- দে । শ
- ফেব্রুয়ারি ৯, ২০২৩
কাঁধে স্ত্রীর মৃতদেহ। অসহায় স্বামীর দীর্ঘ পদযাত্রা নিয়ে প্রশ্নের মুখে উড়িষ্যা প্রশাসন

হাসপাতাল থেকে বাড়ি ফেরার পথে মৃত্যু হল স্ত্রীর। মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে মাইলের পর মাইল হাঁটলেন অসহায় স্বামী। স্থানীয় পুলিশের তৎপরতায় পরে ফিরলেন নিজের গ্রামের বাড়িতে।
৩৫ বছরের সামুলু পাঞ্জি উড়িষ্যার কোরাপুটের বাসিন্দা। সম্প্রতি তাঁর অসুস্থ স্ত্রীর চিকিৎসার জন্য গিয়েছিলেন অন্ধ্রপ্রদেশের বিশাখাপত্তনম জেলার সঙ্গিবালসায়। প্রাথমিক চিকিৎসার পর চিকিৎসকরা জানান, তাঁর সহধর্মীনির অবস্থা গুরুতর, শারীরিক অবস্থার উন্নতির আশা ক্ষীণ। চিকিৎসকদের কাছ থেকে কোনো ইতিবাচক উত্তর না পেয়ে তাঁদের পরামর্শ মত বাড়ি উদ্দেশ্যে রওনা দেন পাঞ্জি। স্থানীয় সংবাদ সূত্রে খবর, অটোরিকশাতে যাওয়ার সময় ভিজিয়ানাগ্রামে মৃত্যু হয় ৩০ বছরের স্ত্রী ইদে গুরুর। রিকশা চালক তাকে ওই অবস্থায় বাড়ি পর্যন্ত নিয়ে যেতে অস্বীকার করে। বাধ্য হয়ে তখন নিজেই স্ত্রীর মৃতদেহ কাঁধে নিয়ে পথ চলতে শুরু করেন স্বামী।
স্থানীয় মানুষ ঘটনার ব্যাপারে জানতে পেরে পুলিশকে খবর দেন। খবর পেয়ে ছুটে আসে স্থানীয় পুলিশ। ভাষাগত সমস্যার জন্য দ্রুত ব্যবস্থা নিতে সামান্য বিলম্ব হয়। পরে এলাকার এক দোভাষীর সাহায্যে পাঞ্জির দুরবস্থা সম্পর্কে অবগত হন পুলিশ কর্মীরা। পুলিশের এক শীর্ষ স্থানীয় আধিকারিকের কথায়, দ্রুত তাদের জন্য আম্বুল্যান্সের ব্যবস্থা করা হয়।সেই চিকিৎসা যানে স্ত্রীর মৃতদেহ নিয়ে নিজের গ্রামে ফেরেন পাঞ্জি।বিপদাপন্ন ব্যক্তির প্রতি মানবিক আচরণের জন্য অন্ধ্র পুলিশকে অভিনন্দন জানিয়েছেন তিনি।
পাঞ্জি দম্পতির এই অভিজ্ঞতার কথা ইতিমধ্যেই ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক প্রচারমাধ্যমে। বহু মানুষ উড়িষ্যার প্রত্যন্ত গ্রামের এক বাসিন্দার দায়িত্ববোধের প্রশংসা করেছেন। ২০১৬ সালেও, উড়িষ্যায় একইভাবে মৃতদেহ নিয়ে হাঁটাতে দেখা গিয়েছিল। তার সাতবছর পরেও ঘটনার পুনরাবৃত্তি। সেই রাজ্যের প্রান্তিক জনগোষ্ঠীর অসহায় এই অবস্থা এবং রাজ্যের স্বাস্থ্য ব্যবস্থা ও প্রশাসনিক পরিকাঠামো নিয়ে প্রশান তুলেছেন। লকডাউনের সময় বহু পরিযায়ী শ্রমিককে মাইলের পর মাইল হাঁটতে দেখেছিল দেশ। করোনার প্রকোপ হ্রাস পেলেও সেই ছবির পরিবর্তন হল না। দায় কার? প্রশ্ন সমাজ সচেতন নাগরিকদের।
❤ Support Us