- এই মুহূর্তে দে । শ
- ডিসেম্বর ১৯, ২০২৩
‘শিল্পের কদর নেই,দুর্নীতিতে ভরছে গোটা দেশ।’ অভিমানে ম্যাজিক ছাড়লেন জুনিয়র পি সি সরকার
তাজমহলের মতো রাজ্যের চাকরীপ্রার্থীদের সামনের বাধা যদি দূর করে পারতেন, তাহলে হয়তো সেটাই করতেন। কিন্তু সেই ক্ষমতা তো নেই জাদুকর পি সি সরকার জুনিয়রের। তবে বঞ্চনার প্রতিবাদের রাস্তা থেকে সরে যাননি। রাজ্যে নিয়োগ দুর্নীতির জন্য অভিমান ম্যাজিক ছেড়ে দিলেন পি সি সরকার সরকার। যতদিন রাজ্যের বঞ্চিতরা চাকরী পাচ্ছেন, ততদিন ম্যাজিক দেখাবেন না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন।
ম্যাজিক ছেড়ে দেওয়ার প্রসঙ্গে পি সি সরকার জুনিয়র বলেছেন, ‘ম্যাজিক কে দেখবে? সমাজ বদলে গিয়েছে। গোটা রাজ্য, দেশ দুর্নীতিতে ভরে গেছে। যতদিন না রাজ্যের বঞ্চিতরা চাকরী পাচ্ছে, ততদিন আমি ম্যাজিক দেখানো বন্ধ রাখব।’ বাংলার দুর্নীতি নিয়ে রীতিমতো সোচ্চার পি সি সরকার। তিনি বলেন, ‘বাংলার শিক্ষক নিয়োগ দুর্নীতি দেখলে বমি পায়। নেতাদের ঘুষি মেরে আসতে ইচ্ছে হয়। শিক্ষায় দুর্নীতি করে সমাজটাকে শেষ করে দেওয়া হচ্ছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘ছোটবেলায় পড়েছিলাম লেখাপড়া করে যে গাড়ি ঘোড়া চড়ে সে। এটা ডাহা মিথ্যে কথা। পড়ার বইগুলো সব মন্ত্রীর চামচাদের লেখা। এখানে সবকিছুর পরিবর্তন হচ্ছে। এখানে শিল্প দেখানোর সুযোগ নেই। কোথায় নাকি ডক্টরেট ডিগ্রীধারী দারোয়ানের চাকরীর জন্য আবেদন করেছে। মহাজাতি সদনে অনুষ্ঠান হয় না। দিনের পর দিন কর্মচারীরা বেতন পাচ্ছে না। অপদার্থ সরকার চলছে। আর বাঙালিরাও মেরুদণ্ডহীন হয়ে পড়েছে। গোটা দেশও দুর্নীতিপরায়ন হয়ে পড়েছে। আমার স্বপ্নটাই ভেঙে গেছ। কেউ যদি স্বপ্নটাকেই লাথি মেরে দেয়, ম্যাজিক করব কীভাবে।’
২০১৪ লোকসভা নির্বাচনের আগে বিজেপি–তে যোগ দিয়েছিলেন পি সি সরকার জুনিয়র। ভোটে লড়াইও করেছিলেন। কিন্তু জেতেননি। রাজনীতিতে আসা নিয়েও আক্ষেপ রয়েছে পি সি সরকার জুনিয়রের। তাঁর দাবি, তিনি বলির পাঁঠা হয়েছিলেন। সরাসরি নাম না করে নরেন্দ্র মোদিরও সমালোচনা করেছেন এই বিখ্যাত জাদুকর। জুনিয়র পি সি সরকার বলেন, ‘যে মনে নীচু, তার হাতে যদি ক্ষমতা হয়ে যায়, তাহলে দেশ চলবে কীভাবে? বাঙালিকে বলি, বেশ হয়েছে, ভুল নির্বাচন করেছিলি। বেশ হয়েছে। পরবর্তী জেনারেশন জুতো মেরে দেশকে ঠিক করবে।’
❤ Support Us