- মা | ঠে-ম | য় | দা | নে
- ফেব্রুয়ারি ২৮, ২০২৩
শচীনের ৫০তম জন্মদিনে বিশেষ সম্মান, ওয়াংখেড়েতে বসছে মাস্টার ব্লাস্টারের মূর্তি

শচীন তেন্ডুলকারের ৫০ তম জন্মদিনে তাঁকে বিশেষ সম্মান জানাতে চলেছে মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে জীবনের শেষ টেস্ট খেলেছিলেন শচীন। আর সেখানেই এবার তাঁর পূর্ণাবয়ব মূর্তি বসানোর সিদ্ধান্ত নিয়েছে মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে এই প্রথম কোন ক্রিকেটারের মূর্তি বসতে চলেছে। শচীনের নামে গ্যালারির একটা স্ট্যান্ডের নামকরণ করা হয়েছে আগেই। এছাড়া দিলীপ বেঙ্গসরকারের নামেও একটা স্ট্যান্ড রয়েছে। সুনীল গাভাসকারের নামাঙ্কিত কর্পোরেট বক্সও রয়েছে ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে।
নিজের মূর্তি বসানোর ব্যাপারে মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনকে সম্মতি জানিয়েছেন শচীন। ভারতের কোনও ক্রিকেট স্টেডিয়ামে একমাত্র কর্নেল সিকে নাইডুর মূর্তি রয়েছে। নাগপুরে ভিসিএস স্টেডিয়াম, অন্ধ্রপ্রদেশের ভিডিসিএস স্টেডিয়াম এবং ইন্দোরের হোলকার স্টেডিয়ামে কর্নেল সিকে নাইডুর মূর্তি রয়েছে। ওয়াংখেড়েতে শচীনের মূর্তি বসলে তিনিই হবে দ্বিতীয় ক্রিকেটার যার মূর্তি বসবে ভারতের কোনও ক্রিকেট স্টেডিয়ামে।
২৪ এপ্রিল শচীনের জন্মদিন। তার আগেই ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শচীনের মূর্তি বসানোর প্রক্রিয়া চলছে বলে জানিয়েছেন মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট অমল কালে। সর্বভারতীয় সংবাদ মাধ্যমকে দেওয়া সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, ‘ভারতীয় ক্রিকেটে শচীনের অবদান অবিস্মরণীয়। তাকে সম্মান জানাতেই ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে শচীনের পূর্ণাবয়ব মূর্তি বসানো হচ্ছে। এই ব্যাপারে শচীন সম্মতিও জানিয়েছে।’ অমল কালে আরও বলেন, ‘শচীন তেন্ডুলকার ভারতরত্ন সম্মানে ভূষিত হয়েছে। ক্রিকেটে তার অবদানের কথা সবাই জানে। শচীনের ৫০ তম জন্মদিনে মূর্তি বসানো আমাদের সংস্থার পক্ষ থেকে সামান্য উপহার।’
২০১৩ সালে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে পাকাপাকিভাবে অবসর নেন শচীন তেন্ডুলকার। মুম্বইয়ের ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিরুদ্ধে জীবনের শেষ টেস্ট খেলেছিলেন। সেই ম্যাচ দেখতে হাজির ছিলেন তাঁর মা রজনী তেন্ডুলকার। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামে নিজের মূর্তি বসার কথা শুনে আপ্লুত শচীন। তিনি বলেন, ‘এটা আমার কাছে দারুন ব্যাপার। এই স্টেডিয়ামেই আমার ক্রিকেট জীবন শুরু হয়েছিল। ওয়াংখেড়ে স্টেডিয়ামের সঙ্গে আমার অনেক স্মৃতি জড়িয়ে রয়েছে। এই স্টেডিয়ামেই আমার জীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় মুহূর্ত একদিনের ক্রিকেট বিশ্বকাপে চ্যাম্পিয়ন হয়েছিলাম। জীবনের শেষ টেস্ট খেলেছি এই স্টেডিয়ামেই। মুম্বই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট এবং অন্যান্য কর্তারা মূর্তি বসানোর ব্যাপারে আমার মতামত চেয়েছেন। আমি সম্মতি জানিয়েছি।’
❤ Support Us