- এই মুহূর্তে বি। দে । শ
- জুন ২৭, ২০২৪
বিবাহ বিভ্রাটে ইমরান-বুশরা । ‘ইদ্দত’ মামলায় সাত বছরের সাজা স্থগিতের আবেদন খারিজ

ইসলামাবাদের একটি জেলা ও দায়রা আদালত বৃহস্পতিবার পাকিস্তানের প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং তার স্ত্রী বুশরা বিবির ইদ্দত মামলায় তাদের সাত বছরের সাজা স্থগিত করার আবেদন প্রত্যাখ্যান করেছে। অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা জজ (এডিএসজে) আফজাল মাজোকা আজ এই রায় ঘোষণা করেন।
আইনজীবী, নারী স্বাধীনতা রক্ষা কর্মী, এবং সুশীল সমাজের সদস্যরা সবাই ইদ্দতকে ‘মহিলাদের মর্যাদা ও গোপনীয়তার অধিকারের উপর আঘাত’ বলে কঠোরভাবে নিন্দা করেছেন।
ইসলামিক বিবাহ আইন অনুযায়ী, ইদ্দত হল- স্ত্রী তালাক প্রাপ্তা হলে বা তার স্বামীর মৃত্যু হলে কিছু সময়ের জন্য উক্ত স্ত্রীকে এক বাড়ীতে থাকতে হয় । সে অন্যত্র যেতে পারে না বা অন্য কোথাও বিবাহ করতে পারে না । চলতি বছর ৩ ফেব্রুয়ারি ইদ্দতের সময় শেষ হওয়ার আগেই ইমরান খান ও বুশরা বিবাহ করেন। শরিয়তি আইন লঙ্ঘন করার অপরাধে সিনিয়র সিভিল জজ কুদরতুল্লাহ তাদের সাত বছরের কারাদণ্ডের আদেশ দেন। ওই রায়ে উভয় পক্ষকে পাকিস্তানি মুদ্রায় ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়। বুশরা বিবির প্রাক্তন স্বামী খাওয়ার মানেকার এই মামলাটি করেছিলেন।
এই রায়ের বিরুদ্ধে ইসলামাবাদে বিক্ষোভ দেখা দেয়। করাচির বিক্ষোভকারীরা জনগণের ব্যক্তিগত জীবনে রাষ্ট্রীয় হস্তক্ষেপের বিরুদ্ধে ক্ষোভ প্রকাশ করেন।পাকিস্তানের সাধারণ নির্বাচনের আগে, ৩ ফেব্রুয়ারি, ইসলামাবাদের একটি আদালত বুশরা বিবির ইদ্দতকালীন সময়ে বিয়ে করার জন্য দম্পতিকে সাত বছরের কারাদণ্ড এবং তাদের প্রত্যেককে ৫ লক্ষ পাকিস্তানি টাকা জরিমানার শাস্তি প্রদান করে। তোষাখানা মামলায় এই দম্পতিকে ১৪ বছরের কারাদণ্ড দেওয়া হয়েছিল। যেখানে ইমরান এবং তার পররাষ্ট্রমন্ত্রী শাহ মাহমুদ কুরেশিকে সাইফার মামলায় ১০ বছরের জেল হেফাজতের সাজা দেওয়া হয়েছিল । যদিও চলতি বছর এপ্রিল মাসে তোষাখানা খানা বন্ধ করে দেওয়া হয় ও জুন মাসের শুরুতে সাইফার কেসে ইমরান ও কুরেশির সাজা রদ হয়ে যায়।
ইদ্দত মামলাটি আগে জেলা ও দায়রা জজ শাহরুখ আরজুমান্দের শুনানি করার কথা ছিল । এরপর মামলাটি এডিএসজে মাজোকার কাছে পাঠানো হয়। তা সত্ত্বেও, বুশরা বিবির অ্যাটর্নি ইসলামাবাদ হাইকোর্টে তার বন্ডে মুক্তিদান ও সাজা স্থগিত করার জন্য আবেদন করেছিলেন। পরবর্তীকালে ইসলামাবাদ হাইকোর্ট দায়রা আদালতকে পাকিস্তান তেহরিক-ই-ইনসাফ (পিটিআই) প্রতিষ্ঠাতা ও প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান এবং তার স্ত্রীর আবেদনের ভিত্তিতে দশ দিনের মধ্যে রায় দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছে।
❤ Support Us