Advertisement
  • এই মুহূর্তে ন | ন্দ | ন | চ | ত্ব | র
  • জুলাই ৪, ২০২৩

জাপানি রীতিতে আঁকা বিনোদ বিহারীর শতবর্ষ পুরনো স্ক্রল চিত্রের পুনরুদ্ধার। প্রদর্শিত হবে মহানগরের সংগ্রহশালায়

আরম্ভ ওয়েব ডেস্ক
জাপানি রীতিতে আঁকা বিনোদ বিহারীর শতবর্ষ পুরনো স্ক্রল চিত্রের পুনরুদ্ধার। প্রদর্শিত হবে মহানগরের সংগ্রহশালায়

জাপানি রীতিতে আঁকা চিত্রপটে গ্রাম বাংলা

মানসলোকের পটচিত্র আপাত অসম্ভবকে সম্ভব করে তুলেছিলেন বিনোদ বিহারী মুখোপাধ্যায়। মায়োপিয়ায় আক্রান্ত চিত্রকর বয়সের সঙ্গে সঙ্গে নিজের চোখের দৃষ্টি হারিয়ে ফেলেছিলেন । তা সত্ত্বেও অবদমিত হয়নি তাঁর শিল্পসত্তা। চিত্রকলার বিশেষ শাখা ‘স্ক্রল’ আর্টে প্রকাশ পেয়েছিল তাঁর দক্ষতা। সম্প্রতি, সেই অনুপম অঙ্কন দক্ষতার নিরদর্শন স্বরূপ একটি ছবি সামনে এসেছে।প্রায় ১০০ বছর আগে ছবিটি তিনি এঁকে ছিলেন। দীর্ঘ ৪৪ ফুট দীর্ঘ ও ছয় ইঞ্চি এই চিত্রপটে দেখানো হয়েছে শান্তিনিকেতনের গ্রাম্য জীবনের চালচিত্র। চলতি মাসে মহানগরেই একটি চিত্র প্রদর্শনীতে তা দেখানো হবে।

শিল্পীর চিত্রপটে বিশ্বভারতী

শুধু কলকাতাতেই নয় শান্তিনিকেতনেও প্রদর্শিত হবে তাঁর জাপানি শৈলীতে আঁকা ছবি। সম্ভবত, এটি শিল্পীর সবথেকে বড়ো কাজ ।  ১৯২৯ সালে শান্তিনিকেতনের প্রাক্তন শিক্ষার্থী সুধীর খাস্তগীরের কাছে যায় এই চিত্রকর্ম। উপহার মারফতে তিনি পেয়েছিলেন এই চিত্র। এরপর সুধীর বাবু আঁকার শিক্ষক হিসেবে কাজ করতে দেরাদুনে চলে যান। সেখানে তিনি ছয় বছর আগে রাকেশ সাহনি নামে এক ব্যক্তির কাছে বিক্রি করেন । যিনি  অভিলেখ্যাগারে কাজ করেন  ও  একটি আর্ট গ্যালারি চালান।  তারপরই নানা হাত ঘুরে কলকাতায় এসে পৌঁছায় ছবিটি।

১৯০৪ সালে জন্মানো বিনোদবিহারী শান্তিনিকেতনে পড়াশোনার করার পর সেখানেই শিক্ষকতা করেন। জাপানি ও চিনা দুই রীতিতেই স্ক্রল অঙ্কনে হাত পাকিয়েছিলেন তিনি। সত্যজিৎ রায় ১৯৭২ সালে ‘ইনার আই’ শিরোনামে তাঁর ওপর একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ করেছিলেন।সেই তথ্যচিত্রে চিত্রী বিনোদবিহারীর বলেছিলেন, ‘অন্ধত্ব একটি নতুন অনুভূতি, নতুন অভিজ্ঞতা, একটি নতুন পরিস্থিতি।’


  • Tags:
❤ Support Us
error: Content is protected !!