- বি। দে । শ
- মে ২৪, ২০২৪
ভয়াবহ ভূমিধ্বসের কবলে দ্বীপরাষ্ট্র পাপুয়া, ঘুমের ঘোরেই মৃত্যুমুখে ১০০ বাসিন্দা

ঘুমের ঘোরেই মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়লেন পাপুয়া নিউগিনির ১০০র বেশি মানুষ। প্রশান্ত মহাসাগরের দ্বীপরাষ্ট্রে আচমকা ভূমি ধ্বসের শিকার হলেন তাঁরা। আজ অস্ট্রেলিয়ান নিউজ এজেন্সি এবিসি এই খবর জানিয়েছে।
রাজধানী পোর্ট মরসবে থেকে ৬০০ কিলোমিটার উত্তর পশ্চিমের রাজ্য এঙ্গা। ওই রাজ্যের কাওকালাম অঞ্চলে রাত তিনটের সময় এই মর্মান্তিক ঘটনাটি ঘটে।তখন বেশীরভাগ মানুষ ঘুমের ঘোরে থাকার জন্য এমন দুর্ঘটনায় কোনো তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ নেওয়া সম্ভব হয়নি। সকাল হলে স্থানীয়দের সাহায্যে উদ্ধারকার্য চালানো গেছে। বাসিন্দাদের মতে, মৃতের সংখ্যা ১০০। যদিও প্রশাসনের তরফে এখনও সঠিক পরিসংখ্যান পাওয়া যায়নি।
কাওকালামের কাছাকাছি শহর বলতে পোগরা । সেখানে একটি সোনার খনি রয়েছে। এলাকার বহু মানুষ ওই খনির ওপরে নির্ভরশীল। বর্তমানে সেই শহরের সাথেও যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে গেছে।
প্রধানমন্ত্রী জেমস মারাপে জানিয়েছেন, তিনি এখনো স্বয়ংসম্পূর্ণ তথ্য পাননি। তবে তিনি আশ্বস্ত করে জানিয়েছেন যে, সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ এই দুর্যোগের মোকাবিলায় কাজ করছে। সূত্র জানাচ্ছে, প্রশান্ত মহাসাগরের বুকে অবস্থিত এই দ্বীপরাষ্ট্রে পাহাড়ের একটি অংশ ভেঙে পড়ার জন্য এই ঘটনা ঘটেছে। ভূমিধ্বসের ছবি সমাজ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়েছে। দেখা যাচ্ছে স্থানীয় মানুষেরা উদ্ধারকার্যে রত ।
এর আগে মার্চ মাসেও একবার ভূমিধ্বসের ঘটনা ঘটেছিল। সেবার ২৩ জন মানুষ প্রাণ হারান। গ্লোবাল গার্ডিয়ান পত্রিকার একটি সমীক্ষায় উঠে এসেছে জলবায়ু পরিবর্তন ও প্রাকৃতিক দুর্যোগের ক্ষেত্রে পাপুয়া নিউগিনি বিশ্বের অন্যতম ঝুঁকিপূর্ণ রাষ্ট্র। জলবায়ু সমস্যা ছাড়াও আরো বিভিন্ন আভ্যন্তরীণ গোলযোগ প্রায়ই লেগে থাকে এই দেশে। সোনার খনির ওপর জীবিকা নির্বাহকারী বাসিন্দারা এখন কতটা দুর্যোগ কাটিয়ে স্বাভাবিক ছন্দে ফেরেন, সেটাই দেখার।
❤ Support Us