Advertisement
  • দে । শ
  • জুন ১০, ২০২৪

দীনেশ মজুমদারের মূর্তিতে বিকৃতি ! প্রমোটারের দখলে স্বাধীনতা সংগ্রামীর বাড়ি। উদাসীন স্থানীয় প্রশাসন

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
দীনেশ মজুমদারের মূর্তিতে বিকৃতি ! প্রমোটারের দখলে স্বাধীনতা সংগ্রামীর বাড়ি। উদাসীন স্থানীয় প্রশাসন

স্বাধীনতার লড়াইয়ে আত্মবলিদান, তবুও সামাজিক উদাসীনতার শিকার শহিদ দীনেশ মজুমদার। ৯ মে তাঁর ৯০ তম আত্মোৎসর্গ দিবসের স্মরণ অনুষ্ঠানে উঠে এল এই করুণ চিত্র। অবহেলায় পড়ে থাকা জন্ম ভিটায় ইতিমধ্যেই প্রমোটারের ললুপ থাবা। শহিদ মূর্তিটিরও ভগ্নদশা। তাতেও করা হয়েছে বিকৃতি ।

২৫ আগস্ট ১৯৩০। ব্রিটিশ রাজত্বে, কলকাতার পুলিশ কমিশনার চার্লস টেগার্টের গাড়ি লক্ষ্য করে বোমা ছুঁড়েছিলেন দীনেশ মজুমদার। সঙ্গী ছিলেন অনুজাচরন সেন। কেঁপে উঠেছিল গোটা ডালহৌসি চত্বর। দ্বিতীয় বোমা ছুঁড়তে গিয়ে সেটি হাতে ফেটে লুটিয়ে পড়েন সঙ্গী অনুজাচরণ। বোমা লক্ষ্যভ্রষ্ট হওয়ায় সে যাত্রায় বেঁচে যান অত্যাচারী টেগার্ট। বৃটিশ পুলিশের হাতে ধরা পড়েন দীনেশ। যাবজ্জীবন কারাবাসের সাজা হয়। কারারুদ্ধ দীনেশ কিছুদিন পুলিশের চোখে ফাঁকি দিয়ে মেদিনীপুর জেলের পাঁচিল টপকে পালিয়ে যান। পরে আত্মগোপন করে চলতে থাকে তাঁর বিপ্লবী কর্মকান্ড । প্রায় তিন বছর পর, ২২ মে কর্ণওয়ালিশ স্ট্রিটের বাড়ি থেকে আবার গ্রেফতার হন তিনি। চার্লস টেগার্টকে হত্যার চেষ্টা, জেল ভেঙে পালানো, পুলিশ অফিসার মুকুন্দ ভট্টাচার্যকে লক্ষ্য করে গুলি, আবস থেকে বোমা, গুলি উদ্ধার, চন্দননগরের পুলিশ কমিশনারকে হত্যা, এরকম একাধিক অভিযোগে তাঁর ফাঁসির সাজা ঘোষণা হয়। ১৯৩৪ সালে ৯ জুন শদীদ হন তিনি।

দীনেশ মজুমদারের জন্ম ১৯০৭ সালে ১৯ মে বসিরহাটের নিমতলায় । তাঁর বাবা পূর্ণচন্দ্র মজুমদারে নামে বসিরহাটে একটি বালিকা বিদ্যালয়ও রয়েছে। নিমতলায় দীনেশের স্মৃতি বিজড়িত বাড়িটির বেহাল দশা। দখল নিয়েছে প্রোমোটার। বসিরহাট টাউন হলের সামনে, দীনেশের আবক্ষ মূর্তিতেও চরম অনাদরের চিহ্ন। পাথরের মূর্তির কান খোয়া গেছিল আগেই, সম্প্রতি মার্কার পেন দিয়ে চোখ বিকৃত করেছে দুষ্কৃতীকারীরা।
প্রত্যেক বছরই শহিদ দীনেশ মজুদার স্মৃতি রক্ষা কমিটির উদ্যোগে তাঁর আত্মোৎসর্গ দিবস পালিত হয় বসিরহাট টাউন হলে। এবছরও সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট ক্রীড়াবিদ কালিদাস মজুমদার, জগন্নাথ দাস, নির্মল মন্ডল, অঞ্জন মিত্র, অজয় বাইন প্রমুখ। স্মৃতি রক্ষা কমিটি এবং স্থানীয় মনুষরা দীর্ঘদিন ধরেই বসিরহাটের বীর সন্তান দীনেশের বাড়িকে হেরিটেজ ঘোষণা এবং মূর্তির সংস্কারে দাবি তুলছেন। দাবি উঠেছে বসিরহাট মহকুমার কৃতি সন্তানদের স্মৃতি নিয়ে একটি সংগ্রহ শালা তৈরিরও। বিষয়টি নিয়ে হেলদোল নেই পুর কতৃপক্ষের। উদাসীন স্থানীয় প্রশাসন।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!