- এই মুহূর্তে দে । শ
- সেপ্টেম্বর ২৮, ২০২৪
মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশে মাঠে জনপ্রতিনিধিরা। দফায় দফায় বৃষ্টিতে বরবাদ আনাজ, বাজার আগুন

পরপর নিম্নচাপে সবজি চাষের দফারফা রাজ্যের ‘শস্যগোলা’ পূর্ব বর্ধমানে। তার ফলে জেলার পাইকারি থেকে খুচরো বাজার সর্বত্র ‘আগুন’ আনাজ। বেড়েছে আলুর দরও। আর দফায় দফায় দু্র্যোগের ফলে এবার ভাল মানের আনাজপাতিও মিলবে না বলে জানাচ্ছেন কৃষকরা। বৃষ্টি, বন্যা, ডিভিসির জলে জেলার ১৪২টি পঞ্চায়েতের ৯৬২টি মৌজার ৫০,৯৮৭ হেক্টর কৃষিজমি ডুবে গিয়েছে। বরবাদ হয়েছে ৩,৫৯৫ হেক্টর জমির সবজি। জেলায় ক্ষতিগ্রস্ত কৃষকের সংখ্যা ১,৮৭,২৭৭ জন। জেলার সবজি বাজারগুলিতে টহল দিয়ে দেখা গেল, পটল, ফুলকপি, বাঁধাকপি, ঝিঙে, শসা, উচ্ছে, বরবটি, পেঁপে, ওল, ঢেঁড়শ, টম্যাটো, বেগুন-সহ সমস্ত আনাজপাতির দর গড়ে ২০ শতাংশ বেড়েছে। অভিযোগ, এই অবস্থার সুযোগ নিচ্ছে কিছু অসাধু ব্যবসায়ী। জেলায় বড় পাইকারি বাজার রয়েছে কালনা ১নং ব্লকের ধাত্রীগ্রাম, ২ নং ব্লকের নিয়ন্ত্রিত কৃষি বিপণন কেন্দ্র, পূর্বস্থলী ১নং ব্লকের সমুদ্রগড় ও নিমতলা, ২নং ব্লকের পারুলিয়া, কালেখাঁতলা ও জামালপুর। এইসব বাজারগুলিতে ঘুরে দেখা গেল, স্বাভাবিকের তুলনায় আনাজের জোগান ৭০ শতাংশের উপর কমে গিয়েছে। আনাজপাতি নষ্ট হওয়ায় মাথায় হাত কৃষকদের।
এদিকে বর্ধমানে প্রশাসনিক বৈঠক করতে এসে মুখ্যমন্ত্রী জেলার জনপ্রতিনিধিদের বন্যা বিধ্বস্ত এলাকা সরেজমিন পরিদর্শনের কথা বলার পরই জেলার মন্ত্রী, বিধায়ক-সহ ত্রিস্তর পঞ্চায়েতের প্রতিনিধিরা নিজের নিজের এলাকায় ঘুরতে শুরু করেছেন। কালনা ১নং ব্লকের বন্যাকবলিত কলডাঙা, বিজয়নগর, কোম্পানিডাঙা, নতুনচর এলাকার ত্রাণ শিবিরগুলিতে যান এলাকার বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী স্বপন দেবনাথ ও জেলা প্রশাসনের একদল প্রতিনিধি। ত্রাণ বিলি ঠিকঠাক চলছে কিনা দেখেন।
❤ Support Us