গিয়ে সমুদ্রের অতল গহ্বরে হারিয়ে গেছেন পাঁচ যাত্রী। উদ্ধার হয়েছে ডুবোজাহাজের ধ্বংসাবশেষ। সেখানে লেগে রয়েছে মানবশরীরের দেহাংশে । যা ডিএন এ পরীক্ষার জন্য পাঠানো হবে বলে সংবাদ মাধ্যম সূত্রে জানা গিয়েছে। এমন পরিস্থিতিতে নতুন অভিযান শুরুর বিজ্ঞাপন দিল ওশিয়ান গেট। সংস্থার ওয়েবসাইটে গেলেই সমুদ্রযাত্রা নিয়ে আগ্রহীরা তা দেখতে পাবেন।
ওয়েবসাইটে দেওয়া বিজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, টাইটানিকে ধ্বংসাবশেষ দেখতে যাওয়ার জন্য দু’টি অভিযানে ব্যবস্থা করা হবে। প্রথমটি ২০২৪ সালের ১২ থেকে ২০ জুন। দ্বিতীয়টি ২১ থেকে ২৯ জুন। মোট ব্যয় ২ লক্ষ ৫০ হাজার ডলার। ভারতীয় মুদ্রায় যা প্রায় ২ কোটি টাকা। তাঁর বিনিময়ে ডুবোযান নিয়ে অতলান্তিকে অভিযান, জাহাজে থাকা-খাওয়া, প্রশিক্ষণ, অভিযানের সরঞ্জাম— সব ব্যবস্থাই করবে সংস্থা।
বিজ্ঞাপনটিতে অভিযানের নিয়ে সবিস্তারিত তথ্য দেওয়া রয়েছে । তাতে বলা হয়েছে, প্রথম দিন সেন্ট জনস শহরের সৈকত থেকে শুরু হবে যাত্রা। সেখান থেকে টাইটানিকের ভগ্নাবশেষ দেখতে নিয়ে যাওয়া হবে। তাদের দাবি, গন্তব্যে পৌঁছতে গেলে ৪০০ মাইল ভাসতে হবে সমুদ্রে। এ ব্যাপারে বলা দরকার সংস্থার পক্ষ থেকে পূর্বে বলা হয়েছিল, আপাতত এই অভিযান ‘অনির্দিষ্ট’ কালের জন্য বন্ধ থাকবে। কিন্তু কোণ কারণে তা বার চালু করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হল তা ঠিক স্পষ্ট নয়।
ডুবোযানের ভরাডুবিতে সংস্থার দায়কেও কোনোমতেই আড়াল করা যায় না। বলাবাহুল্য, ১৮ জুন পাঁচ যাত্রীকে নিয়ে সমুদ্রের ১৩ হাজার ফুট গভীরে নেমেছিল। যাত্রা শুরুর ১ ঘণ্টা ৪৫ মিনিটের মধ্যেই নির্দেশক যান পোলার প্রিন্সেসের সঙ্গে যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। উল্লেখ্য তাঁর বহু পরেই উপকূল রক্ষী বাহিনীদের তা জানানো হয়। এত বিলম্ব ঘটল কেন তাঁর কোনো সদুত্তর দেয়নি ওশিয়ানগেট। পাঁচ যাত্রীকে প্রায় ১৩,০০০ ফুট গভীরে নিয়ে যাওয়ারে জন্য জলযানটিতে সবরকম প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছিল সে নিয়েও নিরুত্তর তাঁরা। ওশিয়ানিগেটের কর্ণধারদের দায়িত্ব নিয়ে প্রশ্ন তুলছেন বহু বিশিষ্ট ব্যক্তি। তাই বিতর্কর যেখানে এখনো অবসান ঘটেনি সেখানে আবার নতুন করে কোনো অভিযানের বিজ্ঞপ্তি কেন সে প্রশ্ন ওঠা অস্বাভাবিক নয়।
❤ Support Us