Advertisement
  • দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
  • মে ২২, ২০২৩

লক্ষ্য ২০২৪: আজ দিল্লিতে খাড়গে-রাহুলের সঙ্গে নীতিশ-তেজস্বীর বৈঠক, মঙ্গলবার নবান্নে আসছেন কেজরি

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
লক্ষ্য ২০২৪: আজ দিল্লিতে খাড়গে-রাহুলের সঙ্গে নীতিশ-তেজস্বীর বৈঠক, মঙ্গলবার নবান্নে আসছেন কেজরি

২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনের দিকে তাকিয়ে বিজেপি বিরোধী দলগুলো বিরোধী জোট মজবুত করতে জোরদার উদ্যোগ নিয়েছে। আর জোটের শক্তি বাড়াতে আমাগী মঙ্গলবার নবান্নে তৃণমূল সুপ্রিমো মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে আসছেন দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী অরবিন্দ কেজরিওয়ার। এদিকে আজ সোমবারই দিল্লিতে কংগ্রেস সভাপতি মল্লিকার্জুন খাড়গ, রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করবেন বিহারের মুখ্যমন্ত্রী নীতিশ কুমার এবং বিহারের উপমুখ্যমন্ত্রী তেজস্বী যাদব। এই বৈঠকে মূলত নীতিশ কুমার এ পর্যন্ত বিভিন্ন বিজেপি বিরোধী দলের নেতা-নেত্রীদের সঙ্গে কথা বলে বিজেপি বিরোধী জোটের পক্ষে যে আলোচনা হয়েছে তার নির্যাস খাড়গে ও রাহুলকে জানাবেন। এর পর বিজেপি বিরোধী জোটের পাটনায় বৃহত্তর বৈঠকের দিন আজকের এই বৈঠকে ঠিক হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে জানা যাচ্ছে।

এদিকে রবিবার কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ও  দিল্লির বিজেপি সাংসদ মীনাক্ষী লেখী দিল্লির আপ সরকারকে সরাসরি আক্রমণ করে বলেছেন, “আম আদমি পার্টির দুর্নীতির তদন্ত করার জন্যই অর্ডিন্যান্স আনা হয়েছে। যাঁরা এই বিষয়ে আম আদমি সরকারকে সমর্থন করছেন, তাঁদেরও ‘অসৎ’ এবং ‘দুর্নীতিগ্রস্ত’ বলা যেতে পারে।”

অর্থাৎ বোঝাই যাচ্ছে ২০২৪-এর কলসভা নির্বাচন যতই এগিয়ে আসছে ততই শাসক-বিরোধী সংঘাত বাড়ছে। আর এই আবহেই আগামীকাল নবান্নে আসছেন অরবিন্দ কেজরিওয়াল। জানা যাচ্ছে, অর্ডিন্যান্স বিতর্কে বিজেপি বিরোধী দলগুলিকে পাশে পেতে চাইছেন অরবিন্দ  কেজরীওয়াল। আর আগামী মঙ্গলবার কলকাতায় মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে এই নিয়েও তিনি বৈঠক করবেন বলে আপ সূত্রে জানা যাচ্ছে। মঙ্গলবার মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করার পরের দিন ২৪ মে, বুধবার  মুম্বইয়ে শিবসেনা নেতা  উদ্ধব ঠাকরের সঙ্গে অরবিন্দ কেজরিওয়াল বৈঠক করবেন। তার পরের দিন  ২৫ মে এনসিপি নেতা শরদ পওয়ারের সঙ্গেও দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বৈঠক করবেন বলে জানা যাচ্ছে।

এদিকে আগেই সমস্ত বিজেপি বিরোধী দল একজোট হয়ে দফায় দফায় বৈঠক করেছে। নীতিশ কুমার এই জোট গঠনে গুরুদায়িত্ব নিয়েছেন। আসলে যতই ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচন এগিয়ে আসছে ততই বিজেপি বিরোধী দলগুলোকে বিভিন্ন ভাবে কেন্দ্রের বিজেপি সরকার হেনস্থা করছে বলে বিরোধীদের অভিযোগ। আর এই হেনস্থার প্রতিবাদে সমস্ত অবিজেপি দলগুলো এক হওয়ার মরিয়া চেষ্টা চালাচ্ছে। একদিকে বিজেপি চাইছে দুর্নীতির অভিযোগ এনে অবিজেপি দলগুলোকে জনবিচ্ছিন্ন করতে। অন্যদিকে অবিজেপি দলগুলি নিজেদের মধ্যে ঐক্য গড়ে বিজেপির জনবিরোধী নীতিকে মানুষের সামনে তুলে ধরে নিজেদের অস্তিত্ব মানুষের মধ্যে প্রতিষ্ঠিত করতে চাইছে।

কলকাতায় আসার আগেই রবিবার সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রী বলেছেন, রাজ্যসভায় বিলটি পেশ হলে সমস্ত বিরোধীরা একত্রিত হয়ে যাতে সেই বিলটি রুখে দেয় সেই চেষ্টা তিনি করবেন। তার জন্যই প্রত্যেক বিজেপি  বিরোধী রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীর কাছে তিনি ব্যক্তিগতভাবে এই বিষয় নিয়ে নিজে গিয়ে আবেদন জানাবেন। এই বিষয়টি মমতা-কেজরিওয়াল বৈঠকে মঙ্গলবার গুরুত্ব পাবে বলে মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি পশ্চিমবঙ্গের মতো দিল্লিতেও কেন্দ্রীয় এজেন্সির অতিসক্রিয়তা নিয়েও মমতা-কেজরি আলোচনা হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে বলে মনে করা হচ্ছে । কেননা দিল্লির আপ সরকারের ২ মন্ত্রী এখনও জেলে। এদিকে প্রাক্তন তৃণমূল মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায়, বীরভূমের তৃণমূল জেলা সভাপতি  অনুব্রত মণ্ডল-সহ তৃণমূলের একাধিক হেভিওয়েটও নেতা এখন কেন্দ্রীয় এজেন্সির তদন্তের ফলে জেলবন্দি। কেন্দ্রের এই “এজেন্সীরাজ” রোখার স্ট্রাটেজি নিয়েও মমতা-কেজরির আলোচনার প্রবল সম্ভাবনা রয়েছে।

এদিকে কর্ণাটকে বিজেপিকে পরাজিত করার পর জাতীয় রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় সহ অন্যান্য বিজেপি বিরোধী দলের নেতারা কংগ্রেসকে গুরুত্ব দিতে শুরু করেছে। তৃণমূলই একমাত্র বিজেপির বিজয় রথের ঘোড়াকে রুখতে পারে, তৃণমূলের এই ধারণা ও প্রচার যে ঠিক নয় সেটা প্রমাণ হয়েছে বলে কোনও কোনও বিজেপি বিরোধী দল মনে করছে। আর তাই কর্ণাটকের বিধানসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের জয়ের পরেই বিজেপি বিরোধী জোটের ক্ষেত্রে কংগ্রেসের গুরুত্ব বেড়েছে। এই আবহে আজ কংগ্রেস সভাপতি খাড়গে ও রাহুলের সঙ্গে সাক্ষাৎ করছেন নীতিশ কুমার ও তেজস্বী। এর আগে গত ১২ এপ্রিল রাহুল গান্ধীর সঙ্গে দেখা করেন নীতিশ। সেই বৈঠকে ঠিক হয়েছিল,  নীতিশ কুমার ৬টি বিরোধী দলের নেতার সঙ্গে দেখা করে বিজেপি বিরোধী জোটের বিষয় আলোচনা করবেন। তবে এই ৬টি দলের মধ্যে ২টি দলের কংগ্রেসের মতো প্রাচীন দল ও রাহুল গান্ধীর প্রতি “এলার্জি” ছিল। তবে কর্ণাটক বিধানসভা নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর তাদের সেই “এলাৰ্জি”  কতটা কেটেছে সেটা দেখার। কেননা এখনও কেন্দ্র বিরোধী জোটে কংগ্রেসকে সমর্থনের ইস্যুতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শেষ যে বক্তব্য রেখেছেন তাতে তিনি বলেছেন, বাংলায় কংগ্রেস তাদের বিরোধিতা করবে আর তৃণমূল অন্য রাজ্যে কংগ্রেসকে সমর্থন করবে এই দ্বিচারিতা তিনি মানেন না। এদিকে মমতার এই মন্তব্যের পর প্রদেশ কংগ্রেসের নেতারা বলেছেন, তৃণমূলের বাংলা ছাড়া অন্য কোন রাজ্যে সেই জোর আছে যা দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের পাশে দাঁড়াতে পারে?


  • Tags:
❤ Support Us
আশ্রয় গ | ল্প রোব-e-বর্ণ
পথ ভুবনের দিনলিপি। পর্ব ১২ পা | র্স | পে | ক্টি | ভ রোব-e-বর্ণ
হিরণবালা । পর্ব ১২ ধা | রা | বা | হি | ক রোব-e-বর্ণ
error: Content is protected !!