- এই মুহূর্তে
- এপ্রিল ১৮, ২০২২
মোদিকে চিঠি লিখলেন নতুন পাক প্রধানমন্ত্রী, দিলেন কাশ্মীর সমস্যা সমাধানের বার্তা

ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদিকে চিঠি লিখলেন নতুন পাক প্রধানমন্ত্রী শাহবাজ শরিফ। দুই দেশের মধ্যে ইতিবাচক সম্পর্ক গড়ে তোলার আহ্বান জানালেন। তিনি ক্ষমতায় আসীন হওয়ার পরই তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছিলেন মোদি। অবশেষে তার উত্তর দিলেন শাহবাজ। তাঁর চিঠিতে উঠে এসেছে কাশ্মীর সমস্যার প্রসঙ্গও । সংবাদ সংস্থা পিটিআই সূত্রে জানা গিয়েছে, শরিফ তাঁর চিঠিতে জম্মু ও কাশ্মীর সমস্যার সমাধানের কথাও বলেছেন। তিনি জানিয়েছেন, ইসলামাবাদ সব সময়ই শান্তিপূর্ণ ও পারস্পরিক সহযোগিতায় বিশ্বাসী। গত সোমবার পাকিস্তানের ২৩তম প্রধানমন্ত্রী হিসেবে শপথ নেন শাহবাজ শরিফ। নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রীকে শুভেচ্ছ জানান ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি। লিখলেন, ‘শুভেচ্ছা। শান্তি, সন্ত্রাসমুক্ত অঞ্চলের আশায় থাকবে ভারত।’ ভারত যে সর্বদা প্রতিবেশী পাকিস্তানের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রাখার পক্ষে সেকথাও মনে করিয়ে দিয়েছিলেন মোদি।
নতুন পাক প্রধানমন্ত্রী তাঁর চিঠিতে লিখেছেন, ‘অভিনন্দন বার্তার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ। পাকিস্তান শান্তিপূর্ণ ও পারস্পরিক সহযোগিতার বন্ধনে বিশ্বাসী। জম্মু ও কাশ্মীরের মতো জম্মু সহ অমীমাংসিত বিরোধের শান্তিপূর্ণ নিষ্পত্তি অপরিহার্য। সন্ত্রাসবাদের বিরুদ্ধে পাকিস্তানের লড়াইয়ের কথা সবাই জানে। এবার দুই দেশের মধ্যে শান্তি ও সামাজিক-অর্থনৈতিক উন্নতির দিকে মনোযোগ দেওয়া প্রয়োজন।’
কাশ্মীর সমস্যা দুই দেশের মধ্যে সম্পর্কে বরাবরই কাঁটা হয়ে থেকেছে। নতুন পাক প্রধানমন্ত্রীর আমলে কি সম্পর্কে উন্নতি হবে? সেকথা সময়ই বলবে। তবে কাজটা যে জটিল তাতে নিঃসন্দেহ ওয়াকিবহাল মহল।
প্রসঙ্গত, এই মুহূর্তে পাকিস্তানে প্রচারের বেশিরভাগ আলো কেড়ে নিচ্ছেন শাহবাজ শরিফ। মধ্যরাতে ক্ষমতাচ্যুত ইমরান খান আস্থাভোটে হেরে ক্ষমতা হারানোর পরই নতুন প্রধানমন্ত্রীর দিকে ঘুরে গিয়েছে যাবতীয় প্রচারের আলো। সম্পর্কে তিনি প্রাক্তন প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফের ভাই। শাহবাজ তাঁর দাদার মতোই পাকিস্তানের রাজনীতিতে পোড় খাওয়া ব্যক্তিত্ব। গুরুত্বপূর্ণ প্রশাসনিক পদ সামলেছেন। এবার পাকিস্তানের মসনদে বসেছেন বর্ষীয়ান এই নেতা। তিনি জানেন ভারতের সঙ্গে পাকিস্তানের সুসম্পর্ক বজায় থাকলে তাতে আখেড়ে পাকিস্তানেরই লাভ । তবে দুই দেশের মধ্যে জন্মালগ্ন থেকেই রয়েছে নানা টানাপোড়েন। কাশ্মীর ইস্যু নিয়েও দিনে দিনে সমস্যা আরও জটিল হচ্ছে। ভারতের জমি জোর করে অধিগ্রহণ করতে এলে দিল্লি যে চুপ করে বসে থাকবে না, তা প্রকাশ্যে জানিয়ে দিয়েছেন ভারতের প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়।
❤ Support Us