Advertisement
  • দে । শ প্রচ্ছদ রচনা
  • জুন ৮, ২০২৪

জ্বলছে মণিপুরের জিরিবাম, আগুন লাগানো হল পুলিশ ফাঁড়িসহ বসতবাড়িতে, ২৫০ বাসিন্দাকে সরানো হল অন্যত্র

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
জ্বলছে মণিপুরের জিরিবাম, আগুন লাগানো হল পুলিশ ফাঁড়িসহ বসতবাড়িতে, ২৫০ বাসিন্দাকে সরানো হল অন্যত্র

অশান্তি সংক্রামিত হল মণিপুরের জিরিবামে। গতকাল ১৪৪ ধারা জারি করেও শেষ রক্ষা হল না । বারাক নদীর তীরে অবস্থিত জেলাটির ছোটবেকরা অঞ্চলে বেশ কিছু বিদ্রোহী ৩-৪ টি নৌকা করে এসে কটি পুলিশ ফাঁড়িসহ বেশ কিছু বসতবাড়িতে অগ্নিসংযোগ করেছে বলে জানা গেছে। ছোটবেকরা ফাঁড়ি এই আক্রমণে সম্পূর্ণ ভস্মিভূত হয়ে গেছে। লামতাই খুনাউ ও মধুপুরের বেশ কিছু পুলিশ আউটপোস্টেও হামলা চালানো হয়েছে।গভীর রাতে আচমকা আঘাত হানা এই বিদ্রোহীদের শনাক্ত করা এখনও সম্ভব হয়নি।ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে প্রশাসনিক তৎপরতায় ২৫০ জন মেইতেই জনগোষ্ঠীর মানুষকে অন্যত্র সরানো হয়েছে।
সুত্র জানাচ্ছে, কদিন আগে কুকি বিদ্রোহীদের হাতে এক ৫৯ বছরের প্রৌঢ়ের মৃত্যুর পর অশান্ত হয়ে ওঠে এলাকা। ওই ব্যক্তি নিজের খামারে যাওয়ার জন্য বাড়ি থেকে বেরোন। পরদিন তাঁর রক্তাক্ত মৃতদেহ উদ্ধার হয়। তারপর প্রশাসন থেকে ১৪৪ ধারা জারি করা হলেও যে আসলে অশান্তির আগুন ধিকিধিকি জ্বলছিল তার প্রমাণ রাত্রের ওই ঘটনা।
মণিপুর-আসাম সীমান্তে জিরিবামের অবস্থান। এই জেলার বুক চিরে চলে গিয়েছে ৩৭ নম্বর জাতীয় সড়ক। মূলত এই অঞ্চলে কুকি সম্প্রদায়ের মানুষের আধিক্য রয়েছে।
লেইসাবিথল নামক অঞ্চলে মেইতেই উপজাতিরা বাস করলেও সেখানে কুকি উপজাতিদের প্রভাব সবচেয়ে বেশি।কিন্তু অপেক্ষাকৃত ভেতরের দিকের এলাকায় মেইতেইদের বসবাস বেশি। ওই ২৫০ জন বাসিন্দা ওই এলাকাতেই বাস করেন বলে জানা গেছে। এবাসিন্দারা পরিস্থিতি নিয়ে পুলিশ প্রশাসনের কাছে উদ্বেগ প্রকাশ করার জন্য তাঁদের অন্যত্র সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে বলে জানা গেছে।
গতবছর মে মাসে মণিপুরের মূল অশান্তির আঁচ এখনও জিরিবামের গায়ে লাগেনি বলেই মনে করা হচ্ছে। পুলিশ সুত্রে খবর, তা সত্বেও ঝুঁকি নিতে চায়না প্রশাসন। পরিস্থিতির উন্নতি না হওয়া পর্যন্ত উদ্ধারকৃত মেইতেই জনগোষ্ঠীর বাসিন্দাদের তাঁদের স্ব স্ব বাসস্থানে ফেরাবে না তারা। বর্তমানে এলাকায় পুলিশ কমান্ড টহল দিচ্ছে। পরিস্থিতির ওপর কড়া নজর রেখেছে প্রশাসন। এলাকায় এখনও যথেষ্ট উত্তেজনা রয়েছে বলে জানা গেছে।


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!