- মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- ফেব্রুয়ারি ২৯, ২০২৪
ওডিশার কাছে হেরে প্লে–অফের স্বপ্ন কার্যত শেষ ইস্টবেঙ্গলের
ম্যাচের বয়স তখন ৩২ সেকেন্ড। দর্শকরা তখনও নিজেদের আসনে ঠিকঠাকভাবে বসেননি। ডানদিক থেকে বল নিয়ে কাট করে ভেতরে ঢুকে আচমকা শট বিষ্ণু কেপি–র। সকলকে হতভম্ভ করে বল জালে। শুরুতে এগিয়ে গিয়েও জয় এল না ইস্টবেঙ্গলের। সুপার কাপ ফাইনালে হারের মধুর প্রতিশোধ নিয়ে লাল–হলুদের আইএসএলের প্লে–অফের সম্ভাবনা কার্যত শেষ করে দিল ওডিশা এফসি।
প্লে–অফের আশা বাঁচিয়ে রাখতে গেলে বাকি ম্যাচগুলিতে জেতা ছাড়া রাস্তা ছিল না ইস্টবেঙ্গলের সামনে। ওডিশার কাছে হেরে স্বপ্নের সলিল সমাধি। ইস্টবেঙ্গলের কাছে ম্যাচটা যে কঠিন হবে জানাই ছিল। একেই ওডিশার ঘরের মাঠে খেলা। তার ওপর সুপার কাপে হারের প্রতিশোধ নেওয়ার জন্য মরিয়া ছিল লোবোরোর দল। শুরুতে বিষ্ণু কেপি–র গোল ধাক্কা দিলেও পরে দারুণভাবে ম্যাচে ফিরে আসে। দিয়েগো মরিসিও, রয় কৃষ্ণা, আহমেদ জাহুরা একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে এসে ব্যতিব্যস্ত রাখছিল ইস্টবেঙ্গল রক্ষণকে।
ইস্টবেঙ্গলের লক্ষ্য ছিল প্রতি আক্রমণে বাজিমাত করা। তাই এদিন ক্লেইনের সঙ্গে শুরু থেকেই দ্রুত গতির বিষ্ণুকে নামিয়ে ছিলেন কুয়াদ্রাত। ওডিশা রক্ষণকে বেশ কয়েকবার পরীক্ষার মুখে ফেলে দিয়েছিলেন বিষ্ণু। ১৭ মিনিটে তাঁর সেন্টারে ঠিকঠাক মাথা লাগাতে পারলে ব্যবধান বাড়ত ইস্টবেঙ্গলের। একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে এসে অবশেষে ৪০ মিনিটে সমতা ফেরায় ওডিশা। রাকিপ বক্সের মধ্যে মরিসিওকে ফাউল করলে পেনাল্টি পায় ওডিশা। পেনাল্টি থেকে গোল করেন মরিসিও।
দ্বিতীয়ার্ধের শুরুতেই সুহের ও অজয় ছেত্রিকে তুলে মহেশ সিং ও সৌভিক চক্রবর্তীকে নামান ইস্টবেঙ্গল সহকারী কোচ ডেলগার্ডো। ইস্টবেঙ্গলের খেলায় গতি বাড়ে। ৫০ মিনিটে মহেশ ভাসকোয়েজকে বল সাজিয়ে দিলেও তিনি গোল করতে ব্যর্থ হন। ৬১ মিনিটে এগিয়ে যায় ওডিশা। আহমেদ জাহুর নীচু কর্নারে পা ছুঁইয়ে দলকে এগিয়ে দেন প্রিন্সটন। ৮৭ মিনিটে সমতা ফেরানোর সুযোগ এসেছিল ইস্টবেঙ্গলের সামনে। মহেশ সিংয়ের বক্সের বাইরে থেকে নেওয়া জোরালো শট কোনও রকমে ফিস্ট করে বাঁচান ওডিশা গোলকিপার অমরিন্দার সিং। শেষ দিকে একের পর এক আক্রমণ তুলে নিয়ে এসেও সমতা ফেরাতে পারেনি ইস্টবেঙ্গল।
❤ Support Us